|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও ঈদটা কাটবে অন্যরকম। সুস্থ থাকতে ঘরোয়াভাবে একটু ভিন্ন রকম পালিত হবে এবারের ঈদ। করোনাকাল চলছে। প্রয়োজন ছাড়া এখন ঘরের বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়।
এ জন্য মন খারাপ না করে, বুদ্ধি খাটিয়ে বাড়িতেই আনতে পারেন উৎসবের আবহ। ঈদের আগে শপিংমল খোলা থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে পারেন। ঘরে বসে পেতে চাইলে অর্ডার করে ফেলতে পারেন অনলাইনেও।
এবারও প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউজ নতুন নতুন কালেকশন এনেছে। ঈদে প্যাটার্নে বড় পরিবর্তন না এলেও ছোট ছোট সংযোজন-বিয়োজনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য, নকশায় থাকছে নতুনত্ব।
শাড়িতে বৈচিত্র্য
গত কয়েক বছরের মতো হাফসিল্ক, কটন, জামদানি, মসলিনের পেটানো কাজের ঐতিহ্যবাহী দেশি শাড়ি এবার ঈদের ট্রেন্ড। জামদানিতে যোগ হয়েছে ফুলেল প্রিন্ট, টারসেল, জামদানি প্রিন্ট। নকশিকাঁথার ভারী কাজ, জমিনে ফ্লোরাল এবং টাইপোগ্রাফির মোটিফে নকশা, আঁচলে থিমভিত্তিক গল্পের নকশা চোখে পড়বে। ব্লক, বাটিক, টাইডাই, স্ক্রিন প্রিন্ট, অ্যাপ্লিকের পাশাপাশি প্যাঁচওয়ার্ক, জারদৌসি, কারচুপির মাধ্যমে ফিউশনধর্মী কাজ করা হয়েছে। গুজরাটি, ইরি কাজও আছে। বৈচিত্র্য আনতে শাড়ির বডি কাতান বা সিল্ক হলে আঁচল বা কুঁচিতে ব্যবহার হচ্ছে মসলিন। কুঁচির নকশায় ফুটে উঠেছে প্রকৃতি, লতাপাতা ও জ্যামিতিক ছাপা। শাড়ির সঙ্গে টপস কাট ব্লাউজ, জ্যাকেট ব্লাউজ, হাতাকাটা ব্লাউজ ছাড়াও হাতায় টিউলিপ, রুমাল ছাঁট, বেল স্লিভ, ভেলবেটন, ফ্রিল এখন বেশ জনপ্রিয়।
পাঞ্জাবি তো চাই-ই
ছেলেদের কাছে ঈদ মানেই পাঞ্জাবি। তা ঘরেই হোক কিংবা বন্ধুমহলের আড্ডা। পাঞ্জাবিতে এবার সিম্পল হাতের কাজ প্রাধান্য পেয়েছে। প্রিন্টের ক্ষেত্রে কন্ট্রাস্ট প্রিন্টের চেয়ে টোনাল প্রিন্টের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া প্রিন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, স্কিনপ্রিন্ট, সলিড পাঞ্জাবিও থাকছে। রাতের জন্য পুঁতি ও সুতার নকশায় তৈরি জমকালো পাঞ্জাবি রাখা হয়েছে। সেমি লং, লং দু’ধরনের পাঞ্জাবিই এখন চলছে। কটন, নিট কটন বরাবরই আরামদায়ক, এর বাইরে ঈদের রাতের জন্য জুট কটন, অ্যান্ডি কটন, সিল্কের পাঞ্জাবি মানাবে। পাঞ্জাবির সঙ্গে ভালো লাগবে জিনস, গ্যাবার্ডিন, আলিগড়ি, চুড়িদার প্রভৃতি।
পুরোনো তবে নতুন রূপে
করোনাকালে অন্যরকম এই ঈদে অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন। কেউ কেউ নিরাপত্তার কারণে কেনাকাটার ঝুঁকিতে যেতে ইচ্ছুক নন। তাই বলে ঈদটা একদম সাদামাটা কাটাতে হবে তা কেন! অন্যান্য বছর হয়তো জমজমাট কেনাকাটা করেন, এবার নতুন পোশাক না কিনেই নতুনত্ব আনতে পারেন ঈদের পোশাকে। আমাদের সবারই আলমিরাতে দু’একটি পোশাক এমন থাকে যা অনেকদিন পরা হয় না। আলমিরা খুলে সেরকম কোনো পোশাক ঈদের দিন পরে ফেলুন। অনেকদিন পরে পরায় নতুন মনে হবে পোশাকটি। পরিবারের সদস্যদেরও এরকম পোশাক পরতে উৎসাহিত করতে পারেন। পুরোনো কামিজের সঙ্গে খুব ঢোলা নকশাদার কোনো পালাজ্জো ম্যাচিং করে পরলেও কিন্তু বেশ উৎসব উৎসব লাগবে। অনেকের মা বা শ্বাশুড়ির বেশ পুরোনা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরে থাকে আলমিরাতে। এরকম কোনো শাড়ি বের করে ঈদের দিন পরতে পারেন। এ শাড়িগুলো এমনিতেই অন্যরকম একটা লুক দেয়। এর সঙ্গে আরেকটু নতুনত্ব আনতে এর ওপরে ভিন্ন রঙের ছোট কটি পরুন। কটি না থাকলে হাতার কাটে নতুনত্ব আছে এমন ব্লাউজ, ফিটিংস টপস কিংবা টি-শার্ট পরে ফেলুন। সঙ্গে ফিউশন বা এন্টিকের গহনা জড়িয়ে নিন। এবার দেখুন নতুন পোশাক না পরেও আপনাকে কেমন নতুন লাগছে এই ঈদে।
