|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল সবকিছুই যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সেজন্য এখন ঝামেলাবিহীন ও সহজে অনেক কিছুই পাওয়া যায়- যেমন খাবার। আপনার মন চেয়েছে মজার কিছু একটা খাবার খেতে, কিন্তু আপনি তা ঘরে বানাতে পারছেন না বা বানাতে চাইছেন না। আবার নানা কারণে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতেও চাইছেন না। তাই বলে আপনি খাবারটি না খেয়ে থাকবেন? না, এখন ঘরে বসেই অনলাইনে পছন্দের খাবার অর্ডার করে আনতে পারবেন। আর এজন্য দেশে অনেক অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আছে। যাদের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবার অনলাইনে অর্ডার দিয়ে খেতে পারবেন। কেবল রেস্টুরেন্ট নয়, এসব অ্যাপে অনেক হোমসেফও আছেন, যারা ঘরে বসে নিজেদের তৈরি খাবার অনলাইনে সরবরাহ করেন। এ ছাড়া করোনাকালীন অনেকেই নিরাপত্তার কথা ভেবে বাইরে না গিয়ে অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি খাবারের অর্ডারও দেন। ফলে অনলাইনে খাবার সরবরাহ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
সাধারণত মোবাইলে অ্যাপ ইনস্টল করে যে কেউ অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে পারেন। বর্তমানে দেশে যেসব অ্যাপ জনপ্রিয় তার মধ্যে আছে- ফুডাপান্ডা, পাঠাও, সহজ, হাংগ্রি, নাকি ইত্যাদি। অনেক অ্যাপ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই কাজ করে। আবার কিছু অ্যাপ বড় বড় শহরগুলোতেই কাজ করে। আবার একেক অ্যাপের সুবিধাও একেক রকম। অনেক অ্যাপের অনেক রকম অফারও থাকে। আসলে যে যেটি ব্যবহার করে বা যে যেটি ব্যবহার করে সুবিধা পান, সে সেটাই ব্যবহার করেন। মূলত এলাকাভিত্তিক রেস্টুরেন্ট বা হোমসেফই অ্যাপভিত্তিক খাবার অর্ডারের ক্ষেত্রে কার্যকর। অর্থাৎ যে এলাকায় যে রেস্টুরেন্ট আছে, সেই রেস্টুরেন্টই আপনি আপনার অ্যাপে দেখবেন।
দিন দিন অনলাইনে খাবার অর্ডার জনপ্রিয় হচ্ছে। সেজন্য আমরা যারা খাবার সরবরাহ করি, তাদের সুযোগ-সুবিধা বেশি হলে অ্যাপভিত্তিক খাবার ব্যবসা আরও এগোবে।
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনলাইনে খাবার অর্ডারের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা জরুরি। এ ছাড়া আজকাল অনেকেই বাইরে না গিয়ে অনলাইনেই কেনাকাটা করছেন। তবে বাইরে থেকে আসা জিনিসপত্রগুলো যাতে আপনার বা পরিবারের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ফুড বা ফুড প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ভালোভাবে রান্না করা হলে এ ভাইরাস বেঁচে থাকে না। তাই অনলাইনে খাবার অর্ডার করা নিরাপদ বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ফুড প্যাকেজিংয়ের সংস্পর্শের কারণে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সেজন্য আপনি যদি অনলাইনে খাবারের অর্ডার করে থাকেন, সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
খাবার অর্ডার করতে আপনি ‘কনট্যাক্টলেস ডেলিভারি’ বিকল্পটি নির্বাচন করতে পারেন। ‘কনট্যাক্টলেস ডেলিভারি’র ক্ষেত্রে ফুড ডেলিভারি দেওয়া ব্যক্তিটি আপনার খাবারটি দরজার বাইরে রাখবেন, ডোরবেল বাজাবেন ও ডেলিভারি করা হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে কল করবেন। এতে আপনি নিজের অর্ডারও পাবেন এবং ডেলিভারি দেওয়া ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বও বজায় রাখতে পারবেন।
খাবারের প্যাকেটটি ভেতরে আনার আগে ক্যারি ব্যাগটি বাইরের ডাস্টবিনে ফেলে দিন। এরপর খাবারটি একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢালুন। প্যাকেটটি ডাস্টবিনে ফেলে দিন। যদি আপনার খাবারটি গরম না থাকে তবে খাওয়ার আগে গরম করতে পারেন। আর সম্ভব হলে হাত দিয়ে খাওয়ার পরিবর্তে চামচ ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া নিরাপদ থাকার জন্য খাওয়ার আগে ও প্যাকেটে হাত দেওয়ার পরে ভালোভাবে হাত জীবাণুমুক্ত করুন।
অন্যদিকে নগদ টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। আর সম্ভব হলে ডিজিটাল পেমেন্ট করুন। আর আপনি যদি নগদ অর্থ প্রদান করেন, তবে পুরো টাকা দেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে আপনাকে বিপরীত মানুষটির কাছ থেকে কোনো চেঞ্জ নিতে না হয়।
