বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি
ভ্রমণ
মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হুটহাট সিদ্ধান্ত হলো বন্ধুরা মিলে রাঙামাটি যাব। রাতের বাসেই চড়ে সকালে গিয়ে নামলাম। এবারের ভ্রমণ ছিল অনেকটা উদ্দেশ্যবিহীন। মানে রাঙামাটি যাওয়ার পর কী দেখব। কোথায় কোথায় যাব। আমি যেহেতু দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের একজন। তাই বন্ধুদের মানসিক চাপ তেমন ছিল না।
কিন্তু আমার তো ছিল। কারণ অনেকেরই রয়েছে আমার প্রতি বিশেষ ভরসা। কি আর করা। তাই মনে মনে নানিয়ারচরের প্ল্যানটা করেই রাখতে হয়েছিল। বাসস্ট্যান্ড থেকে নাশতা সেরে ট্রলারে চেপে বসলাম। গন্তব্য প্রথমে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল। কাপ্তাই লেকের নীলাভ পানিতে ট্রলার চলছে ভেসে ভেসে। বন্ধুদের হাস্যরস কথার ফাঁকফোকরে লেক ঘিরে থাকা পাহাড়ের সৌন্দর্য, বিমুগ্ধ নয়নে চেয়ে রই।
ছোট্ট ডিঙ্গিতে চড়ে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, নিজেদের যাপিত জীবনের প্রতি তৃপ্তি আনে। ভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়-শিক্ষা লাভেরও উপযুক্ত মাধ্যম। প্রায় ঘণ্টা দুই পর দেখা মিলে জাতীর সূর্যসন্তান পাক হানাদারদের মর্টার শেলের আঘাতে নিহত বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলের স্মৃতির মিনার। স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আব্দুর রউফের বীরত্ব সম্পর্কে জানা আমার। তাই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। শরীরের ভেতর আনমনেই রক্ত টগবগিয়ে ওঠে। মনে হয় আমিই যেন এখন সেদিনের আব্দুর রউফ।
ট্রলার ভিড়ে কবরস্থানের ঘাটে। একে একে সবাই নেমে জিয়ারত করি। চেঙ্গি নদীর খালবেষ্টিত কাপ্তাই লেকের বুকে বুড়িঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত ছোট্ট একটি টিলার মতো ভূমিতে, ফরিদপুরের দামাল ছেলে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলে কর্মরত থাকা ল্যান্স নায়েক শহিদ আবদুর রউফ চিরনিদ্রায় শায়িত। স্বাধীনতা যুদ্ধের এ বীর সেনানীর সমাধি আজ ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষী। পাক হানাদারদের আক্রমণ থেকে সঙ্গীয় ১৫০ জনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একাই ৭টি স্পিডবোট ও ২টি জাহাজে করে আসা পাকিস্তানি কমান্ডো বাহিনীর সঙ্গে লড়তে লড়তে শত্রুদের পিছু হটাতে বাধ্য করেন। তবে ততক্ষণে শত্রুরা মুন্সী আব্দুর রউফের অবস্থান নেওয়া বাঙ্কার চিহ্নিত করে, তার মেশিনগানের সক্ষমতার বাইরে সরে গিয়ে মর্টার শেল থেকে গোলা ছুড়তে থাকে। একটি গোলা এসে বাঙ্কারে বিস্ফোরিত হলে অদম্য সাহসী, দেশ রক্ষার অকুতোভয় সৈনিক মুন্সী আব্দুর রউফ সেখানেই শহিদ হন। তারিখটা ছিল ২০ এপ্রিল ১৯৭১।
সেই সম্মুখযুদ্ধে হানাদারদের ৭টি স্পিডবোট ডুবিয়ে দেওয়াসহ জাহাজ ও সৈন্যদলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এরপর শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফকে এ বুড়িঘাটের জমিতে দাফন করা হয়। তখন জায়গাটা যেমন ছিল দুর্গম তেমনি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ঘেরা। যে কারণে স্বাধীনতার অনেক বছর পর ১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল কবরটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ তার সমাধিস্থলে রাইফেলের ভাস্কর্য সদৃশ স্মৃতির মিনার নির্মাণ করা হয়। যা অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। কাপ্তাই পানিপথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফের সেদিনের একার বীরত্বের জন্য, তার নির্দেশে সঙ্গীয় ১৫০ জন্য মুক্তিযোদ্ধা নিরাপদে সরে যেতে পেরেছিল।
হালকা মেশিনগান দিয়ে একাই কুখ্যাত হানাদারদের বিশাল কমান্ডো বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী, বাংলাদেশ সরকার শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফকে মরণোত্তর ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি ও বীরশ্রেষ্ঠ সম্মাননাতে ভূষিত করেন। মুক্তিযুদ্ধের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের মাঝে ল্যান্স নায়েক শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ একজন। সমাধির পাশে থাকা দেওয়াল লিখনীতে তার বীরত্বের ইতিহাস রয়েছে। পড়ালেখায় উদাসীন থাকা শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত মেধাবী ও সাহসী ছিল। চাচার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেছিলেন।
অতঃপর স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশবাসী দেখল-জানল তার মেধার ধার ও সাহসিকতা। সমর যুদ্ধে কখনো কখনো মেধার দক্ষতায় উপস্থিত বুদ্ধিতে, নিজ বাহিনীর সুরক্ষায় পিছু হটেও শত্রুকে ঘায়েল করতে হয়। বুড়িঘাটের যুদ্ধে সেই তিক্ষè মেধারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ। তিনি তার বাহিনীকে পিছু হটে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য একাই লড়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। যদি তিনিও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটতেন তাহলে হয়তো সঙ্গীয় পুরো মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা, হানাদারদের পৈশাচিক আক্রমণে ঘায়েল হয়ে যেতে পারত। স্যালুট হে মহান বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ।
দিনদিন সমাধিস্থলটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই যান শ্রদ্ধা জানাতে। কেউবা নিছক ভ্রমণের উদ্দশ্যে। তা যাই হোক সমাধিস্থলের পবিত্রতার প্রতি সবারই খেয়াল রাখা জরুরি। জাতির সূর্যসন্তানরা মরেও হয়ে থাকে অমর। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের মতো দৃঢ়চেতা বীর বাঙালিদের বীরত্বপূর্ণ আত্মদানের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। হে বীর মুন্সী আব্দুর রউফ বিজয়ের মাসে তোমায় লাল সালাম। তোমার সমাধি জিয়ারত করতে পেরে আমাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে আরও বহুগুণ।
যাবেন কীভাবে : ঢাকা-রাঙামাটি রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাস সার্ভিস রয়েছে। রাঙামাটি রিজার্ভবাজার নৌঘাট থেকে রিজার্ভ ট্রলার/স্পিডবোটে দিনেদিনে ঘুরে আসা যাবে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী জাহাজও চলাচল করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভ্রমণ
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি
হুটহাট সিদ্ধান্ত হলো বন্ধুরা মিলে রাঙামাটি যাব। রাতের বাসেই চড়ে সকালে গিয়ে নামলাম। এবারের ভ্রমণ ছিল অনেকটা উদ্দেশ্যবিহীন। মানে রাঙামাটি যাওয়ার পর কী দেখব। কোথায় কোথায় যাব। আমি যেহেতু দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের একজন। তাই বন্ধুদের মানসিক চাপ তেমন ছিল না।
কিন্তু আমার তো ছিল। কারণ অনেকেরই রয়েছে আমার প্রতি বিশেষ ভরসা। কি আর করা। তাই মনে মনে নানিয়ারচরের প্ল্যানটা করেই রাখতে হয়েছিল। বাসস্ট্যান্ড থেকে নাশতা সেরে ট্রলারে চেপে বসলাম। গন্তব্য প্রথমে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল। কাপ্তাই লেকের নীলাভ পানিতে ট্রলার চলছে ভেসে ভেসে। বন্ধুদের হাস্যরস কথার ফাঁকফোকরে লেক ঘিরে থাকা পাহাড়ের সৌন্দর্য, বিমুগ্ধ নয়নে চেয়ে রই।
ছোট্ট ডিঙ্গিতে চড়ে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, নিজেদের যাপিত জীবনের প্রতি তৃপ্তি আনে। ভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়-শিক্ষা লাভেরও উপযুক্ত মাধ্যম। প্রায় ঘণ্টা দুই পর দেখা মিলে জাতীর সূর্যসন্তান পাক হানাদারদের মর্টার শেলের আঘাতে নিহত বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলের স্মৃতির মিনার। স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আব্দুর রউফের বীরত্ব সম্পর্কে জানা আমার। তাই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। শরীরের ভেতর আনমনেই রক্ত টগবগিয়ে ওঠে। মনে হয় আমিই যেন এখন সেদিনের আব্দুর রউফ।
ট্রলার ভিড়ে কবরস্থানের ঘাটে। একে একে সবাই নেমে জিয়ারত করি। চেঙ্গি নদীর খালবেষ্টিত কাপ্তাই লেকের বুকে বুড়িঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত ছোট্ট একটি টিলার মতো ভূমিতে, ফরিদপুরের দামাল ছেলে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলে কর্মরত থাকা ল্যান্স নায়েক শহিদ আবদুর রউফ চিরনিদ্রায় শায়িত। স্বাধীনতা যুদ্ধের এ বীর সেনানীর সমাধি আজ ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষী। পাক হানাদারদের আক্রমণ থেকে সঙ্গীয় ১৫০ জনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একাই ৭টি স্পিডবোট ও ২টি জাহাজে করে আসা পাকিস্তানি কমান্ডো বাহিনীর সঙ্গে লড়তে লড়তে শত্রুদের পিছু হটাতে বাধ্য করেন। তবে ততক্ষণে শত্রুরা মুন্সী আব্দুর রউফের অবস্থান নেওয়া বাঙ্কার চিহ্নিত করে, তার মেশিনগানের সক্ষমতার বাইরে সরে গিয়ে মর্টার শেল থেকে গোলা ছুড়তে থাকে। একটি গোলা এসে বাঙ্কারে বিস্ফোরিত হলে অদম্য সাহসী, দেশ রক্ষার অকুতোভয় সৈনিক মুন্সী আব্দুর রউফ সেখানেই শহিদ হন। তারিখটা ছিল ২০ এপ্রিল ১৯৭১।
সেই সম্মুখযুদ্ধে হানাদারদের ৭টি স্পিডবোট ডুবিয়ে দেওয়াসহ জাহাজ ও সৈন্যদলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এরপর শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফকে এ বুড়িঘাটের জমিতে দাফন করা হয়। তখন জায়গাটা যেমন ছিল দুর্গম তেমনি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ঘেরা। যে কারণে স্বাধীনতার অনেক বছর পর ১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল কবরটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ তার সমাধিস্থলে রাইফেলের ভাস্কর্য সদৃশ স্মৃতির মিনার নির্মাণ করা হয়। যা অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। কাপ্তাই পানিপথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফের সেদিনের একার বীরত্বের জন্য, তার নির্দেশে সঙ্গীয় ১৫০ জন্য মুক্তিযোদ্ধা নিরাপদে সরে যেতে পেরেছিল।
হালকা মেশিনগান দিয়ে একাই কুখ্যাত হানাদারদের বিশাল কমান্ডো বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী, বাংলাদেশ সরকার শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফকে মরণোত্তর ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি ও বীরশ্রেষ্ঠ সম্মাননাতে ভূষিত করেন। মুক্তিযুদ্ধের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের মাঝে ল্যান্স নায়েক শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ একজন। সমাধির পাশে থাকা দেওয়াল লিখনীতে তার বীরত্বের ইতিহাস রয়েছে। পড়ালেখায় উদাসীন থাকা শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত মেধাবী ও সাহসী ছিল। চাচার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেছিলেন।
অতঃপর স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশবাসী দেখল-জানল তার মেধার ধার ও সাহসিকতা। সমর যুদ্ধে কখনো কখনো মেধার দক্ষতায় উপস্থিত বুদ্ধিতে, নিজ বাহিনীর সুরক্ষায় পিছু হটেও শত্রুকে ঘায়েল করতে হয়। বুড়িঘাটের যুদ্ধে সেই তিক্ষè মেধারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ। তিনি তার বাহিনীকে পিছু হটে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য একাই লড়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। যদি তিনিও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটতেন তাহলে হয়তো সঙ্গীয় পুরো মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা, হানাদারদের পৈশাচিক আক্রমণে ঘায়েল হয়ে যেতে পারত। স্যালুট হে মহান বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মুন্সী আব্দুর রউফ।
দিনদিন সমাধিস্থলটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই যান শ্রদ্ধা জানাতে। কেউবা নিছক ভ্রমণের উদ্দশ্যে। তা যাই হোক সমাধিস্থলের পবিত্রতার প্রতি সবারই খেয়াল রাখা জরুরি। জাতির সূর্যসন্তানরা মরেও হয়ে থাকে অমর। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের মতো দৃঢ়চেতা বীর বাঙালিদের বীরত্বপূর্ণ আত্মদানের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। হে বীর মুন্সী আব্দুর রউফ বিজয়ের মাসে তোমায় লাল সালাম। তোমার সমাধি জিয়ারত করতে পেরে আমাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে আরও বহুগুণ।
যাবেন কীভাবে : ঢাকা-রাঙামাটি রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাস সার্ভিস রয়েছে। রাঙামাটি রিজার্ভবাজার নৌঘাট থেকে রিজার্ভ ট্রলার/স্পিডবোটে দিনেদিনে ঘুরে আসা যাবে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী জাহাজও চলাচল করে।