শিশুর ঈদ
ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ। আর শৈশবের ঈদ মানে তো আরও বর্ণিল। রং-বেরঙের জামা, জুতা, ব্যাগ আরও কত কী! আরও আছে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। তাই ঈদ এলেই চলে আগাম প্রস্তুতি। বড়দের ক্ষেত্রে রোজার ঈদে অনেকেই জামাকাপড় বানিয়ে রাখে কুরবানির ঈদ মাথায় রেখে।
কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে ঈদ মানেই দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা। ঈদের দিনে চাই নতুন জামা। এ ছাড়া ঈদুল আজহায় কুরবানির বিষয় নিয়েই থাকে অনেক কাজ। তাই ঈদের আগেভাগেই ছোটদের কেনাকাটা শেষ করতে হয়। তবে ঈদের সময় কেনাকাটার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা আবশ্যক। শিশুদের ঈদপোশাকে আরামের দিকটা আসে সবার আগে। খুব ভারী কাজের জর্জেটের কিংবা সিল্ক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন। যেহেতু গরম, তাই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড় বেছে নিতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাকে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার সোনামণির এবারে ঈদ। অন্যদিকে ঈদপোশাকে রঙের ক্ষেত্রে তালিকায় রাখতে পারেন লাল, হলুদ, সবুজ, গোলাপি, কমলা, মেজেন্ডার মতো উজ্জ্বল রং। গরমের এ সময়ে কালো রং এড়িয়ে চলুন। ছেলেদের ঈদপোশাকের ক্ষেত্রে সকালের দিকে রাখতে পারেন পাঞ্জাবি আর পায়জামার পর্ব। দুপুরের দিকে টি-শার্টের সঙ্গে ফুল প্যান্ট কিংবা হাফ প্যান্টের কম্বিনেশন। যেহেতু হঠাৎ বৃষ্টির আগমন ঘটছে ঋতু পালাক্রমে; তাই তালিকায় থাকতে পারে ফুলহাতা শার্ট। ফ্লোরাল প্রিন্ট, কার্টুন চরিত্র কিংবা হাতের কাজের কারুকাজ রাখতে পারেন শার্টে।
এক রঙের শার্টও বেশ আরামদায়ক। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও এক কালারের কিংবা বুকের কাছে হালকা কাজ বেছে নিতে পারেন। খুব ভারী কাজ হলে শিশুকে পরাতে পারেন গরমের বিষয় খেয়াল রেখে।
অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে আছে টপস, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট। ঈদের সকালে সালোয়ার-কামিজ আর বিকালের দিকে টপস কিংবা কুর্তি তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়া স্কার্ট সঙ্গে টপস বেশ আরামদায়ক এ সময়ে। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির কাপড়ে নানা ডিজাইন গরমের জন্য ভালো। কটনের কাপড়ের মধ্যেও আছে ভিন্ন নকশা। রঙের ক্ষেত্রেও কালো ধাঁচের রং বেছে না নিয়ে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, গোলাপি রং বেছে নিতে পারেন।
শিশু ঘেমে গেলে ঝটপট পোশাক পালটে ঢিলেঢালা পোশাক পরিয়ে দিন। এতে করে গরমের কারণে ঠান্ডা-সর্দির মতো সমস্যা থেকে বাঁচবে শিশু। খুব আঁটোসাঁটো পোশাক পরাবেন না, এতে ছোট সোনামণি উপভোগ করতে পারবে আরামের সঙ্গে ঈদের বর্ণিল আনন্দ।
শিশুর ঈদ
ফারিন সুমাইয়া
২০ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ। আর শৈশবের ঈদ মানে তো আরও বর্ণিল। রং-বেরঙের জামা, জুতা, ব্যাগ আরও কত কী! আরও আছে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। তাই ঈদ এলেই চলে আগাম প্রস্তুতি। বড়দের ক্ষেত্রে রোজার ঈদে অনেকেই জামাকাপড় বানিয়ে রাখে কুরবানির ঈদ মাথায় রেখে।
কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে ঈদ মানেই দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা। ঈদের দিনে চাই নতুন জামা। এ ছাড়া ঈদুল আজহায় কুরবানির বিষয় নিয়েই থাকে অনেক কাজ। তাই ঈদের আগেভাগেই ছোটদের কেনাকাটা শেষ করতে হয়। তবে ঈদের সময় কেনাকাটার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা আবশ্যক। শিশুদের ঈদপোশাকে আরামের দিকটা আসে সবার আগে। খুব ভারী কাজের জর্জেটের কিংবা সিল্ক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন। যেহেতু গরম, তাই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড় বেছে নিতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাকে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার সোনামণির এবারে ঈদ। অন্যদিকে ঈদপোশাকে রঙের ক্ষেত্রে তালিকায় রাখতে পারেন লাল, হলুদ, সবুজ, গোলাপি, কমলা, মেজেন্ডার মতো উজ্জ্বল রং। গরমের এ সময়ে কালো রং এড়িয়ে চলুন। ছেলেদের ঈদপোশাকের ক্ষেত্রে সকালের দিকে রাখতে পারেন পাঞ্জাবি আর পায়জামার পর্ব। দুপুরের দিকে টি-শার্টের সঙ্গে ফুল প্যান্ট কিংবা হাফ প্যান্টের কম্বিনেশন। যেহেতু হঠাৎ বৃষ্টির আগমন ঘটছে ঋতু পালাক্রমে; তাই তালিকায় থাকতে পারে ফুলহাতা শার্ট। ফ্লোরাল প্রিন্ট, কার্টুন চরিত্র কিংবা হাতের কাজের কারুকাজ রাখতে পারেন শার্টে।
এক রঙের শার্টও বেশ আরামদায়ক। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও এক কালারের কিংবা বুকের কাছে হালকা কাজ বেছে নিতে পারেন। খুব ভারী কাজ হলে শিশুকে পরাতে পারেন গরমের বিষয় খেয়াল রেখে।
অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে আছে টপস, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট। ঈদের সকালে সালোয়ার-কামিজ আর বিকালের দিকে টপস কিংবা কুর্তি তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়া স্কার্ট সঙ্গে টপস বেশ আরামদায়ক এ সময়ে। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির কাপড়ে নানা ডিজাইন গরমের জন্য ভালো। কটনের কাপড়ের মধ্যেও আছে ভিন্ন নকশা। রঙের ক্ষেত্রেও কালো ধাঁচের রং বেছে না নিয়ে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, গোলাপি রং বেছে নিতে পারেন।
শিশু ঘেমে গেলে ঝটপট পোশাক পালটে ঢিলেঢালা পোশাক পরিয়ে দিন। এতে করে গরমের কারণে ঠান্ডা-সর্দির মতো সমস্যা থেকে বাঁচবে শিশু। খুব আঁটোসাঁটো পোশাক পরাবেন না, এতে ছোট সোনামণি উপভোগ করতে পারবে আরামের সঙ্গে ঈদের বর্ণিল আনন্দ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023