|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শরতের আকাশে এখন উৎসবের আবহ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উঠোনে পূজার আমেজ। ধূপ-কর্পূরের সুগন্ধি আর ঢাকের তালে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা যেন চারপাশে। দুর্গাপূজার মূল পর্ব শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে। এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং সব শেষে দশমী তথা বিজয়া। এ সময়ে তাই সবাই চান নিজেকে পূজার রঙে নানা সাজে সাজাতে। পূজায় সাধারণত মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে থাকেন। ছেলেদের বেলায় পূজার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে ধুতি। পূজার আমেজকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে ধুতি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তাই ধুতিতে দুর্গাপূজা উদযাপনের রীতি বেশ প্রাচীন। ধুতি মূলত একখণ্ড কাপড়। এক সময় ধুতি ছিল দফতরের পোশাক। তার আগে শুধু হিন্দু পুরোহিত এবং পূজারিরা তাদের পোশাক হিসেবে ধুতি নির্বাচন করতেন। সময়ের আবর্তনে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়েও ধুতি আছে ফ্যাশনে সবার হাতের নাগালে। ধুতি মূলত সাদা রঙের হয়ে থাকে। পাঞ্জাবির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানানসই। আট থেকে দশ হাতের কুঁচি দেয়া একখণ্ড কাপড় কোমরে পেঁচিয়ে নিলেই হয়ে উঠে ফ্যাশনের অন্যতম সঙ্গী ধুতি। আকারের দিক থেকে অবশ্য এটি চতুষ্কোণ কাপড়ের অংশ।
ধুতি বলতে এক সময় কেবল সাদা রঙের কথাই সবাই চিন্তা করত। তবে বর্তমানে সাদার পাশাপাশি মেরুন, হালকা বাদামি, ধূসর রঙের ব্যবহার চোখে পড়ে। পাঞ্জাবি কিংবা কুর্তির সঙ্গে রং মিলিয়ে খুব সহজেই তরুণদের সাজিয়ে তুলে ধুতি। কাপড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধুতির জন্য সবচেয়ে উপযোগী কাপড় হচ্ছে সুতি। তবে খদ্দর থেকে শুরু করে তসর, পলিয়েস্টার এমনকি সিল্ক কাপড়ের নানা বাহারি ডিজাইন বর্তমানে ধুতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোমর থেকে আশপাশের সব কাপড় গোছিয়ে তা কয়েক পেঁচে নিজেকে জড়িয়ে নেয়ার এক অপরূপ কৌশল হচ্ছে ধুতি। তবে বর্তমানে রেডিমেট ধুতির ব্যবহারও বাড়ছে। ধুতিতে বর্তমানে নানা ধরনের কারুকাজ চোখে পড়ে। কুঁচির ভাঁজে ভাঁজে লেসের ব্যবহার কিংবা নানা ধরনের হাতের কাজের ব্যবহার পছন্দের তালিকাতে অনায়াসে পড়ে যায়। ধুতি পরার ধরনেও আছে নানা রকমের ভিন্নতা। বয়স এবং পছন্দের ওপর নির্ভর করেই মূলত এ বৈচিত্র্য আসে। নানা ধরনের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিয়েতে বরের পোশাক হিসেবেও ধুতি অনেকেই নির্বাচন করে থাকেন। তবে দুর্গাপূজায় ধুতির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। পূজার আনন্দকে বাড়াতে আর নিজেকে সাজাতে সবার পছন্দের তালিকায় এ ধুতি। যুগে যুগে নানা ধরনের ফ্যাশনে পরিবর্তন এলেও ধুতি তার জায়গা দখল করে রেখেছে প্রথম থেকেই।
কোথায় পাবেন : যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, মৌচাক, ইস্টার্ন প্লাজা, অঞ্জন্স, বিবিয়ানা, রাজউক কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে আপনার আশপাশের সব শপিংমলে।
দাম : ধুতির দাম মূলত ডিজাইন এবং কারুকাজের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে। ১ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে একটি ধুতির দাম।
