প্রতিমঞ্চের পাদপীঠ থেকে কল্যাণের আবাহন
একুশ মানে এগিয়ে চলা
সামাজিক অস্থিরতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার প্রতিমঞ্চ। গত বছর জাতীয় নির্বাচনের উত্তাপ, আন্দোলন-সংগ্রাম, সড়ক দুর্ঘটনা, ছেলেধরাসহ বিভিন্ন গুজব, ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গন, বেপরোয়া ছাত্রলীগ, আগুনের বিভীষিকা, দুর্ভোগের ঈদযাত্রা, মাদক-দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার সিন্ডিকেট, মশার উৎপাত, ডেঙ্গুর যাতনা, রেল ও সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণ, বায়ু ও পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে প্রতিমঞ্চের পাদপীঠে। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকার-প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবতা। প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য। ফলে গড়ে ওঠে সচেতনতা, তৈরি হয় জনমত। প্রতিমঞ্চ কারও প্রতিপক্ষ নয় বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে -বিভাগীয় সম্পাদক
গ্রন্থনা : যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ, সাইফুল ইসলাম খান, মো. পলাশ প্রধান ও আল ফাতাহ মামুন
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যুগান্তর আরও এগিয়ে যাক
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক
সফলতার সঙ্গে একুশ বছরে পা দেয়ায় যুগান্তরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সমাজের নানা অসঙ্গতি, বৈষম্য আর জনদুর্ভোগ তুলে ধরতে পত্রিকাটির প্রতিমঞ্চ বিভাগ সময়োপযোগী এবং সাহসী ভূমিকা রেখে আসছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোয়ও যুগান্তর পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমার শুভেচ্ছা থাকল। যুগান্তর আরও অনেকদূর এগিয়ে যাক।
অন্য পত্রিকায় এত খবর পাওয়া যায় না
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক
যুগান্তর একটা সংবাদপত্র, সংবাদপত্রের কাছে আমাদের প্রাথমিক চাওয়া হচ্ছে এখানে সংবাদ থাকবে। যুগান্তরের এ দিকটি আমার বেশ ভালো লাগে যে, এখানে অনেক খবর থাকে। অন্য পত্রিকাতে এত খবর পাওয়া যায় না। অন্য পত্রিকাতে বড় বড় খবর দেয়। কিন্তু যুগান্তরে খবরগুলোকে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও অনেক খবর পাওয়া যায়। তবে এ পত্রিকায় যে বড় খবর থাকে না, তাও নয়। আবার অনেক সময় অনুসন্ধানমূলক খবর ছাপায়। মানে দু’রকমই থাকে। ছোট ছোট অনেক খবরও পাওয়া যায়, অনুসন্ধানমূলক খবরও পাওয়া যায়। এর ফিচারগুলোও বেশ ভালো লাগে, প্রতিমঞ্চ ভালো করছে। যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চের সফলতা কামনা করছি।
জনমত গঠনের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখছে যুগান্তর
ড. মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি সংবাদপত্র যুগান্তর, দুই দশক পেরিয়ে তৃতীয় দশকে পা দিয়েছে। কালের পরিক্রমায় এটা খুব স্বল্প সময় নয়। এ কারণে যুগান্তরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। জনজীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক বিভিন্ন সময়ে যুগান্তর তুলে ধরেছে। ছাত্র সমাজ, যুবসমাজ, নারী সমাজ, জনসমাজের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতিমঞ্চ তুলে ধরে। এর মাধ্যমে সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে যুগান্তর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ছিল এক সময়ের যুগান্তর দল। সেই ঐতিহাসিক যুগান্তরের নাম ধারণ করে এখন জনমত গঠনের কণ্ঠস্বর হিসেবে যুগান্তর ভূমিকা রাখছে, প্রিয় পত্রিকাটিকে অভিনন্দন।
যে সচেতনতা গড়ে উঠেছে সেটার অংশীদার যুগান্তরও
আবু নাসের খান, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)
নিঃসন্দেহে আজকে যে পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে উঠেছে। তাতে যুগান্তরের একটা ভালো ভূমিকা রয়েছে। মানুষের মাঝে আজকে যে সচেতনতা সেটার অংশীদার যুগান্তরও। যদিও পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এখনও সম্পূর্ণ মাত্রায় বৃদ্ধি পায়নি। মানুষের নিজের দায়িত্বগুলো, করণীয় এখনও ভালোভাবে শেখেনি। এতদিনে জনগণ বুঝতে পেরেছে যে, পরিবেশটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আগামী দিনের প্রত্যাশা হল কার কী কর্তব্য সেটি অনুধাবন করান। যুগান্তরের কাছে প্রত্যাশা করছি, আমরা পরিবেশ নিয়ে যে আন্দোলন করে আসছি, তাতে আগে যুগান্তরকে যেভাবে পাশে পেয়েছি আগামীতেও যেন পাই। তার প্রতিবেদকরা যেন পরিবেশবিষয়ক খবরকে ভালোভাবে তুলে ধরেন এবং সম্পাদকরা যেন সে খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
যুগান্তরের খবরগুলো হোক আমাদের উন্নতির দিশারি
অধ্যাপক রিয়াজুল হক, চেয়ারম্যান, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাবি
যুগ থেকে যুগ যুগান্তরে যেভাবে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ঘুরতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই যুগের পর যুগ পাঠকের সঙ্গে ঘুরছে যুগান্তর। দুই যুগ ধরে পথচলা পত্রিকাটি আজ নতুন এক যুগের পথে হাঁটছে। গত ২০টি বছর যুগান্তর ছিল পাঠকের অন্তরজুড়ে। আর আমাদের কাছে একুশ মানে মাথা নত না করা। তাই প্রত্যাশা করছি যুগান্তর সত্যের সন্ধানে তার নির্ভীক যাত্রা অব্যাহত রাখবে, সে কোনো অন্যায় অপরাধের সঙ্গে আপস করবে না। এ দেশে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটুক, আর যুগান্তর হোক সেই নতুন যুগের স্বপ্ন সারথী। যুগান্তরের নয়নে ধরা পড়ুক দুর্নীতি, যুগান্তরের পাতায় ছাপানো সম্ভাবনার খবরগুলো হোক আমাদের আগামীর উন্নতির পথের দিশারি। আর ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ হয়ে উঠুক নাগরিক সমস্যা সমাধানের প্লাটফরম।
যুগান্তর পাঠক মহলে বিশ্বস্ত
মোহিত কামাল, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক
জন্মদিনে যুগান্তরকে শুভেচ্ছা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যুগান্তরের প্রতিবেদন পাঠক মহলে বিশ্বস্ত। সত্য প্রকাশে আপসহীন থেকেই পত্রিকাটি একুশ বছরে পদার্পণ করেছে। যুগান্তরের অন্যতম ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ পাঠকদের নানা বিষয়ে সচেতন করছে এবং নীতিনির্ধারকদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। পাতাটি সমাজের বিভিন্ন সমস্যাবলি, সামাজিক ব্যাধি, সামাজিক অবক্ষয়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিমঞ্চের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। যুগান্তর এগিয়ে চলুক দৃপ্ত পায়ে।
প্রতিমঞ্চ এগিয়ে যাক, যুগান্তর এগিয়ে যাক
প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক, রেজিস্ট্রেশন শাখা, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সফোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), মিরপুর-১, ঢাকা।
সত্যের সন্ধানে নির্ভীক যুগান্তর ২১ বছরে পা রেখেছে, এই শুভলগ্নে যুগান্তর পরিবারকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। যুগান্তরের ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ সমাজের নানা অসঙ্গতি, দুর্নীতি-অন্যায়-অনিয়ম সাহসিকতার সঙ্গে পাঠকের সামনে তুলে ধরছে। প্রতিমঞ্চে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, হওয়াটাই স্বাভাবিক। নানা কারণেই পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিমঞ্চ। প্রতিমঞ্চ এগিয়ে যাক, যুগান্তর এগিয়ে যাক।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে প্রতিমঞ্চ
ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মারুফ, অধ্যাপক, অ্যারাবিক অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, ঢাবি এবং স্থানীয় প্রতিনিধি, ওআইসি
সত্য প্রকাশে আপসহীন ভূমিকার কারণেই প্রিন্ট মিডিয়ার জগতে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে নিয়েছে যুগান্তর। কাগজটি ২১ বছরে পদার্পণ করেছে, খবরটি আনন্দের, উৎসাহের এবং প্রেরণারও। তবে অসত্যগোষ্ঠীর জন্য এটি চরম বেদনার এবং বিপজ্জনক বটে। সত্য প্রকাশে নির্ভীক থাকা মানে ইসলামের পক্ষে থাকা। কোরআনের আলোকে বিশ্বাসীদের প্রধান দুটি কাজ হল, আমর বিল মারুফ ওয়ান নাহি আনিল মুনকার। অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। কোনো সন্দেহ নেই যুগান্তর সে কাজটিই করে যাচ্ছে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে। ফিচার পাতা ‘প্রতিমঞ্চ’ অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার, মানে এখানে কোরআনের কাজই করা হচ্ছে। ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাক যুগ-যুগান্তরের যুগান্তর- এ প্রত্যাশা সব পাঠকের।
যুগান্তর সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি
বিশ্বায়ন ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির কারণে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চার অঙ্গনেই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। চারদিকে দুর্নীতি। সার্বিক শিক্ষার মান তলানিতে। বুদ্ধিজীবীরা আজ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুগান্তর সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিমঞ্চ একেকটি বিষয় বিশদভাবে তুলে ধরে সমাজের নানা অসঙ্গতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশা, এসব সামাজিক অসঙ্গতিকে আরও বেশি বেশি তুলে ধরে সমাজকে পরিশীলিত করতে জোরালো অবদান রাখবে যুগান্তর।
এগিয়ে যাচ্ছে যুগান্তর
মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল, এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দৈনিক যুগান্তর পরিবার ও প্রতিমঞ্চের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিগত মেয়াদে দেশে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তথ্যনির্ভর সমাজ গঠনের পথ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন ও পরিচর্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ দেশের গণমাধ্যম দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় সাহসী, নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় দৈনিক যুগান্তরের অব্যাহত ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে যুগান্তর কাজ করে যাবে
সাদ্দাম হোসেন, ডাকসুর এজিএস ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যুগান্তর একুশ বছরে পদার্পণ করল। পাঠকপ্রিয় এ পত্রিকাটিকে ছাত্রলীগ এবং ডাকসুর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য, আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সত্য, সমতা ও ন্যায়বিচারের জন্য তারা আগামী দিনেও ক্ষুরধার ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে তারা কাজ করে যাবে যুগান্তরের কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা থাকবে। পাশাপাশি প্রতিমঞ্চ পাতাটি অতীতের মতো ছাত্র সমাজের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন করা অব্যাহত রাখবে সেই প্রত্যাশাই করি।
যুগান্তর পাঠক হৃদয়ে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে
মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন
হাঁটি হাঁটি পা পা করে দৈনিক যুগান্তর ২০ পেরিয়ে ২১ বছরে পা দিয়েছে। পত্রিকাটি আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক। পত্রিকাটির ফিচার পাতাগুলোর মধ্যে প্রতিমঞ্চ পাতাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে পাঠকের হৃদয়ে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে। এ পাতাটি আমারও অনেক প্রিয়। প্রতিমঞ্চের কাছে আমার প্রত্যাশা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, পত্রিকার প্রতিমঞ্চ পাতাটি সেই স্বপ্নের সারথি হিসেবে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার পাশে থাকবে যুগান্তর। সরকারের বিভিন্ন কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করবে না এবং অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকুক দৈনিক যুগান্তর
মো. আনোয়ার হোসেন, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)
পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন
দৈনিক যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটি দেশের পাঠকের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে পাতাটি সবসময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখে। একই সঙ্গে সত্য তুলে ধরতে আপসহীন ভূমিকা পালন করে আসছে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটি। এ পত্রিকার প্রতিবেদনে দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখায় সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠার পর অল্পদিনে জনপ্রিয়তা অর্জন এবং দেড় যুগ পেরিয়েও সেই জনপ্রিয়তার মূল কারণ সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকাটির আপসহীন অবস্থান ধরে রাখা। যুগান্তরের জন্য শুভকামনা।
সমাজ সংস্কারে দায়িত্ব পালন করছে যুগান্তর
এস এম তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, গাজীপুর
প্রথমসারির পত্রিকা হিসেবে যুগান্তর সমাজ সংস্কারে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। শুরু থেকেই সংবাদ পরিবেশনে একটি স্বতন্ত্র ধারা বজায় রেখেছে পত্রিকাটি। এ কারণে পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে ২০ পেরিয়ে ২১ বছরে পা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রতিমঞ্চ পাতাটি সমাজ সংস্কারে অনেক দায়িত্ব পালন করে আসছে। পাতাটি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে সত্য খবর দেয়ার চেষ্টা করে বলেই সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার খবর যুগান্তর থেকে সবচেয়ে বেশি পাই
ইলিয়াস কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই
যুগান্তর ২০ বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদার্পণ করল। এ পদার্পণে আমার এবং আমার সংগঠনের তরফ থেকে যুগান্তরের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর ২০১২ সাল থেকে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দিচ্ছি। ২০১১ সাল থেকে আমরা দেখে আসছি যুগান্তর দুর্ঘটনার খবর সবচেয়ে ভালো দেয়, বেশি দেয়। এখান থেকে আমরা তথ্যগুলো সংগ্রহ করি। এটা আমাদের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য একটা উপকার হচ্ছে। সে কারণেই বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনার খবরগুলো যারা দিচ্ছেন প্রতিমঞ্চ পাতাসহ অন্যান্য পাতায়, তাদের বিশেষ করে আমার সাধুবাদ জানাচ্ছি।
সড়ক নিরাপত্তায় প্রতিমঞ্চ হোক সচেতনতার মঞ্চ
কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ
সহকারী অধ্যাপক, সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউট (এআরআই), বুয়েট
বিশ্বস্ততার দিক থেকে ‘যুগান্তর’ অবশ্যই এগিয়ে। গতানুগতিক খবরের বাইরেও পত্রিকাটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এর বিভিন্ন আয়োজন, বিশেষ পাতা ও সংখ্যা। তেমনি একটি পাতা হল ‘প্রতিমঞ্চ’, যা তুলে নিয়ে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া অপরাধ, অসঙ্গতি আর দুর্ঘটনার খবর এবং পৌঁছে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে। এর ফলে নেয়া হচ্ছে কার্যকর ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ। পেশাগত কারণে আমাকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করতে হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। সড়ক নিরাপত্তামূলক প্রতিমঞ্চের অনেক তথ্য আমাকে সমৃদ্ধ করে। আমি মনেকরি শুধু দুর্ঘটনার তথ্যই নয়, সড়কে যাত্রী, পথচারী, চালক, মালিকসহ সব নাগরিককে সচেতন করার বিষয়ে প্রতিমঞ্চ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিমঞ্চ হোক সড়ক নিরাপত্তার সচেতনতার মঞ্চ।
নদীর সঙ্গে থাকবে যুগান্তর
এ কে এম আরিফ উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ ও নদীবন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা
একবিংশ শতাব্দীতে একুশ বর্ষে পা রেখেছে যুগান্তর। নিশ্চয়ই একুশের চেতনায় মাথা নত না করে সত্য প্রকাশে আপসহীন ও নির্মোহভাবে এগিয়ে চলবে যুগ-যুগান্তরে-এ প্রত্যাশা ও শুভ কামনা। নর্দমায় পরিণত হওয়া নদীগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করে পরিচ্ছন্ন প্রবহমান নদীতে ফিরিয়ে আনা এবং নদীপাড়ে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে বিআইডব্লিউটিএ তথা সরকার কঠোর ও টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যুগান্তরসহ দেশের সব মিডিয়া অব্যাহতভাবে নদীর সঙ্গে থাকবে, নদীর পাশে থাকবে, এটি নিশ্চয়ই সকলের মনের একান্ত চাওয়া।
পর্যটনশিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখছে প্রতিমঞ্চ
মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম, চিফ অর্গানাইজার দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ
দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অন্তরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর প্রতিমঞ্চের করা ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলো দারুণ হয়েছে। আগামীতে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকদের সেবার নামে টাকা কামানোর ফাঁদ সম্পর্কে বিশদভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি অতীতের মতো প্রতিমঞ্চ সব সময় পর্যটনশিল্পের পাশে থাকবে।
তথ্যসমৃদ্ধ সমাজ তৈরির যাত্রা অব্যাহত থাকুক
তৌহিদুল হক, কবি ও শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যখন একটি পত্রিকা ২১ বছর পার করে তখন আমরা নিশ্চয়ই খুব নিশ্চয়তার সঙ্গেই উপলব্ধি করতে পারি যে, পাঠক সেই পত্রিকাকে খবরের বিষয়বস্তু, খবরের উপস্থাপন, কিংবা পাঠকদের কাছে সেই পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছেছে। গত ২০ বছর ধরে আমরা যুগান্তর পত্রিকাকে যেভাবে দেখছি তারা সাধারণ মানুষের জীবনবোধ, তাদের নাগরিক অধিকার, জনদুর্ভোগ, রাজনীতি ও সামাজিক অঙ্গনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তথ্যভিত্তিক খবর উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা তারা করেছে। তথ্যসমৃদ্ধ নাগরিক সমাজ তৈরির ক্ষেত্রে যুগান্তরের যে চলমান যাত্রা সেই যাত্রা অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
কাগজের আলাদা একটা অনুভূতি আছে
খুশী কবির, নিজেরা করি
যুগান্তরকে আমার অনেক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা। আমরা আশা করি, যুগান্তর তার দায়িত্ব পালন করবে। জনগণকে একেবারে সঠিক তথ্য দেবে। অধিকাংশ মানুষ যে ধরনের খবর জানতে চায়, তা যেন বেশি প্রকাশ করা হয়। যুগান্তর কারও কথা শুনে লিখবে না, বস্তুনিষ্ঠ খবর তুলে ধরবে এ প্রত্যাশা। আর আমাদের তথ্য দিতে থাকবে। আমি জানি ডিজিটাল যুগ, কিন্তু পত্রিকার আলাদা একটা প্রয়োজন আছে। পত্রিকা পড়ে বিশ্লেষণ করা, বোঝা এর মধ্যে যে অনুভূতিটা কাজ করে সেটা কিন্তু অনলাইনে পাওয়া যায় না। যুগান্তরের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আমরা আশা করি যুগান্তর তার ভূমিকা পালন করেই যাবে।
অনুসন্ধানী অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক
মো. সারওয়ার আলম, আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (র্যাব)
যুগান্তরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় পত্রিকাটির কাছে প্রত্যাশা, জনমানুষের কল্যাণে, সত্যের সন্ধানে তাদের এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। যুগান্তর জনমানুষের কথা বলুক, দেশের কথা বলুক। যুগান্তরে সাপ্তাহিক আয়োজন প্রতিমঞ্চ পাতাটা মাঝেমধ্যে দেখার সুযোগ হয়। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, সামাজিক ব্যাধি, ভোগান্তি, জনদুর্ভোগসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে এক পৃষ্ঠার পুরো আয়োজন থাকে। এমন আয়োজন সত্যিই চমৎকার। প্রতিমঞ্চ পাতায় এসব বিষয়ে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন আমার নজরে এসেছে। এমন প্রতিবেদন সাধারণ পাঠক এবং আমরা যারা দায়িত্বশীল পর্যায়ে আছি তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আশা করছি, সামনের দিনগুলোয় প্রতিমঞ্চ পাতা তাদের অনুসন্ধানী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চের জন্য শুভকামনা।
জনগণের মুক্তির প্রতিচ্ছবি
গাউস পেয়ারি, পরিচালক, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যুগান্তরের একুশ বছরে পদার্পণে শুভেচ্ছা। যুগান্তর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাঠক চাহিদা পূরণে যে দায়িত্ব পালন করে আসছে তা অব্যাহত থাকুক। যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিটি শব্দ হোক আশা-প্রত্যাশা আর জনগণের মুক্তির প্রতিচ্ছবি।
ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে
মুফতি মিনহাজ উদ্দীন, মহাসচিব, জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যুগান্তর প্রতি সপ্তাহে প্রতিমঞ্চ নামের একটি বিশেষ পাতা বের করে। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, জনদুর্ভোগ এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা অব্যাহত রেখেছে যুগান্তর। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে যুগান্তর অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সত্য প্রকাশে যুগান্তরের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
যুগান্তর গণমানুষের কাগজ
মো. মতিউর রহমান মতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক
দৈনিক যুগান্তরের একুশ বছরে পদার্পণে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটির জন্য রইল শুভ কামনা। দৈনিক যুগান্তর গণমানুষের কাগজ। প্রথম থেকেই এ পত্রিকাটি গণমানুষের কথা বলে আসছে। এর মধ্যে প্রতিমঞ্চ পাতাটি সবার কাছে অনেক প্রিয় হয়ে রয়েছে। প্রতিমঞ্চ পাতাটি সমাজের অসঙ্গতি এবং বৈষম্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে। পাতাটি দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখায় সবার আস্থা অর্জন করেছে। দৈনিক যুগান্তরসহ প্রতিমঞ্চ পাতাটির আরও সাফল্য কামনা করছি। প্রতিমঞ্চ এগিয়ে যাক সাহসী প্রত্যয়ে।
সাহসী সাংবাদিকতার আঁতুড়ঘর যুগান্তর দীর্ঘজীবী হোক
মো. আরিফ হোসেন (ছোটন)
সভাপতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি
যুগান্তরের সাহসী পথচলার ২১ বছর চলছে। সুনাম-সুখ্যাতি বজায় রেখে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া একটি কাগজের জন্য বড়সড় অর্জনই বলা চলে। যুগান্তরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণে অনেক দুর্নীতি পাখা মেলে ওড়ার আগেই কালো পাখা কলমের থাবায় ভেঙে গেছে। অন্যসব কাগজ থেকে যুগান্তরের সফলতা এ দিকে বেশিই বলা চলে। পত্রিকাটির ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ দুর্নীতি-অনিয়ম রুখে দেয়ার একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। পত্রিকাটির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এ কথাও বলতে চাই, দীর্ঘ এ পথচলা যেন আরও বেশি দীর্ঘতর হয়।
অসঙ্গতি ও অপরাধের বিষয়গুলো প্রকাশ করছে
দীলিপ কুমার আগরওয়ালা, সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)
যুগান্তরের সফলতার ২০ বছর পূর্তিতে যুগান্তর পরিবারের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যুগান্তর প্রতি সপ্তাহে প্রতিমঞ্চ নামের একটি বিশেষ পাতা বের করে। পাতাটি সমাজের নানা অসঙ্গতি ও অপরাধের বিষয়গুলো স্পষ্ট উচ্চারণে প্রকাশ করছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতেও সচেষ্ট ছিল। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বিনোদনের পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্যের জানা-অজানা সব খবর তারা গুরুত্বের সঙ্গে সাধারণ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেন আবার সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা নীতিনির্ধারকদের টেবিলে তুলে ধরেন। প্রতিমঞ্চের এ মহতী কাজ অব্যাহত থাকুক। যুগান্তর এগিয়ে চলুক থেমে না যাওয়ার প্রত্যয়ে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
একুশ মানে এগিয়ে চলা
প্রতিমঞ্চের পাদপীঠ থেকে কল্যাণের আবাহন
সামাজিক অস্থিরতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার প্রতিমঞ্চ। গত বছর জাতীয় নির্বাচনের উত্তাপ, আন্দোলন-সংগ্রাম, সড়ক দুর্ঘটনা, ছেলেধরাসহ বিভিন্ন গুজব, ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গন, বেপরোয়া ছাত্রলীগ, আগুনের বিভীষিকা, দুর্ভোগের ঈদযাত্রা, মাদক-দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার সিন্ডিকেট, মশার উৎপাত, ডেঙ্গুর যাতনা, রেল ও সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণ, বায়ু ও পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে প্রতিমঞ্চের পাদপীঠে। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকার-প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবতা। প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য। ফলে গড়ে ওঠে সচেতনতা, তৈরি হয় জনমত। প্রতিমঞ্চ কারও প্রতিপক্ষ নয় বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে -বিভাগীয় সম্পাদক
যুগান্তর আরও এগিয়ে যাক
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক
সফলতার সঙ্গে একুশ বছরে পা দেয়ায় যুগান্তরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সমাজের নানা অসঙ্গতি, বৈষম্য আর জনদুর্ভোগ তুলে ধরতে পত্রিকাটির প্রতিমঞ্চ বিভাগ সময়োপযোগী এবং সাহসী ভূমিকা রেখে আসছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোয়ও যুগান্তর পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমার শুভেচ্ছা থাকল। যুগান্তর আরও অনেকদূর এগিয়ে যাক।
অন্য পত্রিকায় এত খবর পাওয়া যায় না
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক
যুগান্তর একটা সংবাদপত্র, সংবাদপত্রের কাছে আমাদের প্রাথমিক চাওয়া হচ্ছে এখানে সংবাদ থাকবে। যুগান্তরের এ দিকটি আমার বেশ ভালো লাগে যে, এখানে অনেক খবর থাকে। অন্য পত্রিকাতে এত খবর পাওয়া যায় না। অন্য পত্রিকাতে বড় বড় খবর দেয়। কিন্তু যুগান্তরে খবরগুলোকে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও অনেক খবর পাওয়া যায়। তবে এ পত্রিকায় যে বড় খবর থাকে না, তাও নয়। আবার অনেক সময় অনুসন্ধানমূলক খবর ছাপায়। মানে দু’রকমই থাকে। ছোট ছোট অনেক খবরও পাওয়া যায়, অনুসন্ধানমূলক খবরও পাওয়া যায়। এর ফিচারগুলোও বেশ ভালো লাগে, প্রতিমঞ্চ ভালো করছে। যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চের সফলতা কামনা করছি।
জনমত গঠনের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখছে যুগান্তর
ড. মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি সংবাদপত্র যুগান্তর, দুই দশক পেরিয়ে তৃতীয় দশকে পা দিয়েছে। কালের পরিক্রমায় এটা খুব স্বল্প সময় নয়। এ কারণে যুগান্তরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। জনজীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক বিভিন্ন সময়ে যুগান্তর তুলে ধরেছে। ছাত্র সমাজ, যুবসমাজ, নারী সমাজ, জনসমাজের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতিমঞ্চ তুলে ধরে। এর মাধ্যমে সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে যুগান্তর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ছিল এক সময়ের যুগান্তর দল। সেই ঐতিহাসিক যুগান্তরের নাম ধারণ করে এখন জনমত গঠনের কণ্ঠস্বর হিসেবে যুগান্তর ভূমিকা রাখছে, প্রিয় পত্রিকাটিকে অভিনন্দন।
যে সচেতনতা গড়ে উঠেছে সেটার অংশীদার যুগান্তরও
আবু নাসের খান, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)
নিঃসন্দেহে আজকে যে পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে উঠেছে। তাতে যুগান্তরের একটা ভালো ভূমিকা রয়েছে। মানুষের মাঝে আজকে যে সচেতনতা সেটার অংশীদার যুগান্তরও। যদিও পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এখনও সম্পূর্ণ মাত্রায় বৃদ্ধি পায়নি। মানুষের নিজের দায়িত্বগুলো, করণীয় এখনও ভালোভাবে শেখেনি। এতদিনে জনগণ বুঝতে পেরেছে যে, পরিবেশটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আগামী দিনের প্রত্যাশা হল কার কী কর্তব্য সেটি অনুধাবন করান। যুগান্তরের কাছে প্রত্যাশা করছি, আমরা পরিবেশ নিয়ে যে আন্দোলন করে আসছি, তাতে আগে যুগান্তরকে যেভাবে পাশে পেয়েছি আগামীতেও যেন পাই। তার প্রতিবেদকরা যেন পরিবেশবিষয়ক খবরকে ভালোভাবে তুলে ধরেন এবং সম্পাদকরা যেন সে খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
যুগান্তরের খবরগুলো হোক আমাদের উন্নতির দিশারি
অধ্যাপক রিয়াজুল হক, চেয়ারম্যান, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাবি
যুগ থেকে যুগ যুগান্তরে যেভাবে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ঘুরতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই যুগের পর যুগ পাঠকের সঙ্গে ঘুরছে যুগান্তর। দুই যুগ ধরে পথচলা পত্রিকাটি আজ নতুন এক যুগের পথে হাঁটছে। গত ২০টি বছর যুগান্তর ছিল পাঠকের অন্তরজুড়ে। আর আমাদের কাছে একুশ মানে মাথা নত না করা। তাই প্রত্যাশা করছি যুগান্তর সত্যের সন্ধানে তার নির্ভীক যাত্রা অব্যাহত রাখবে, সে কোনো অন্যায় অপরাধের সঙ্গে আপস করবে না। এ দেশে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটুক, আর যুগান্তর হোক সেই নতুন যুগের স্বপ্ন সারথী। যুগান্তরের নয়নে ধরা পড়ুক দুর্নীতি, যুগান্তরের পাতায় ছাপানো সম্ভাবনার খবরগুলো হোক আমাদের আগামীর উন্নতির পথের দিশারি। আর ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ হয়ে উঠুক নাগরিক সমস্যা সমাধানের প্লাটফরম।
যুগান্তর পাঠক মহলে বিশ্বস্ত
মোহিত কামাল, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক
জন্মদিনে যুগান্তরকে শুভেচ্ছা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যুগান্তরের প্রতিবেদন পাঠক মহলে বিশ্বস্ত। সত্য প্রকাশে আপসহীন থেকেই পত্রিকাটি একুশ বছরে পদার্পণ করেছে। যুগান্তরের অন্যতম ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ পাঠকদের নানা বিষয়ে সচেতন করছে এবং নীতিনির্ধারকদের সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। পাতাটি সমাজের বিভিন্ন সমস্যাবলি, সামাজিক ব্যাধি, সামাজিক অবক্ষয়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিমঞ্চের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। যুগান্তর এগিয়ে চলুক দৃপ্ত পায়ে।
প্রতিমঞ্চ এগিয়ে যাক, যুগান্তর এগিয়ে যাক
প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক, রেজিস্ট্রেশন শাখা, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সফোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), মিরপুর-১, ঢাকা।
সত্যের সন্ধানে নির্ভীক যুগান্তর ২১ বছরে পা রেখেছে, এই শুভলগ্নে যুগান্তর পরিবারকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। যুগান্তরের ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ সমাজের নানা অসঙ্গতি, দুর্নীতি-অন্যায়-অনিয়ম সাহসিকতার সঙ্গে পাঠকের সামনে তুলে ধরছে। প্রতিমঞ্চে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, হওয়াটাই স্বাভাবিক। নানা কারণেই পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিমঞ্চ। প্রতিমঞ্চ এগিয়ে যাক, যুগান্তর এগিয়ে যাক।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে প্রতিমঞ্চ
ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মারুফ, অধ্যাপক, অ্যারাবিক অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, ঢাবি এবং স্থানীয় প্রতিনিধি, ওআইসি
সত্য প্রকাশে আপসহীন ভূমিকার কারণেই প্রিন্ট মিডিয়ার জগতে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে নিয়েছে যুগান্তর। কাগজটি ২১ বছরে পদার্পণ করেছে, খবরটি আনন্দের, উৎসাহের এবং প্রেরণারও। তবে অসত্যগোষ্ঠীর জন্য এটি চরম বেদনার এবং বিপজ্জনক বটে। সত্য প্রকাশে নির্ভীক থাকা মানে ইসলামের পক্ষে থাকা। কোরআনের আলোকে বিশ্বাসীদের প্রধান দুটি কাজ হল, আমর বিল মারুফ ওয়ান নাহি আনিল মুনকার। অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। কোনো সন্দেহ নেই যুগান্তর সে কাজটিই করে যাচ্ছে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে। ফিচার পাতা ‘প্রতিমঞ্চ’ অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার, মানে এখানে কোরআনের কাজই করা হচ্ছে। ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাক যুগ-যুগান্তরের যুগান্তর- এ প্রত্যাশা সব পাঠকের।
যুগান্তর সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি
বিশ্বায়ন ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির কারণে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চার অঙ্গনেই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। চারদিকে দুর্নীতি। সার্বিক শিক্ষার মান তলানিতে। বুদ্ধিজীবীরা আজ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুগান্তর সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিমঞ্চ একেকটি বিষয় বিশদভাবে তুলে ধরে সমাজের নানা অসঙ্গতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশা, এসব সামাজিক অসঙ্গতিকে আরও বেশি বেশি তুলে ধরে সমাজকে পরিশীলিত করতে জোরালো অবদান রাখবে যুগান্তর।
এগিয়ে যাচ্ছে যুগান্তর
মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল, এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দৈনিক যুগান্তর পরিবার ও প্রতিমঞ্চের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিগত মেয়াদে দেশে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তথ্যনির্ভর সমাজ গঠনের পথ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন ও পরিচর্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ দেশের গণমাধ্যম দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় সাহসী, নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় দৈনিক যুগান্তরের অব্যাহত ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে যুগান্তর কাজ করে যাবে
সাদ্দাম হোসেন, ডাকসুর এজিএস ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যুগান্তর একুশ বছরে পদার্পণ করল। পাঠকপ্রিয় এ পত্রিকাটিকে ছাত্রলীগ এবং ডাকসুর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য, আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সত্য, সমতা ও ন্যায়বিচারের জন্য তারা আগামী দিনেও ক্ষুরধার ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে তারা কাজ করে যাবে যুগান্তরের কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা থাকবে। পাশাপাশি প্রতিমঞ্চ পাতাটি অতীতের মতো ছাত্র সমাজের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন করা অব্যাহত রাখবে সেই প্রত্যাশাই করি।
যুগান্তর পাঠক হৃদয়ে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে
মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন
হাঁটি হাঁটি পা পা করে দৈনিক যুগান্তর ২০ পেরিয়ে ২১ বছরে পা দিয়েছে। পত্রিকাটি আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক। পত্রিকাটির ফিচার পাতাগুলোর মধ্যে প্রতিমঞ্চ পাতাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে পাঠকের হৃদয়ে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে। এ পাতাটি আমারও অনেক প্রিয়। প্রতিমঞ্চের কাছে আমার প্রত্যাশা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, পত্রিকার প্রতিমঞ্চ পাতাটি সেই স্বপ্নের সারথি হিসেবে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার পাশে থাকবে যুগান্তর। সরকারের বিভিন্ন কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করবে না এবং অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকুক দৈনিক যুগান্তর
মো. আনোয়ার হোসেন, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)
পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন
দৈনিক যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটি দেশের পাঠকের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে পাতাটি সবসময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখে। একই সঙ্গে সত্য তুলে ধরতে আপসহীন ভূমিকা পালন করে আসছে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটি। এ পত্রিকার প্রতিবেদনে দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখায় সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠার পর অল্পদিনে জনপ্রিয়তা অর্জন এবং দেড় যুগ পেরিয়েও সেই জনপ্রিয়তার মূল কারণ সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকাটির আপসহীন অবস্থান ধরে রাখা। যুগান্তরের জন্য শুভকামনা।
সমাজ সংস্কারে দায়িত্ব পালন করছে যুগান্তর
এস এম তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, গাজীপুর
প্রথমসারির পত্রিকা হিসেবে যুগান্তর সমাজ সংস্কারে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। শুরু থেকেই সংবাদ পরিবেশনে একটি স্বতন্ত্র ধারা বজায় রেখেছে পত্রিকাটি। এ কারণে পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে ২০ পেরিয়ে ২১ বছরে পা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রতিমঞ্চ পাতাটি সমাজ সংস্কারে অনেক দায়িত্ব পালন করে আসছে। পাতাটি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে সত্য খবর দেয়ার চেষ্টা করে বলেই সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার খবর যুগান্তর থেকে সবচেয়ে বেশি পাই
ইলিয়াস কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই
যুগান্তর ২০ বছর পেরিয়ে ২১ বছরে পদার্পণ করল। এ পদার্পণে আমার এবং আমার সংগঠনের তরফ থেকে যুগান্তরের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর ২০১২ সাল থেকে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দিচ্ছি। ২০১১ সাল থেকে আমরা দেখে আসছি যুগান্তর দুর্ঘটনার খবর সবচেয়ে ভালো দেয়, বেশি দেয়। এখান থেকে আমরা তথ্যগুলো সংগ্রহ করি। এটা আমাদের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য একটা উপকার হচ্ছে। সে কারণেই বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনার খবরগুলো যারা দিচ্ছেন প্রতিমঞ্চ পাতাসহ অন্যান্য পাতায়, তাদের বিশেষ করে আমার সাধুবাদ জানাচ্ছি।
সড়ক নিরাপত্তায় প্রতিমঞ্চ হোক সচেতনতার মঞ্চ
কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ
সহকারী অধ্যাপক, সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউট (এআরআই), বুয়েট
বিশ্বস্ততার দিক থেকে ‘যুগান্তর’ অবশ্যই এগিয়ে। গতানুগতিক খবরের বাইরেও পত্রিকাটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এর বিভিন্ন আয়োজন, বিশেষ পাতা ও সংখ্যা। তেমনি একটি পাতা হল ‘প্রতিমঞ্চ’, যা তুলে নিয়ে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া অপরাধ, অসঙ্গতি আর দুর্ঘটনার খবর এবং পৌঁছে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে। এর ফলে নেয়া হচ্ছে কার্যকর ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ। পেশাগত কারণে আমাকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করতে হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। সড়ক নিরাপত্তামূলক প্রতিমঞ্চের অনেক তথ্য আমাকে সমৃদ্ধ করে। আমি মনেকরি শুধু দুর্ঘটনার তথ্যই নয়, সড়কে যাত্রী, পথচারী, চালক, মালিকসহ সব নাগরিককে সচেতন করার বিষয়ে প্রতিমঞ্চ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিমঞ্চ হোক সড়ক নিরাপত্তার সচেতনতার মঞ্চ।
নদীর সঙ্গে থাকবে যুগান্তর
এ কে এম আরিফ উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ ও নদীবন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা
একবিংশ শতাব্দীতে একুশ বর্ষে পা রেখেছে যুগান্তর। নিশ্চয়ই একুশের চেতনায় মাথা নত না করে সত্য প্রকাশে আপসহীন ও নির্মোহভাবে এগিয়ে চলবে যুগ-যুগান্তরে-এ প্রত্যাশা ও শুভ কামনা। নর্দমায় পরিণত হওয়া নদীগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করে পরিচ্ছন্ন প্রবহমান নদীতে ফিরিয়ে আনা এবং নদীপাড়ে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে বিআইডব্লিউটিএ তথা সরকার কঠোর ও টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যুগান্তরসহ দেশের সব মিডিয়া অব্যাহতভাবে নদীর সঙ্গে থাকবে, নদীর পাশে থাকবে, এটি নিশ্চয়ই সকলের মনের একান্ত চাওয়া।
পর্যটনশিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখছে প্রতিমঞ্চ
মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম, চিফ অর্গানাইজার দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ
দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অন্তরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর প্রতিমঞ্চের করা ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলো দারুণ হয়েছে। আগামীতে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকদের সেবার নামে টাকা কামানোর ফাঁদ সম্পর্কে বিশদভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি অতীতের মতো প্রতিমঞ্চ সব সময় পর্যটনশিল্পের পাশে থাকবে।
তথ্যসমৃদ্ধ সমাজ তৈরির যাত্রা অব্যাহত থাকুক
তৌহিদুল হক, কবি ও শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যখন একটি পত্রিকা ২১ বছর পার করে তখন আমরা নিশ্চয়ই খুব নিশ্চয়তার সঙ্গেই উপলব্ধি করতে পারি যে, পাঠক সেই পত্রিকাকে খবরের বিষয়বস্তু, খবরের উপস্থাপন, কিংবা পাঠকদের কাছে সেই পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছেছে। গত ২০ বছর ধরে আমরা যুগান্তর পত্রিকাকে যেভাবে দেখছি তারা সাধারণ মানুষের জীবনবোধ, তাদের নাগরিক অধিকার, জনদুর্ভোগ, রাজনীতি ও সামাজিক অঙ্গনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তথ্যভিত্তিক খবর উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা তারা করেছে। তথ্যসমৃদ্ধ নাগরিক সমাজ তৈরির ক্ষেত্রে যুগান্তরের যে চলমান যাত্রা সেই যাত্রা অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
কাগজের আলাদা একটা অনুভূতি আছে
খুশী কবির, নিজেরা করি
যুগান্তরকে আমার অনেক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা। আমরা আশা করি, যুগান্তর তার দায়িত্ব পালন করবে। জনগণকে একেবারে সঠিক তথ্য দেবে। অধিকাংশ মানুষ যে ধরনের খবর জানতে চায়, তা যেন বেশি প্রকাশ করা হয়। যুগান্তর কারও কথা শুনে লিখবে না, বস্তুনিষ্ঠ খবর তুলে ধরবে এ প্রত্যাশা। আর আমাদের তথ্য দিতে থাকবে। আমি জানি ডিজিটাল যুগ, কিন্তু পত্রিকার আলাদা একটা প্রয়োজন আছে। পত্রিকা পড়ে বিশ্লেষণ করা, বোঝা এর মধ্যে যে অনুভূতিটা কাজ করে সেটা কিন্তু অনলাইনে পাওয়া যায় না। যুগান্তরের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আমরা আশা করি যুগান্তর তার ভূমিকা পালন করেই যাবে।
অনুসন্ধানী অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক
মো. সারওয়ার আলম, আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (র্যাব)
যুগান্তরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় পত্রিকাটির কাছে প্রত্যাশা, জনমানুষের কল্যাণে, সত্যের সন্ধানে তাদের এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। যুগান্তর জনমানুষের কথা বলুক, দেশের কথা বলুক। যুগান্তরে সাপ্তাহিক আয়োজন প্রতিমঞ্চ পাতাটা মাঝেমধ্যে দেখার সুযোগ হয়। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, সামাজিক ব্যাধি, ভোগান্তি, জনদুর্ভোগসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে এক পৃষ্ঠার পুরো আয়োজন থাকে। এমন আয়োজন সত্যিই চমৎকার। প্রতিমঞ্চ পাতায় এসব বিষয়ে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন আমার নজরে এসেছে। এমন প্রতিবেদন সাধারণ পাঠক এবং আমরা যারা দায়িত্বশীল পর্যায়ে আছি তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আশা করছি, সামনের দিনগুলোয় প্রতিমঞ্চ পাতা তাদের অনুসন্ধানী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। যুগান্তর ও প্রতিমঞ্চের জন্য শুভকামনা।
জনগণের মুক্তির প্রতিচ্ছবি
গাউস পেয়ারি, পরিচালক, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যুগান্তরের একুশ বছরে পদার্পণে শুভেচ্ছা। যুগান্তর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাঠক চাহিদা পূরণে যে দায়িত্ব পালন করে আসছে তা অব্যাহত থাকুক। যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিটি শব্দ হোক আশা-প্রত্যাশা আর জনগণের মুক্তির প্রতিচ্ছবি।
ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে
মুফতি মিনহাজ উদ্দীন, মহাসচিব, জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যুগান্তর প্রতি সপ্তাহে প্রতিমঞ্চ নামের একটি বিশেষ পাতা বের করে। যেখানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, জনদুর্ভোগ এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা অব্যাহত রেখেছে যুগান্তর। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে যুগান্তর অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সত্য প্রকাশে যুগান্তরের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
যুগান্তর গণমানুষের কাগজ
মো. মতিউর রহমান মতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক
দৈনিক যুগান্তরের একুশ বছরে পদার্পণে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিমঞ্চ পাতাটির জন্য রইল শুভ কামনা। দৈনিক যুগান্তর গণমানুষের কাগজ। প্রথম থেকেই এ পত্রিকাটি গণমানুষের কথা বলে আসছে। এর মধ্যে প্রতিমঞ্চ পাতাটি সবার কাছে অনেক প্রিয় হয়ে রয়েছে। প্রতিমঞ্চ পাতাটি সমাজের অসঙ্গতি এবং বৈষম্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে। পাতাটি দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখায় সবার আস্থা অর্জন করেছে। দৈনিক যুগান্তরসহ প্রতিমঞ্চ পাতাটির আরও সাফল্য কামনা করছি। প্রতিমঞ্চ এগিয়ে যাক সাহসী প্রত্যয়ে।
সাহসী সাংবাদিকতার আঁতুড়ঘর যুগান্তর দীর্ঘজীবী হোক
মো. আরিফ হোসেন (ছোটন)
সভাপতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি
যুগান্তরের সাহসী পথচলার ২১ বছর চলছে। সুনাম-সুখ্যাতি বজায় রেখে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া একটি কাগজের জন্য বড়সড় অর্জনই বলা চলে। যুগান্তরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণে অনেক দুর্নীতি পাখা মেলে ওড়ার আগেই কালো পাখা কলমের থাবায় ভেঙে গেছে। অন্যসব কাগজ থেকে যুগান্তরের সফলতা এ দিকে বেশিই বলা চলে। পত্রিকাটির ফিচার পাতা প্রতিমঞ্চ দুর্নীতি-অনিয়ম রুখে দেয়ার একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। পত্রিকাটির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এ কথাও বলতে চাই, দীর্ঘ এ পথচলা যেন আরও বেশি দীর্ঘতর হয়।
অসঙ্গতি ও অপরাধের বিষয়গুলো প্রকাশ করছে
দীলিপ কুমার আগরওয়ালা, সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)
যুগান্তরের সফলতার ২০ বছর পূর্তিতে যুগান্তর পরিবারের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই যুগান্তর প্রতি সপ্তাহে প্রতিমঞ্চ নামের একটি বিশেষ পাতা বের করে। পাতাটি সমাজের নানা অসঙ্গতি ও অপরাধের বিষয়গুলো স্পষ্ট উচ্চারণে প্রকাশ করছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতেও সচেষ্ট ছিল। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বিনোদনের পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্যের জানা-অজানা সব খবর তারা গুরুত্বের সঙ্গে সাধারণ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেন আবার সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা নীতিনির্ধারকদের টেবিলে তুলে ধরেন। প্রতিমঞ্চের এ মহতী কাজ অব্যাহত থাকুক। যুগান্তর এগিয়ে চলুক থেমে না যাওয়ার প্রত্যয়ে।