দাঁতের রোগে চিকিৎসায় অবহেলা নয়
আন্তর্জাতিক ডেন্টাল সংগঠন এফডিআই ২০০৭ সাল থেকে ২০ মার্চ ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে এ দিবসটি ধারাবাহিকভাবে পালিত হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় Say Ahh Unite For Mouth Health. বিশ্বের জনগণকে মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতার লক্ষ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বিএফডিএস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি মুজিববর্ষকে সম্মান দেখিয়ে সারা বছর দেশব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি মুজিববর্ষকে সম্মান দেখিয়ে সারা বছর দেশব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে
অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুল
অধ্যক্ষ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ
মহাসচিব, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি
আন্তর্জাতিক ডেন্টাল সংগঠন এফডিআই ২০০৭ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় Say Ahh Unite For Mouth Health. এই দিবসটি লক্ষ্য করে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে প্রায় ১২ লক্ষাধিক ডেন্টাল চিকিৎসক একত্রিত হয়ে তাদের মধ্যকার সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধিতে এবং নিজেদের মধ্যে একাডেমিক কার্যপ্রক্রিয়া আদান-প্রদান করছে। সেই সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের জনগণকে মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতার লক্ষ্যে আহ্বান জানাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বিএফডিএস এবার এক ধরনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে মার্চব্যাপী দেশের সাধারণ জনগণের মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটিও মুজিববর্ষকে সম্মান দেখিয়ে সারা বছর দেশব্যাপী বিনামূল্যে ডেন্টাল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে এবং আমাদের লক্ষ্য কমপক্ষে ১০ লাখের অধিক সাধারণ জনগণের দাঁতের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। আমাদের দেশে বর্তমানে বৈধ প্রায় ১৩০০০ ডেন্টাল চিকিৎসকের পাশাপাশি আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক অবৈধ ভুয়া চিকিৎসক নিজেদের বেআইনিভাবে ডেন্টাল চিকিৎসক পরিচয়ে ডেন্টাল রোগের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর রোগের চিকিৎসা প্রদানের দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে যাচ্ছে। স্পষ্টভাবে জানাতে চাই বিডিএস নয় তো ডেন্টিস্ট নয় অর্থাৎ বিডিএস ডিগ্রিধারী শুধু মুখের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বৈধতা রাখে।
স্পষ্ট উচ্চারণ ও মুখের আকৃতি রক্ষায় দাঁতের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য
ডা. মো. রকিবুল হোসেন রুমী
আহ্বায়ক
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ডেন্টাল সায়েন্স
প্রায় চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ডেন্টাল পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকে ডেন্টাল প্রফেশনের মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। মুখের রোগ প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বিএফডিএসের মাসব্যাপী চলমান কার্যক্রমকে অফুরন্ত সাধুবাদ জানাই ও এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকতে পেরে নিজেকে আনন্দিত বোধ করছি। স্বীকার করি কোনো রোগের চিকিৎসার চেয়ে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা জানা অধিকতর কার্যকরী ও জরুরি। দাঁতের প্রাথমিক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাঁত প্রকৃত চর্বণের মাধ্যমে খাবারকে হজম উপযোগী করে। ফলে দেহ পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। ব্যক্তিত্ব প্রকাশে, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে, কর্মচঞ্চলতা ও বিষণ্নতা দূর করতে দাঁতের অবদান রয়েছে। স্থায়ী দাঁতের পাশাপাশি দুধদাঁতের রয়েছে গুরুত্ব। দুধদাঁতের পরিচর্যার মাধ্যমে তার পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যত্ন নিতে হবে। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে আমরা প্রাকৃতিক খাবারের পরিবর্তে কৃত্রিম খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ছি, ফলে শরীরে নানাবিধ রোগের পাশাপাশি মুখগহ্বরেও বাড়ছে রোগের প্রাদুর্ভাব। অন্যদিকে জন্মগত বা অভ্যাসগত কারণে অনেকের দাঁতের সৌন্দর্যহানি হয় যেমন এলোমেলো, উঁচুনিচু বা ফাঁকা দাঁত নিয়ে অনেকেই মনকষ্টে ভোগেন, ব্যাহত হয় স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ। আমাদের উচিত দাঁত বা মুখগহ্বরের যে কোনো অস্বাভাবিকতা অনুভবের শুরুতেই অবহেলা না করে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যবস্থাপনায় না গিয়ে সরাসরি একজন অনুমোদিত ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
ডেন্টাল চিকিৎসকদের অভাব এখন অনেকটাই দূর হয়েছে
মো. জামিউল হোসেন জামির
প্রধান পৃষ্ঠপোষক
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ডেন্টাল সাইন্স
১৯৯৪ সালের দিকের কথা। তৎকালীন দেশের সমগ্র জনসংখ্যার তুলনায় বিডিএস ডিগ্রিধারী ডাক্তারের সংখ্যা ছিল মাত্র একহাজারের মতো যা সারা দেশের মানুষের মুখের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অপ্রতুল। ডেন্টাল রোগীরা কষ্ট লাঘবে নিরুপায় হয়ে শরণাপন্ন হতো একশ্রেণির ভুয়া অবৈধ হাতুড়ে ডাক্তার/কোয়াকদের কাছে। ভয়ংকর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও অপচিকিৎসার শিকার হয়ে তারা প্রতারিত হতেন। এ অনুভূতি থেকেই তখন আমি ও আমার কাছের কিছু মানুষ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি দেশের প্রথম বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজ। সেই বোধ থেকে ২০০৮ সালের দিকে শুধু মহিলা ডেন্টিস্ট তৈরির চাহিদা অনুভব করে তৈরি করি দেশের একমাত্র মহিলা ডেন্টাল কলেজ, সাফেনা ওমেন’স ডেন্টাল কলেজ। বর্তমানে ডেন্টাল চিকিৎসকদের সেই অতি অভাব অনেকটাই দূর হয়েছে, দেশের মানুষ এখন উন্নত বিশ্বমানের চিকিৎসার নিশ্চয়তা পাচ্ছে।
জনসচেতনতা সৃষ্টি ও ডেন্টিস্টদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ডেন্টাল পেশার মান উন্নত বিশ্বের সমান্তরালের অভিপ্রায়ে সৃষ্টি হয় বর্তমান দেশের অন্যতম কার্যকরী ডেন্টাল সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ডেন্টাল সায়েন্স (বিএফডিএস)। বিশ্ব মুখ গহ্বর স্বাস্থ্য দিবস ২০২০ কে সামনে রেখে পুরো মার্চ মাস বিএফডিএস প্রফেশনের উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে যে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তা হয়তো দেশের ডেন্টিস্ট্রি ও জনগণ মনে রাখবে দীর্ঘ সময়। ধন্যবাদ জানাই দেশের অন্যতম টুথ পেস্ট, টুথ ব্রাশ ও ডেন্টাল ফ্লস প্রস্তুতকারক কোম্পানি মেডিপ্লাসকে, যারা বাংলাদেশে ডেন্টাল পেশায় গঠনমূলক সব কাজে এবং জনসচেতনতায় সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
ডেন্টাল ক্লিনিকের সবাই সতর্ক হলে করোনাভাইরাস ক্লিনিক থেকে ছড়ানো রোধ করা সম্ভব
ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ
সদস্য সচিব
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ডেন্টাল সাইন্স
মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ডেন্টাল সায়েন্স এ বছর ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ্ ডে পালনে মার্চজুড়ে নিয়েছে নানা কর্মসূচি, যেটা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও প্রথম যা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটিসহ আন্তর্জাতিক সংগঠন এফডিআই কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে। করোনাভাইরাসজনিত আতংকে সারা বিশ্ব। মহামারী আকার ধারণ করা নতুন এ ভাইরাস স্পর্শের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় জনসমাবেশের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ সেরা ডেন্টাল চিকিৎসকের সরাসরি উপদেশ নিয়ে চলছে মুখের নানা রোগের কারণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা।
বর্তমানে করোনা বা সাধারণ ভাইরাস আক্রান্ত যে কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, কাশি, সর্দি বা শরীরে ব্যথা থাকা অবস্থায় যে কোনো ডেন্টাল বা দাঁতের রোগ শুরু হলে বিডিএস ডিগ্রিধারী একজন চিকিৎসককে ফোনের মাধ্যমে বা কাছের কাউকে দিয়ে পরামর্শ নিতে হবে- কীভাবে রোগী ডেন্টাল ক্লিনিকে আসবে। প্রাথমিক অবস্থায় ডেন্টাল রোগীকে অবশ্যই নতুন মাস্ক ব্যবহার, পরিষ্কার পোশাক, ৩০ সেকেন্টের বেশি সময় ধরে সাবান দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে ক্লিনিকে আসতে হবে। আসার পথে কাশি বা হাঁচিতে টিস্যু ব্যবহার করে তা সঠিক স্থানে ফেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যেন শরীরের কোথাও কোনো সর্দি, লালা বা কফ লেগে না থাকে। বাজারজাত ১ শতাংশ পোভিডন মাউথওয়াশ ব্যবহার করে আসতে পারলে ভালো। ডাক্তার বা সহকারীর কমপক্ষে ৫ ফুট দূরে থেকে জানাতে হবে তার উল্লেখিত কোনো উপসর্গ আছে কিনা, তিনি এমন কোনো রোগীর সংস্পর্শে ছিল কিনা অথবা তিনি সম্প্রতি কোন দেশ ভ্রমণে গিয়েছিল কিনা। রোগীর ডেন্টাল কষ্ট লাঘবে কীভাবে চিকিৎসা দেয়া যাবে- সেটি চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন। রোগীসহ চিকিৎসাকেন্দ্রে উপস্থিত সবাই যেন এমন উপসর্গে অরক্ষিতভাবে না থাকে- সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ডেন্টিস্টদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি সর্বাধিক। বিএফডিএস জন্মের মাত্র তিন বছরে সুবিশাল পরিসরে দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনার, অসংখ্য জাতীয় সেমিনার ও হ্যান্ডস্ অন আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ডেন্টাল চিকিৎসকদের বিশ্ব সমমানের চিকিৎসা প্রদানে আধুনিক করছে, জনগণের মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন শোভাযাত্রা, স্কুল ক্যাম্পিং, পোস্টার, প্রথম শ্রেণির প্রায় দুই শতাধিক প্রচারমাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ প্রয়াত সমপেশার মানুষদের জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। চিকিৎসকদের ভাতৃত্ব মজবুত রাখতে আয়োজন করেছে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। ডেন্টাল চিকিৎসকদের এমন ইতিবাচক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে বিএফডিএস আরও নতুন কিছু নিয়ে সারা বছরজুড়ে কাজ করতে প্রস্তুত।
যথাযথ যত্নের মাধ্যমে একটি দাঁতকে আজীবন সংরক্ষণ করা সম্ভব
ডা. এম এ ওয়াদুদ সরকার
সাবেক ট্রেজারার
বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি
দাঁতের ক্ষয়রোগ বা ডেন্টাল ক্যারিজ সারা বিশ্বে কমন রোগ। মূলত দাঁতের পাঁচটি পৃষ্ঠের যে কোনো পৃষ্ঠে ডেন্টাল প্লাক জমা শুরু করলে তার মধ্যকার ব্যাকটেরিয়া গোত্রীয় জীবাণু আমাদের গৃহীত বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাদ্যকণাকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের শক্ত প্রতিরক্ষা আবরণকে ক্ষয় করে ডেন্টাল ক্যারিজ তৈরি করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডেন্টাল ক্যারিজ তেমন কোনো উপসর্গ দেয় না, শুধু খাবার জমা, কালো গর্ত অথবা অতি সংবেদনশীল হতে পারে। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা দাঁতের গর্ত হয়তো প্রাকৃতিকভাবে ভালো হয়ে যাবে। সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে ফিলিং করিয়ে না নিলে সংক্রমণ দাঁতের মধ্যকার মজ্জায় প্রবেশ করে ব্যথাসহ নানা জটিলতা করতে পারে। যথাযথ যত্নের মাধ্যমে একটি দাঁতকে আজীবন সংরক্ষণ করা সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্যের কারণে মাড়ির রোগ হতে পারে
অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম
অধ্যক্ষ
ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ
দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষকে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার মিডিয়ার কোনো বিকল্প নেই। দাঁত ব্রাশের সময় বা কোনো কিছুতে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বুঝতে হবে মাড়িতে কোনো রোগ হয়েছে। আমরা যদি সঠিক উপায়ে মুখের পরিচর্যা না করি তাহলে মুখের মধ্যকার অসংখ্য সুপ্ত জীবাণু ও গৃহীত খাদ্যকণা মিলে দাঁতের পৃষ্ঠে আঁঠালোভাবে লেগে ডেন্টাল প্লাক নামক ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি করে এবং তা পরবর্তীতে শক্ত হয়ে পাথর বা ক্যালকুলাসে রূপ নেয়। মূলত এখান থেকেই মাড়ির প্রদাহ শুরু হয়। যাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা উপাদানের অস্বাভাবিকতা থাকে এবং যাদের রক্তের রোগ থাকে যেমন হিমোফিলিয়া, লিউকেমিয়া আছে তাদেরও মাড়ির রোগ হতে পারে। যারা রক্ত তরলীকরণ ওষুধ সেবন করে ও যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তাদেরও মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ যাই হোক এ রোগ পুষে রাখলে দাঁতসহ শরীরের নানা সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ রোগ এড়াতে সঠিক নিয়মে নিয়মিত দাঁতব্রাশ, ডেন্টাল ফ্লস ও প্রয়োজনে জীবাণুমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহারে বিশেষজ্ঞরা উপদেশ দেয়।
অনুলিখন : ডা. আসিফ, ডা. ইমরান ও ডা. মিতুল
