Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং ধৈর্যই পারে করোনা ঠেকাতে

Icon

অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং ধৈর্যই পারে করোনা ঠেকাতে

সরকারের কঠোরতা, ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধৈর্য এবং সতর্কতার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করা যাবে।

সরকারি পর্যায়

* পোর্ট কন্ট্রোলে আরও কঠোর হতে হবে।

* স্ক্রিনিংয়ে আরও কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে।

* আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনে আরও কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে।

* পরীক্ষা (PCR) করার পরিধি বাড়াতে হবে। যেসব দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে তার একটি কারণ ছিল পিসিআর এর মাধ্যমে দ্রুত রোগ নিরুপণ।

* হেলথ পার্সনালদের প্রটেকশন শতভাগ কার্যকর করতে হবে। তারা যদি আক্রান্ত হন পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ধস নামবে। এ ক্ষেত্রে শিথিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আমাদের সরকার এসব ক্ষেত্রে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা প্রশংসনীয়।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে সতর্কতা

একা থাকুন, ৬ ফিট (কম পক্ষে ৩ ফিট) দূরে থাকুন। অতীব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না, বাহিরের মানুষকে (অন্য কাউকে) ঘরে আসার জন্য উৎসাহিত করবেন না।

ব্যক্তিগত সুরক্ষার পদ্ধতিগুলোকে অভ্যাসে পরিণত করুন।

হাত ধোয়া : হাত ধোয়ার পদ্ধতি আপনারা সবাই জানেন। এখানে তা বলছি না তবে কখন হাত ধুবেন, কতবার হাত ধুবেন এটা নিয়ে কিছু বলছি-

১. বাহির থেকে আসার পর হাত ধুয়ে ঘরে ঢুকবেন।

২. কোন ব্যবহারের জিনিস ধরার পরে হাত ধুবেন।

৩. যদি মুখমণ্ডলে হাত দেয়া অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠে তাহলে হাত ধুয়ে মুখমণ্ডল স্পর্শ করুন।

৪. গৃহস্থালি কাজ করার পর হাত ধুবেন।

৫. টাকা গণনা করার পর হাত ধুবেন।

৬. এছাড়াও দিনে ৫ বার, ১০ বার এমনকি দুই ঘণ্টা পরপর হাত ধুবেন।

থুথু ফেলা : নির্দিষ্ট স্থান ব্যতিরেকে কফ, থুথু ফেলবেন না।

হাত দিয়ে মুখমণ্ডল স্পর্শ করবেন না।

মাস্ক ব্যবহার এবং মাস্ক খোলা সম্পর্কে জেনে নিন।

ঘরের আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি সাবান পানি দিয়ে দিনে ৩/৪ বার পরিষ্কার করুন। দরজার নব (knob) দুই ঘণ্টা পর পর ওয়াশ করুন।

প্রতিদিনকার পরিহিত পোশাক গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

হাতের নখ পরিষ্কার এবং ছোট রাখুন।

ধৈর্য

কোভিড-১৯ কে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করুন। আতঙ্ক গ্রস্ত হবেন না। আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে কি লাভ? আতঙ্ক গ্রস্ত হলে আপনার মানসিক সমস্যা হবে। তাতে করে সতর্কতায় ব্যাঘাত ঘটবে। মনে রাখবেন এ অমানিশার রাত থাকবে না একদিন ভোরের সূর্য উঠবে। শত বছর পরপর এ ধরনের মহামারী আসে। ১৭২০ সালে এসেছিল প্লেগ, ১৮২০ সালে কলেরা, ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু আর এবার ২০২০ সালে আসল কোভিড-১৯। অতীতে যখনই এ বিশ্বে মহামারী এসেছিল তখনই মানুষ ভেবেছিল এ বুঝি শেষ। কিন্তু পৃথিবী শেষ হয়নি মহামারী শেষ হয়েছে। তাই অতীতের কথা চিন্তা করে আশায় বুক ভরতে পারেন এবারের মহামারীও শেষ হবে, পৃথিবী থেকে যাবে।

লেখক : সাবেক অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন

করোনা সচেতনতা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম