করোনা মহামারীতে রমজান
হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির রোগীদের করণীয়
ডা. আবুল হাসান মুহম্মদ বাশার
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সারা বিশ্বের মুসলমান এ বছর এমন এক রমজান পালন করছেন, যা তারা আর কোনো দিন পালন করেননি, ভবিষ্যতেও কোনো দিন করবেন কিনা সন্দেহ!
মুসলমানরা মসজিদে যেতে পারছেন না, উমরাহ বন্ধ, হজ অনিশ্চিত, তারাবিহ তো বটেই এমনকি ঈদের নামাজও ঘরে পড়তে হয় কিনা অধিকাংশ দেশে সেই আলোচনা চলছে। নিকট ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর খাদ্য সংকটের আলামত দেখা যাচ্ছে ইয়েমেনসহ অনেক দরিদ্র মুসলমান দেশে। পবিত্র এ মাসের সামনে দাঁড়িয়ে সবার আগে যে বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।
মহামারীর এ সময়ে রোজা রাখা নিরাপদ কি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এ ব্যাপারে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। কোভিড-১৯ এর ওপর রোজার প্রভাব সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। সুস্থ মুসলমানদের কোভিড-১৯ মহামারীর এ সময়েও রোজা রাখতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন কি না- এ ব্যাপারটা আর দশটা রোগের ব্যাপারে ইসলামের যে বিধান রয়েছে, সেরকম হওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
এর অর্থ এই যে উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন কোভিড-১৯ রোগীও চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক রোজা রাখতে পারেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ওজুর যে বিধান রয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়েছে, এটি কোভিড-১৯ এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও ভালো একটি অভ্যাস।
নির্দেশিকাটিতে ওজুর সঙ্গে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও অ্যালকোহলসমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রোজার সময় প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বাদ দিয়ে টাটকা খাদ্য গ্রহণ ও ধূমপান বর্জনের পরামর্শও দেয়া হয়। রমজানের ধর্মীয় আচার পালনে সব সময় ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার উপরে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
রোজা ও হৃদরোগ
হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির ওপর রোজার প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক গবেষণা চলছে। বিগত এক দশকে এ ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, রোজা উচ্চরক্তচাপ, রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রোজা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা তথা কার্যকারিতা বাড়ায়, ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজতর হয়। রোজা ওজন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। দেখা যাচ্ছে হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালি রোগের প্রায় সবক’টি নিয়ামকের ওপরেই রোজার উপকারী প্রভাব রয়েছে। উচ্চরক্ত
চাপ, রক্তে বাড়তি কোলেস্টেরল ও শারীরিক স্থূলতায় ভুগছেন- মধ্যবয়সী এমন রোগীদের ওপর রোজার প্রভাব নিয়ে এক গবেষণা জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস অ্যান্ড রিসার্চ নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে ২০১৪ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়। এতে দেখানো হয়েছে, সিয়াম সাধনায় রক্তচাপ ও শরীরের ওজন কমেছে। দশ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় রোজায় রক্তচাপ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও বাড়তি ওজন হ্রাস এবং উপকারী কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া গেছে। গবেষণাটি নিউট্রিশনাল জার্নাল নামক বিজ্ঞান সাময়িকীর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
মুসলমান ছাড়াও বিভিন্নভাবে উপবাসের চর্চা করেন এমন জনগোষ্ঠীর ওপরে গবেষণা চালিয়েও একইরকম ফলাফল পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আমেরিকার ইউটা অঙ্গরাজ্যের মরমন জনগোষ্ঠীর উপরে পরিচালিত এমন একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মরমনরা মাসের নির্দিষ্ট দিনে খাদ্যগ্রহণ করেন না।
অ্যানজিওগ্রাম বা অ্যানজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে মরমনসহ এরকম ২০০০ হৃদরোগীকে নমুনা হিসেবে নিয়ে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা যায়, উপবাস চর্চাকারী মরমনদের মধ্যে হার্ট ফেইলিওর অন্যদের তুলনায় শতকরা ৭১ ভাগ কম, যদিও হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। গবেষণার এ ফল ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ফিলাডেলফিয়া শহরে অনুষ্ঠিত আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় উপস্থাপিত হয়।
মস্তিষ্কের রোগ স্ট্রোক ও রোজা
মস্তিষ্কের রোগ স্ট্রোকের ওপর রোজার প্রভাবের বিষয়টিও বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। সিঙ্গাপুর মেডিকেল জার্নালের ২০০৬ সালের মে সংখ্যায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, রমজান মাসে স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বছরের অন্য মাসগুলোর তুলনায় বেশি নয়। হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির রোগের ঝুঁকিতে আছেন এমন রোগীদের ওপর পরিচালিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
রোজা রাখার কারণে স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত রক্তের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কমে যায় (হাই সেনসিটিভিটি সি রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন ও প্লাজমিনোজেন অ্যাকটিভেটর ইনহিবিটর-১)। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে। গবেষণাটি দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ কার্ডিওভাস্কুলার রিসার্চ এ ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকলে শরীরে এমন কিছু ক্রিয়া-বিক্রিয়া শুরু হয় যা শরীরের জন্য উপকারী। এসবের মধ্যে অন্যতম হল- ‘অটোফেজি’ ও কোষের পুনর্জন্ম। নোবেল বিজয়ী জাপানি বিজ্ঞানী ইয়োশিনরি ওশুমির কল্যাণে বিষয়টি আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।
রোজা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোজা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) বৃদ্ধি করে। করোনা মহামারীর এ সময়ে মানুষ যখন ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন পদের খাবারদাবারের পেছনে ছুটছে, তখন রোজা হতে পারে এক সত্যিকারের আশীর্বাদ।
করোনা আক্রান্ত হৃদরোগীদের রোজা
কোভিড-১৯ একটি নতুন ব্যাধি। সংক্রামক এ ভাইরাসটি সম্পর্কে অনেক কিছুই এখনও মানুষের অজানা। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ নিয়ে ক্লান্তিহীন গবেষণা চলছে যদিও এখনও যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত মানুষের হাতে আসেনি। আজ যাকে ঠিক বলে মনে করা হচ্ছে, অধিকতর গবেষণায় কালই তা ভুল প্রমাণিত হতে পারে, হচ্ছেও। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে তার ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই বা মৃদু উপসর্গ আছে, তাদের রোজা রাখতে বাঁধা নেই। তবে সিদ্ধান্তটি চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক হওয়া নিরাপদ। হৃদরোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি ‘না’ বলা হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের প্রশ্নোত্তর পাতায়।
সম্প্রতি পাকিস্তানভিত্তিক ‘বাকাই ইন্সটিটিউট ও ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি’ আয়োজিত এক অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা কোভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগীদের জন্য রমজানের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে বক্তারা বলেছেন, ডায়াবেটিস করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে না। তবে হৃদরোগীদের একথা মনে রাখা প্রয়োজন যে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে তাদের উপসর্গ তীব্র হওয়ার আশংকা অন্যদের তুলনায় বেশি। তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিও অন্যদের তুলনায় বেশি। একই কথা পুরুষ, বয়স্ক ও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
করোনা ও হৃদরোগের ওষুধ
রোজা রাখছেন এমন হৃদরোগীদের জন্য ওষুধের সময় এবং মাত্রায় কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। এটিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক করা উচিত।
কোভিড-১৯ মহামারীতে উচ্চ রক্তচাপের জন্য বহুল ব্যবহৃত অ্যানজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ইনহিবিটর সংক্ষেপে এসিইআই (র্যামিপ্রিল, ভ্যাসোপ্রিল ইত্যাদি) বা অ্যানজিওটেনসিন রিসেপটর ব্লকার (লোসারটান, ভালসারটান ইত্যাদি) জাতীয় ওষুধ আলোচনায় এসেছে। মানব শরীরে করোনাভাইরাস অ্যানজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম-২ (এসিই-২) রিসেপটরের মাধ্যমে কাজ করে।
এ ধরনের ওষুধ তাই এসিই-২ রিসেপটরের সংখ্যা বৃদ্ধির (আপরেগুলেশন) মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে- এরকম ধারণা করা হয়েছিল, যদিও গবেষণায় এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং এ জাতীয় ওষুধের উপকারী বৈশিষ্ট্যগুলো অসংখ্য গবেষণার মাধ্যমে পরীক্ষিত। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির নির্দেশনাতে এ ওষুধ বন্ধ করতে বলা হয়নি। বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের অসংখ্য রোগী এ ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন এবং তাদেরও তাই কোনো পরিবর্তন ছাড়াই এ ওষুধ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
রোজায় হৃদরোগীদের ওষুধের ডোজের সমন্বয়
হৃদরোগের বেশ কিছু ওষুধ দিনে একবার বা দু’বার খেতে হয়। ইফতার এবং সাহরির সঙ্গে এগুলোকে মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে নাইট্রেট জাতীয় ওষুধের কথা বলা যায়। সাধারণত এ ওষুধ দিনে দু’বার খেতে হয়- এমনভাবে যেন মাঝখানে একটা লম্বা সময় ‘নাইট্রেটমুক্ত সময়’ হিসেবে পাওয়া যায়। সেই বিবেচনা থেকে ইফতার এবং সাহরিতে নাইট্রেট খেলেও দিনের একটা লম্বা সময় শরীর নাইট্রেটমুক্ত থাকবে।
রক্ত পাতলা রাখার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় যে ওষুধ সাধারণত দুপুরে ভরা পেটে দেয়া হয়ে থাকে, সেটি ইফতারের পর বা সাহরির পর খেতে অসুবিধা নেই। আবার বুকে ব্যথা হলে প্রয়োজনে জিহ্বার নিচে নাইট্রেট ট্যাবলেট বা স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে রোজার ক্ষতি হয় না।
রোজায় হৃদরোগীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
ওষুধপত্রের এসব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে খাবারের নিয়ম-কানুনগুলোও আগের মতোই মেনে চলতে হবে, যেমন- বাড়তি লবণ, লাল মাংস ও অতিরিক্ত তেল বা মসলাযুক্ত খাবার পরিহার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া। হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির রোগীদের একটি বড় অংশ ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন। রমজানে ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণও অত্যন্ত জরুরি।
এ ব্যাপারে রমজানের শুরুতেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওষুধের সময় ও মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। ইসলামী পণ্ডিতরা এ ব্যাপারে একমত যে ইনসুলিন ব্যবহার বা গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তে চিনি পরীক্ষা করলে রোজার ক্ষতি হয় না। সব ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ নাও হতে পারে।
অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ
অসুস্থ মুসলমান ভাইবোনেরা রমজান এলেই ভেতরে ভেতরে এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করেন। রোজা রাখলে রোগের অবনতি হবে কি না, রোজার কারণে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে কি না- এসব দুর্ভাবনা তাদের মনের ভেতরে কাজ করে। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর এই অস্থিরতা আরও বেশি। ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় আমাদের দেশে করোনার উপদ্রব একটু দেরিতে শুরু হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে এর ভয়াবহতা।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম এই রোজা যারা সারা জীবন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করে এসেছেন এবং এখন রোগের কারণে পারছেন না বা করতে ভয় পাচ্ছেন- তাদের মানসিক অবস্থাটা বোঝা কঠিন নয়। তাই মনে রাখা প্রয়োজন যে খুব অসুস্থ রোগী- দীর্ঘ সময়ের উপবাস যাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে তাদের চিকিৎসক মনে করছেন- তাদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির রোগীদের জন্যও এ কথা প্রযোজ্য।
তবে একই সঙ্গে একথাও ঠিক যে এ ধরনের অধিকাংশ রোগী তাদের ওষুধপত্র ও খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনে অশেষ বরকতময় এই সিয়াম-সাধনা করতে পারেন। লকডাউনের এ সময়ে স্থিতিশীল হৃদরোগী ও রক্তনালির রোগীরা পরামর্শ সেবার জন্য টেলিমেডিসিনের সাহায্য নিতে পারেন। বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি ও বাংলাদেশ ভাস্কুলার সোসাইটি বিনামূল্যে এই সেবা দেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক (ভাস্কুলার সার্জারি), জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা
ahmbashar@gmail.com
