প্রাণবন্ত হাসি শরীর ও মনের চাপ কমায়
সুস্থ থাকুন ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুখ প্রকাশের অন্যতম উপাদান হচ্ছে হাসি। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে হাসি একটি অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম। হাসি এক ধরনের মুখমণ্ডলীয় বহিঃপ্রকাশ, যা সচরাচর মুখের নমনীয় পেশিকে দুপাশে প্রসারিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। মানুষের সুখ, মজা, আনন্দ-এসবের জন্যই হাসির প্রচলন বিদ্যমান। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, ভেংচি কাটা, রাগ, ভয় ইত্যাদি প্রদর্শনেও হাসির ব্যবহার হয়ে থাকে। হাসি মানুষের শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির মাধ্যমে সুস্থ রাখতে ভীষণ কার্যকরী। হাসি মানুষের শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। চারদিকে যেভাবে স্ট্রেস বাড়ছে, এ থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হাসি। খেয়াল করে দেখবেন, আপনি হাসলে আপনার সঙ্গে বা পাশে থাকা মানুষ বা মানুষগুলোও হাসতে থাকে। হাসি খুব দ্রুত একজনকে স্পর্শ করতে পারে। আপনি যতক্ষণ হাসতে থাকবেন, ততক্ষণ এবং তারও বেশি সময় ধরে হাসির রেশে আপনার চিন্তা বা হতাশা কেটে যাবে। হাসিখুশি মুখ দেখতেও ভালো লাগে। তাই প্রাণখুলে হাসুন এবং অন্যকেও হাসান।
হাসির তাৎক্ষণিক উপকারিতার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতাও বিদ্যমান। যেমন-
* মানসিক চাপমুক্ত করে : হাসলে মানসিক চাপ কমে যায়। হাসির সময় আমাদের শরীরে অ্যান্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত কর্টিসল হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলে। এতে মানসিক চাপ দূর হয় এবং আমাদের হারানো আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে। সুতরাং প্রাণ খুলে হাসুন।
* বন্ধন মজবুত করে : যদি দুজন মানুষ একসঙ্গে প্রাণ খুলে হাসতে পারেন, তাহলে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা বেশ কম। হাসি দলীয় বন্ধন (টিমওয়ার্ক) মজবুত করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : হাসি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধক শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলাফল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
* অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায় : হাসার কারণে ফুসফুস প্রসারিত হয়। ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রবেশ করে, যা পরবর্তী সময়ে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নানা রোগের প্রকোপ কমে যায়।
* রাগ কমাতে সাহায্য করে : হাসির মতো কোনো কিছুই এত দ্রুত রাগ প্রশমিত করতে সাহায্য করে না। কোনো সমস্যার মজার দিকটায় নজর দিলে অনেক সময় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিক্ততা বা বিরক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে সমস্যার সমাধান করা যায়।
* রক্তচাপ কমায় : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হাসার সময় শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, রক্তনালিগুলো প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিরা-ধমনির ওপর চাপ কম পড়ে। আর এর ফলে উচ্চরক্তচাপ কমায়। তাই রক্তচাপ কমাতে প্রফুল্ল থাকুন এবং প্রচুর হাসুন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রাণবন্ত হাসি শরীর ও মনের চাপ কমায়
সুখ প্রকাশের অন্যতম উপাদান হচ্ছে হাসি। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে হাসি একটি অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম। হাসি এক ধরনের মুখমণ্ডলীয় বহিঃপ্রকাশ, যা সচরাচর মুখের নমনীয় পেশিকে দুপাশে প্রসারিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। মানুষের সুখ, মজা, আনন্দ-এসবের জন্যই হাসির প্রচলন বিদ্যমান। এ ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, ভেংচি কাটা, রাগ, ভয় ইত্যাদি প্রদর্শনেও হাসির ব্যবহার হয়ে থাকে। হাসি মানুষের শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির মাধ্যমে সুস্থ রাখতে ভীষণ কার্যকরী। হাসি মানুষের শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। চারদিকে যেভাবে স্ট্রেস বাড়ছে, এ থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হাসি। খেয়াল করে দেখবেন, আপনি হাসলে আপনার সঙ্গে বা পাশে থাকা মানুষ বা মানুষগুলোও হাসতে থাকে। হাসি খুব দ্রুত একজনকে স্পর্শ করতে পারে। আপনি যতক্ষণ হাসতে থাকবেন, ততক্ষণ এবং তারও বেশি সময় ধরে হাসির রেশে আপনার চিন্তা বা হতাশা কেটে যাবে। হাসিখুশি মুখ দেখতেও ভালো লাগে। তাই প্রাণখুলে হাসুন এবং অন্যকেও হাসান।
হাসির তাৎক্ষণিক উপকারিতার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতাও বিদ্যমান। যেমন-
* মানসিক চাপমুক্ত করে : হাসলে মানসিক চাপ কমে যায়। হাসির সময় আমাদের শরীরে অ্যান্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত কর্টিসল হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলে। এতে মানসিক চাপ দূর হয় এবং আমাদের হারানো আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে। সুতরাং প্রাণ খুলে হাসুন।
* বন্ধন মজবুত করে : যদি দুজন মানুষ একসঙ্গে প্রাণ খুলে হাসতে পারেন, তাহলে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা বেশ কম। হাসি দলীয় বন্ধন (টিমওয়ার্ক) মজবুত করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : হাসি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধক শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলাফল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
* অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায় : হাসার কারণে ফুসফুস প্রসারিত হয়। ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রবেশ করে, যা পরবর্তী সময়ে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নানা রোগের প্রকোপ কমে যায়।
* রাগ কমাতে সাহায্য করে : হাসির মতো কোনো কিছুই এত দ্রুত রাগ প্রশমিত করতে সাহায্য করে না। কোনো সমস্যার মজার দিকটায় নজর দিলে অনেক সময় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিক্ততা বা বিরক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে সমস্যার সমাধান করা যায়।
* রক্তচাপ কমায় : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হাসার সময় শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, রক্তনালিগুলো প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিরা-ধমনির ওপর চাপ কম পড়ে। আর এর ফলে উচ্চরক্তচাপ কমায়। তাই রক্তচাপ কমাতে প্রফুল্ল থাকুন এবং প্রচুর হাসুন।