দাঁতের গর্তে রুট ক্যানেল না ফিলিং
- ডা. মো. মোশাররফ হোসেন খন্দকার
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দাঁতের যে অংশটি আমরা দেখতে পাই, সেটি শরীরের সবচেয়ে শক্ত সাদা বর্ণের এনামেল নামক স্তর দিয়ে আবৃত। এর পরের হলুদভাব স্তরটি ডেন্টিন আর সর্ব ভেতরের স্তরটি দাঁতের প্রাণ বা মজ্জা।
মাড়ির ও চোয়ালের হাড়ের মধ্যকার দাঁতের শিকড়ের বাইরের স্তরটি সিমেন্টাম নামক পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে আর ভেতরের বাকি দুইটি স্তর একই। দাঁতের ক্ষয় যখন প্রথম দুটি স্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তখন ফিলিংয়ের মাধ্যমেই দাঁত কে স্বাভাবিক রাখা যায়। এনামেল ক্ষয় হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতে তেমন কোনো অস্বাভাবিকতা অনুভব হয় না, ডেন্টিন ছুঁয়ে গেলে দাঁত শিনশিন করতে পারে।
অবহেলা বা উদাসীনতার কারণে দাঁতের গর্তের গভীরতা যখন মধ্যকার মজ্জাতে যায় তখন অনেক ব্যথার সৃষ্টি করে, তখন আক্রান্ত দাঁত রক্ষায় রুট ক্যানেল একটি কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা। চিকিৎসাকৃত দাঁতটির ওপর কৃত্রিম মুকুট বা ক্যাপ করে নেওয়া জরুরি।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে শুষ্ক মুখ, রুট এবং করোনাল ক্যারিজ এবং পেরিওডন্টাইটিস দেখা যায়। বয়স্কদের মাড়ি রোগের ক্ষেত্রে মাড়ি গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ফোলা ও ব্যাথাযুক্ত মাড়ি থেকে সহজেই রক্তপাত হয়। বয়স্কদের মাড়ি মসৃণ, উজ্জ্বল এবং নাজুক অবস্থায় থাকে। বয়স্কদের যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের মাড়ি রোগের দ্রুত অবণতি ঘটে।
- ডা. মো. মোশাররফ হোসেন খন্দকার
লাইন ডাইরেক্টর, চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, উপদেষ্টা বিএফডিএস
