করোনাকালে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা
মনিরুজ্জামান চৌধুরী
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। হাজীপুর গ্রামের ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সী মায়েরা এখানে চিকিৎসাসেবা নেন। করোনাকালীন সময়ে পাঁচ মাসের এক গর্ভবতী এখানে গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ গর্ভবতী জানালেন, গর্ভকালীন যে ৪ বার চেকআপ করাতে হয়- তা এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এক তথ্যে জানা যায়, মার্চ থেকে আগস্ট- এ ছয় মাসে নোয়াখালীর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় প্রসবকেন্দ্রগুলোয় ৩ হাজার ৭৫৭ জন মা প্রসবসেবা নিয়েছেন।
নোয়াখালীর ৩টি পরিবার পরিকল্পনা সেবাকেন্দ্রের মধ্যে আরেকটি হচ্ছে বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এখানে অনেক গর্ভবতী ও প্রসুতি মা সেবা নেন।
চানন্দী ইউনিয়ন দুর্গম হাতিয়া উপজেলার একটি নতুন চরজাগা দুর্গম ইউনিয়ন। এখানে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল না। স্থানীয় সরকার ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেখানে জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে ২৪/৭ প্রসবসেবা চালু করেছে।
এ কেন্দ্রের প্যারামেডিক নাসরীন আক্তার জানান, জুলাই মাসে এখানে ৫৭ জন মা প্রসবসেবা নিয়েছেন। আগস্টে নিয়েছেন ৫৪ জন। এখানে প্রতি মাসে প্রায় গড়ে ৫০০ মা বিভিন্ন সেবা নেন। প্রায় ২০০ মা পরিবার পরিকল্পনা সেবা নেন। একইভাবে দুর্গম হাতিয়া উপজেলায় আরও ৬টি ইউনিয়নে একই রকমভাবে স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীদের দ্বারা ৬টি কেন্দ্রে ২৪/৭ প্রসবসেবা চালু আছে।
এর ফলে হাতিয়া উপজেলায় মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবার হার যেখানে ছিল শতকরা ১ ভাগের নিচে, তা এখন তা শতকরা ৪৮ ভাগের ওপরে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের নোয়াখালীর উপ-পরিচালক একেএম জহিরুল ইসলামের মতে, জেলার ২৫টির অধিক কেন্দ্রে ২৪/৭ প্রসবসেবা চালু রয়েছে। স্থানীয় সরকারের সম্পৃক্ততায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন কর্তৃক বাস্তবায়িত মা-মনি প্রকল্প। জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ও দুর্গাপুর কেন্দ্র দুটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর সংখ্যা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভবতী সেবা, কিশোর-কিশোরী সেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন সেবা ও স্কুল স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মসূচিসহ অন্যান্য সেবাও প্রদান করে।
