ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র: আঞ্জুমান আরা বেগম
এটিএম সামসুজ্জোহা
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সফল হলেন আত্মপ্রত্যয়ী নারী আঞ্জুমান আরা বেগম। ডাক নাম বন্যা। তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ছাড়া দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতিতে আঞ্জুমান আরা বেগমের চলার পথটা অতটা মসৃণ ছিল না। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি, হারাননি মনোবল। তিনবার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ২০১৫ সালে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেছেন। কিন্তু কূটকৌশলের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয়বরণ করেছেন। তবুও দমে থাকেননি তিনি। শত বাধা ডিঙ্গিয়ে রাজনৈতিকভাবে এই প্রথম সফল হলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে তিনি পথ চলেছেন। তার বাবা ও শ্বশুর ছিলেন মুজিবভক্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সক্রিয় সদস্য।
আঞ্জুমান আরা বেগমের জন্ম দিনাজপুরের সুইহারী মহল্লায়। বাবা শাহ আহমেদ আলী এবং মা রোকেয়া বেগম।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী মেয়র হিসাবে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন জনগণের সেবা করার জন্য। এলাকার উন্নয়নের আশায় পৌরসভার মানুষ বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। ২৬ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। তাদের সহযোগিতার কারণে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। একজন সংবাদকর্মী হিসাবেযেমন ঠাকুরগাঁওয়ের অবহেলিত মানুষের কথাগুলো পত্রিকায় তুলে ধরেছি। তেমনি পৌরসভার সব সমস্যা খুঁজে বের করে ঠাকুরগাঁও পৌরবাসীকে আধুনিক মডেল পৌরসভায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেব। প্রান্তিক নারীদের কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং সম-মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দেব।
তিনি আরও বলেন, পৌরসভার সব নাগরিকের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করাই আমার ব্রত। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ শুরু করেছি। মশা নিধনের কাজটিও আরম্ভ করেছি।
সংসার জীবন শুরু ১৯৯২ সালে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি। সংসার জীবনে তিনি দুই সন্তানের মা। ছেলে আসাদুজ্জোহা বাঁধন জাতীয় দলের জুডোকার এবং কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। মেয়ে শাকিলা জাহান শোভন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ১২২ শিশু লেখাপড়া করছে। সময় সুযোগমতো সাহিত্য ও সংগীত চর্চাও করেন। ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন তিনি। কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। রাজশাহীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। সাংবাদিকতা ও লিডারশিপের ওপর ডিপ্লোমা করেছেন।
