দূর হোক সব বাধা
সম্প্রতি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন স্তরে ব্যবহৃত সব ফরম পূরণে অভিভাবকের ঘরে বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবক শব্দ বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) পর্যায়ে বাবার নাম না দিয়ে মায়ের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সুযোগ নিয়ে ১৪ বছর আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দেন। এ রায় নারীর অধিকার রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যত বাধা আছে, এ রায়ের মাধ্যমে নারীরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান ফরম পূরণে বাবা অথবা অভিভাবকের নাম উল্লেখ করার সুযোগ ছিল এতদিন।
মানবসভ্যতাকে আজকের পর্যায়ে উন্নীত করার ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে নবগঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তদানীন্তন সরকার নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নারী অধিকার ও উন্নয়ন আন্দোলনের অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেছে, সমর্থন প্রদান করেছে। সুযোগ পেলে নারীরা সবক্ষেত্রেই তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম। তাই রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিকারহীনতাসহ নানা ক্ষেত্রে এ দেশের নারীদের বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
হাইকোর্টের এ রায় সম্পর্কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘প্রথমত, এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। তবে মনে রাখতে হবে, নারীর অধিকারের বিষয়ে এটি একটি পদক্ষেপ মাত্র। এটি শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে। কিন্তু নারীর জীবনের সর্বক্ষেত্রে যত অধিকারহীনতার যন্ত্রণা আছে, আমাদের প্রত্যাশা সব যন্ত্রণার অবসান হবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। পূর্ণাঙ্গ রায়টি এখনো আমরা দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে প্রাথমিকভাবে যেটুকু জেনেছি, তাতে বলতে পারি, হাইকোর্টের এ রায়টি অবশ্যই ইতিবাচক।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইতিবাচক
দূর হোক সব বাধা
সম্প্রতি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন স্তরে ব্যবহৃত সব ফরম পূরণে অভিভাবকের ঘরে বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবক শব্দ বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) পর্যায়ে বাবার নাম না দিয়ে মায়ের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সুযোগ নিয়ে ১৪ বছর আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দেন। এ রায় নারীর অধিকার রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যত বাধা আছে, এ রায়ের মাধ্যমে নারীরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান ফরম পূরণে বাবা অথবা অভিভাবকের নাম উল্লেখ করার সুযোগ ছিল এতদিন।
মানবসভ্যতাকে আজকের পর্যায়ে উন্নীত করার ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে নবগঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তদানীন্তন সরকার নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নারী অধিকার ও উন্নয়ন আন্দোলনের অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেছে, সমর্থন প্রদান করেছে। সুযোগ পেলে নারীরা সবক্ষেত্রেই তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম। তাই রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিকারহীনতাসহ নানা ক্ষেত্রে এ দেশের নারীদের বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
হাইকোর্টের এ রায় সম্পর্কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘প্রথমত, এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। তবে মনে রাখতে হবে, নারীর অধিকারের বিষয়ে এটি একটি পদক্ষেপ মাত্র। এটি শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে। কিন্তু নারীর জীবনের সর্বক্ষেত্রে যত অধিকারহীনতার যন্ত্রণা আছে, আমাদের প্রত্যাশা সব যন্ত্রণার অবসান হবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। পূর্ণাঙ্গ রায়টি এখনো আমরা দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে প্রাথমিকভাবে যেটুকু জেনেছি, তাতে বলতে পারি, হাইকোর্টের এ রায়টি অবশ্যই ইতিবাচক।’