Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

তবু যাই এগিয়ে

আইএমএফের প্রথম নারী প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ

Icon

সুমন্ত গুপ্ত

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গীতা গোপীনাথ ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর কর্ণাটকের মাইসোরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা টিভি গোপীনাথ ও মা বিজয়লক্ষ্মী কেরালার মানুষ। বাবা কৃষক ও মা গৃহবধূ। আর্থিক দৈন্যতার জন্য ছোটবেলা থেকেই অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে তাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে বিএ ও দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেন। গীতা উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন দিল্লি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন। এরপরই শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। ২০০৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ২০১০ সালে সেখানে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। হার্ভার্ডের ইতিহাসে গীতা হচ্ছেন তৃতীয় নারী; যিনি অর্থনীতি বিভাগের চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পর প্রথম ভারতীয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের বা আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসাবে যোগ দেবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গীতা গোপীনাথ। আগামী ডিসেম্বরে মাউরি অবসফিল্ডের স্থলাভিষিক্ত হবেন এ অর্থনীতিবিদ।

এর আগে তিনি কেরালার পিনারাই বিজয়ন সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে বিশ্বের ৪৫ বছরের কম বয়সি ২৫ জন প্রথম সারির অর্থনীতিবিদ হিসাবে আইএমএফের স্বীকৃতি পান গীতা। আইএমএফের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বড় বড় দায়িত্বে নারীদের এগিয়ে আসার পক্ষে কাজ করেছেন ক্রিস্টিন লাগার্দে। তিনিই গীতা গোপীনাথের নাম ঘোষণা করে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। গীতাকে অসাধারণ অর্থনীতিবিদ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন লাগার্দে। গীতার নিয়োগের পর আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং অর্গানাইজেশন ফর কো-অপারেশন ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এ তিন প্রতিষ্ঠানেরই মুখ্য অর্থনীতিবিদ হচ্ছেন নারী। কোভিড-১৯ মহামারি ও ভ্যাকসিনেশনের লক্ষ্যমাত্রা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে আইএমএফের বিশ্লেষণাত্মক গবেষণার নেতৃত্ব দেন তিনি। গীতা গোপীনাথ ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়ে মহামারি শেষ করার জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের যে প্রস্তাব নিয়ে গবেষণা করেছিলেন, তার জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। সেই পরিকল্পনা পরে বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন করেছিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম