ঢাকাই চলচ্চিত্রের নারী নির্মাতারা
হাসান সাইদুল
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকাই চলচ্চিত্রে অনেক জনপ্রিয় নির্মাতা রয়েছেন যারা নিজেদের নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। এর বেশিরভাগ নির্মাতাই পুরুষ। তবে নারী নির্মাতা যে শূন্যের কোঠায় তা কিন্তু নয়। ঢাকাই চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকজন নারী নির্মাতা রয়েছেন যারা নিজেদের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
রেবেকা : ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রথম নারী নির্মাতা রেবেকা। তিনি ১৯৭০ সালে ‘বিন্দু থেকে বৃত্ত’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। মুক্তির পর এ ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয়।
কোহিনুর আক্তার সুচন্দা : ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। তিনিও একজন সফল নির্মাতা। ১৯৯৯ সালে নির্মাণ করেন ‘সবুজ কোট কালো চশমা’। মুক্তির পর এ চলচ্চিত্রটি দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলে। পরে ২০০২ সালে তিনি ফের নির্মাণ করেন জহির রায়হানের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানে ‘হাজার বছর ধরে’। এ চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ বেশ কয়েকটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে।
রুবাইয়াত হোসেন : ২০১০ সালে রুবাইয়াত হোসেন নির্মাণ করেন ‘মেহেরজান’। ছবিটি দেশে আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি বিদেশে পুরস্কৃতও হয়। এরপর তিনি ‘আন্ডার কন্সট্রাকশন’ ও ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নামে দুটি ছবি নির্মাণ করেন।
নার্গিস আক্তার : ঢাকাই চলচ্চিত্রের আরেক জনপ্রিয় নারী নির্মাতার নাম নার্গিস আক্তার। ‘পৌষ মাসের পিরিত’ ছবিটি পরিচালনার মাধ্যমে নির্মাণে আসেন। তারপর ‘মেঘলা আকাশ’ নির্মাণ করেন। এটি একাধিক ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। এরপর তিনি ‘চার সতীনের ঘর’ ছবিটি নির্মাণ করেও আলোচিত হন।
শাহনেওয়াজ কাকলী : শাহনেওয়াজ কাকলী ২০১২ সালে নির্মাণ করেন ‘উত্তরের সুর’। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ চারটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। এরপর ২০১৫ সালে শেখ জহুরুল হকের ‘গুণ’ উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে কাকলী নির্মাণ করেন ‘নদীজন’।
মৌসুমী : ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম চিত্রনায়িকা মৌসুমী। যিনি ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরে ২০০৫ সালে মৌসুমী পরিচালনা করেন ‘মেহের নিগার’।
মেহের আফরোজ শাওন : হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে ছবি ‘কৃষ্ণপক্ষ’ পরিচালনার মাধ্যমে প্রথম নির্মাণে আসেন মেহের আফরোজ শাওন। এ ছবিটি দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
সামিয়া জামান : ২০০৬ সালে মুক্তি পায় সামিয়া জামানের ‘রানী কুঠির বাকি ইতিহাস’। ফেরদৌস, পপি অভিনীত এ চলচ্চিত্রটিও দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পায়, পাশাপাশি জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। ২০১৪ সালে সামিয়া জামান নির্মাণ করেন তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘আকাশ কত দূরে’।
তানিয়া আহমেদ : ‘ভালোবাসা এমনই হয়’ তানিয়ার প্রথম ছবি। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ছবিটি মুক্তি পায়। এ ছবিটিও দর্শকমহলে কিছুটা সাড়া ফেলে।
