Logo
Logo
×

তারাঝিলমিল

সাফল্যের গল্প

মধ্যবয়সেও সৌভাগ্যের জোয়ারে ভাসছেন কিং খান

Icon

সেলিম কামাল

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আজকের বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান যে দরিয়াগঞ্জে একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন, সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। অধিকাংশ সফল মানুষের পেছনের গল্পটা অনেকটা এমনই। সে উদাহরণ বা গল্পটা টানতে তারা নিজেরাও পছন্দ করেন। কারণ, তারা তাদের এতদূর আসার পেছনে যে শ্রম বা কাঠখড় পোড়ানোর গল্প রয়েছে- এটা সবাই জানুক। ‘কিং খান’ তাদেরই একজন। আর যেনতেন সফল নন তিনি। সাফল্যের মুকুট যেন তার মাথা থেকে নামতেই চাইছে না। নইলে এ ৫৭ বছর বয়সে এসেও পাঠানের মতো একটা ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেওয়া চাট্টিখানি কথা!

মুক্তির ৩৯তম দিনে এসে দক্ষিণ ভারতের ‘বাহুবলী টু’-কে হারিয়ে হিন্দি ভাষার সর্বোচ্চ আয়ের ছবি হয়ে উঠেছে ‘পাঠান’। আনন্দ পরিচালিত এ সিনেমাটি ভারতে আয় করেছে ৬৫০ কোটি রুপিরও বেশি। বহির্বিশ্বে আয় করেছে প্রায় ৪০০ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি রুপিরও বেশি। শুধু কি তাই? দারুণ আলোচনায় রয়েছে শাহরুখ খানের আগামী দুই সিনেমা-‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’। আর কত সাফল্য দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি!

ভারতের দিল্লিতে ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর জন্মেছিলেন শাহরুখ খান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হংসরাজ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং গণযোগাযোগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ায়। প্রথমে থিয়েটার, পরে টেলিভিশন এবং এরপর চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন শাহরুখ। টিভি সিরিয়াল ফৌজি এবং সার্কাসে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে তিনি জানান দিয়েছিলেন, মুম্বাই সিনেমায় বাদশাহ হতে আসছেন অভিনয়ের এক ‘ফৌজি’। ১৯৯২ সালে রাজ কানওয়ার পরিচালিত ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে দুর্দান্ত অভিষেক হয়েছিল তার। যদিও তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল ‘দিল আশনা হ্যায়’। এটির মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ায় ‘দিওয়ানা’কেই তার অভিষেক সিনেমা হিসাবে ধরা হয়। এক সিনেমাতেই বাজিমাত। নায়কের খোলস থেকে বেরিয়ে এসে ‘বাজিগর’ এবং ‘ডর’ সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে বহুমাত্রিক শাহরুখকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

এরপর একে একে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন-‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘করন অর্জুন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘দেবদাস’, ‘কাল হো না হো’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘ডন টু’, ‘বীর জারা’, ‘চাক দে ইন্ডিয়া’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘জব তক হ্যায় জান’, ‘চমৎকার’, ‘ইয়েস বস’, ‘জোড়ি নাম্বার ওয়ান’, ‘ডুপ্লিকেট’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর মতো সিনেমাগুলো। পেয়েছেন সেরা কাজগুলোর স্বীকৃতিও। ২০০৫ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর একটি পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়। ভারতের বনেদি পুরস্কার ফিল্মফেয়ার, ভারতীয় টেলি, আইফা, স্ক্রিন, স্টার ডাস্ট, জি-সিনেসহ ৩৯টি অ্যাওয়ার্ড বগলদাবা করেন শাহরুখ খান।

শাহরুখের ঘোড়ায় চড়ার একটি ফোবিয়া আছে। তিনি কখনোই আইসক্রিম খান না। তিনি সংখ্যা তত্ত্বের মতো কুসংস্কারে বিশ্বাসী। এ কারণে সৌভাগ্য বয়ে আনার প্রত্যাশায় তার প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেটে ৫৫৫ সংখ্যাটি লেখা থাকে।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম