মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী: বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ব
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না * বঙ্গবন্ধুর আলোকবর্তিকা নিয়েই চলতে চাই * ১৬ ডিসেম্বর বিজয় এলেও স্বাধীনতার পূর্ণতা পায় ১০ জানুয়ারি
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দরে শুক্রবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়ন ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না। বিজয়ের যে আলোকবর্তিকা জাতির পিতা তুলে দিয়েছিলেন তা নিয়ে আমরা আগামী দিনে পথ চলতে চাই। তার আদর্শে দেশ গড়ে তুলতে চাই।
শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এদিন রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার ঘড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর থেকে আমন্ত্রিত অতিথি ও অনলাইনে নিবন্ধিতরাই কেবল প্যারেড স্কয়ারে প্রবেশের সুযোগ পান। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পুরাতন বিমানবন্দরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী সেদিনের (১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি) ‘সি-১৩০জে’ বিমানের আদলে নির্মিত একটি বিমান এসে অবতরণ করে রানওয়েতে। খুলে যায় বিমানের দরজা। বঙ্গবন্ধু স্বদেশের মাটিতে পদার্পণ করেন- লেজার রশ্মির মাধ্যমে বিমান থেকে বঙ্গবন্ধুর নামার এমন আবহ তৈরি করা হয়। দেয়া হয় গার্ড অব অনার।
এ সময় জনতার মিছিল আর মুহুর্মুহু স্লোগান চলতে থাকে অবতরণ করা বিমান ঘিরে। সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এরপরই অনুষ্ঠানস্থল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। সেনাবাহিনীর সুসজ্জিত আয়োজন সবাইকে মুগ্ধ করে।
এরপর প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো উন্মোচন, ঘড়ি চালুর মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বোতাম টিপে সারা দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি জায়গা, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা, দুই উপজেলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর মোট ৮৩টি স্থানে একসঙ্গে ক্ষণগণনার ঘড়ি চালু করেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা ও নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়। লোগো তুলে দেন বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অন্ধকার সময়ে ছিলাম, এখন আমরা আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি। জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ২০ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম।’
আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেদিনটিতে আমরা বিমানবন্দরে আসতে পারিনি। তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল। কিন্তু আমার মনে পড়ে মা একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন। ধারা বিবরণ শুনছিলেন। আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণ শুনেছিলাম।’
জনগণের প্রতি বাবার গভীর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘আমার মনে পড়ে, তিনি কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলোর কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। তারপর আমরা তাকে পাই। তিনি এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।’
এই প্রেক্ষাপটে কবিগুরুর একটি কবিতার চরণ উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি’। তারই উত্তর বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে। জাতির পিতা বলেছিলেন, কবিগুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদাররা হামলা শুরু করেছিল ঠিক তখনই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা এ বিজয় মেনে নিতে পারেনি। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের পর ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসন অচল হয়ে পড়েছিল। ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে তিনি যে নির্দেশ দিতেন সেই অনুযায়ী দেশ চলত। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধে বিজয় যে অবশ্যম্ভাবী, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাঙালি তার নির্দেশ পালন করে প্রস্তুতি নিয়েছিল।’
জাতিসংঘ-ভারতসহ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সমর্থন দিয়েছিল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করে। পরে আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তানিরা বাধ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে। বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত আমাদের সহায়তা করেছিল। আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, অস্ত্র দিয়েছিল। এমনকি যারা জাতিসংঘে আমাদের সমর্থন দিয়েছিলেন আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে ফিরে পেয়ে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, পাকিস্তানিরা যাকে হত্যা করতে পারেনি, বাংলার মাটিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এরপরই মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আবেগাপ্লুত বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আজ জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিন। এদিনেই তার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা ঘোষণা করছি। যে দিনে তিনি তার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছিলেন, সে দিনই তার জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান উদযাপনের ক্ষণগণনা ঘোষণা করছি।’
মুজিব আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, তাকে জীবন দিতে হয়েছিল বাংলার মাটিতে। মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমাদের জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন দেশের মানুষের ওপর ছায়া ফেলতে না পারে। দেশের মানুষ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘চলুন আজকের দিনে আমরা প্রত্যয় নেই যে, এ বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, ইতিহাস বিকৃতি, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা এবং ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টার পাশাপাশি ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী ভাষণ সারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ ইউনেস্কোর প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। অন্ধকার থেকে দেশ আবারও আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই মুক্তিযুদ্ধের সেই অমিততেজি স্লোগান- ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধরলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত সবাই তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গোটা এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, রেহমান সোবহান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, সৈয়দ হাসান ইমাম, কবি ও সাহিত্যিক নির্মলেন্দু গুণ, সঙ্গীত শিল্পী রফিকুল আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পাটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা, জাতীয় ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার প্রধান, শিল্প ও সাহিত্য অঙ্গনের তারকা ব্যক্তি, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, সাংবাদিক, আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় মুজিববর্ষ উদ?যাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সরকার মুজিববর্ষ উদযাপন করবে। দেশের ভেতর ছাড়াও বাইরে উদযাপিত হবে জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের আনন্দ আয়োজন।
ঢাবিতে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিসংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ১০ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২ সালের এ দিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন এবং এর ফলে আমরা বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করি। আজকের এ ঐতিহাসিক দিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার মধ্য দিয়ে শুরু হল বছরব্যাপী নানাবিধ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিব শতবর্ষের কার্যক্রম শুরু : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বি ব্লকের সামনে গোল মুজিববর্ষের লোগোসহ ঘড়ি উদ্বোধনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ফেস্টুন ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয় এবং আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়াও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, অফিস প্রধান, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
