দেশে করোনাভাইরাস প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ
চীন ঘুরে আসা পাইলটদের অন্য দেশে ঢুকতে বাধা
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিশেষ আলোচনা * সন্দেহ হলেই উহান ফেরতদের ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন বাধ্যতামূলক * ভাড়া বিমানে চীন থেকে আরও ১৭১ জনকে আনার উদ্যোগ * পটুয়াখালীতে ২০ চীনা নাগরিক কোয়ারেনটাইনে * উহান থেকে নতুন কাউকে আসতে মানা * চীনে আক্রান্ত ১৭২০৫, মৃত্যু ৩৬২ * ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি থাই চিকিৎসকের
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মন্ত্রিসভার বৈঠক। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চীনের উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। তাই ভাড়া করা বিমানের চীন থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। যে কোনো মূল্যে দেশে করোনাভাইরাস প্রবেশ বন্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে করোনাভাইরাসসংক্রান্ত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সন্দেহ হলে উহান ফেরত সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস রোধে তিন স্তরের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দিনাজপুরের বিরামপুরে চীন থেকে আসা দুই শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ বাড়িতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ২০ চীনা নাগরিককে কোয়ারেনটাইন করা হয়েছে। উহান থেকে নতুনভাবে এখন কাউকে বাংলাদেশে আসতে মানা করা হয়েছে।
এদিকে রোববার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০৫ জনে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬২ জনে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের চিকিৎসায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা। হংকংয়ে চীন সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে চীনে এ সময়ে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার নোবেল করোনাভাইরাস প্রেক্ষাপট- বাংলাদেশ : সচেতনতা ও করণীয় শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে একথা বলেন। বিকালে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর স্পেশালি ২০-২৫ জন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেভাবেই হোক করোনাভাইরাস দেশে প্রবেশ রোধ করতে হবে। এছাড়া যারা চীনের উহান থেকে আসতে চান তাদের সবাইকে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। চীন সরকার উহান ক্লোজ করে দিয়েছে। সুতরাং সেখান থেকে বের হতে পারবে না। তারপরও বলা হয়েছে, যদি সন্দেহ হয় উহান থেকে আসছে, তাকে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে রাখতে হবে। কারণ আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।’
তিনি বলেন, ‘অলরেডি যে ৩১২ জন এসেছে (চীনের উহান থেকে) তাদের হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেয়া হচ্ছে। আজকে অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহও সেখানে ছিলেন, উনারা যেটা বললেন এর আগের যে ভাইরাসগুলো ছিল সেগুলো এত দ্রুত ছড়ায়নি। এটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইবোলা ও অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এটার মৃত্যু হারও কম।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘উহান থেকে যে ৩১২ জনকে আনা হয়েছে তাদের অবশ্যই কোয়ারেনটাইনে ১৪ দিন থাকতে হবে। ওই ৩১২ জনের মধ্যে ৮ জনের জ্বর ছিল। তাদের সিএমএইচ ও আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা আইসোলেটেড, তবে তাদের রক্ত পরীক্ষায় কোনো ভাইরাস পাওয়া যায়নি।’
এখনও ১৭১ জন ছাত্রসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ চীনে রয়েছেন, ‘তারা আসতে চাচ্ছেন, এটা (আসার বিষয়টি) দেখতে বলা হয়েছে। আমাদের প্লেন পাঠাতে একটা অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের যে প্লেনটা গেছে, আসার পর এই পাইলটদের কোনো দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। তাদের ভিসা দিচ্ছে না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে, এ ক্রুরা আমাদের এখানে আসতে পারবে না।’ সেজন্য আলোচনা হয়েছে যে, এক্ষেত্রে যদি ভাড়া করা কোনো বিমান পাওয়া যায়, চীনের কোনো ভাড়া করা বিমানে আনার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
চীন ছাড়া অন্য দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ডাবল চেকআপ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশেষ করে ভায়া হয়ে যারা আসে তারা সেফটি নিয়েই আসে। কারণ ব্যাংকক ও হংকং তো খুবই স্ট্রিক। কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর হয়ে যারা আসেন তাদের তো একটা ন্যাচারাল প্রটেকশন হয়। একবার সেখানে স্ক্যানিং হয়। এজন্য আমরা প্রটেকশন পাই। তারপরও আমাদের এখানে ডাবল প্রটেকশন সিস্টেম আছে। মানুষকে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে আমাদের এখানে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। আমরা খুব হাইলি প্রটেকশনে আছি। এগুলো বলতে বলা হয়েছে’- বলেন খন্দকার আনোয়ার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রজেক্টে যারা আছেন তাদের মধ্যে যারা ১৮ জানুয়ারির পর চীন থেকে এসেছেন তাদের সবাইকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। উহান বেজড যেসব কর্মী রয়েছে আমরা তাদের না করে দিয়েছি, ক্লিয়ারেন্স না দিলে আসতে পারবে না।’ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে চারটি ফ্লাইট। একটি কুনমিং থেকে আসে, দুটো আসে চায়না সাউদার্ন গুয়াংজু থেকে আর ইউএস-বাংলা চলে। আজকে বিমান সচিব বললেন, আমি সিডিউল দেখলাম ১০-১২ জন প্যাসেঞ্জার হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওরাই বন্ধ করে দেবে।’
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ চীনা নাগরিককে কোয়ারেনটাইন : বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চীন থেকে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরা ২০ জন চীনা নাগরিককে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী এবং তাদের কারও মধ্যেই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহ মনি জিকো বিবিসিকে বলেছেন, সম্প্রতি চীনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন চীনা নাগরিকদের একটি অংশ। এদের মধ্যে থেকে ২০ জন ফেরত এসেছেন। তাদের চীনে এক দফা এবং বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। দুই জায়গার কোথাও তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
চট্টগ্রাম বন্দরে তিন স্তরের সতর্কতা : চট্টগ্রাম ব্যুরো থেকে মজুমদার নাজিম উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তিন স্তরের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে বন্দরে আসা চীনসহ কয়েকটি দেশের নাবিকদের ওপর। ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় চেকআপ শেষে তবেই বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকদের দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। এজন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। স্থাপন করা হয়েছে হেলথডেস্ক। প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স শিপ। জাহাজ বন্দরের জলসীমায় প্রবেশের আগেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো নাবিক নেই বলে ক্যাপ্টেন ও সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টকে ঘোষণা দিতে হচ্ছে।
বিরামপুরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চীন থেকে আসা দুই শিক্ষার্থী : বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মশিহুর রহমান জানান, সম্প্রতি চীন থেকে দেশে ফিরেছেন বিরামপুর উপজেলার দুই শিক্ষার্থী পৌর শহরের থানাপাড়া এলাকার মো. মোস্তফা কামালের ছেলে আবু রায়হান এবং পূর্বপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রেজওয়ান কবির জেমি। এদের মধ্যে আবু রায়হান চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। রায়হান ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার এবং রেজওয়ান কবির জেমি ৮ জানুয়ারি হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফেরেন। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা জানতে নিজ বাড়িতেই ১৪ দিনের নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিনাজপুর সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই : চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার একদিনেই নতুন করে ২ হাজার ৮২৯ জনের শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে চীনে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০৫ জনে। আরও ৫৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চীনে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। রোববারই চীনের বাইরে প্রথম এ ভাইরাসে মৃত্যুর খবর আসে ফিলিপিন্স থেকে। তিনি চীনেরই একজন নাগরিক। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৬২ জন। সিএনএন জানিয়েছে, চীনের বাইরে অন্তত ২৫টি দেশ ও অঞ্চলে অন্তত দেড়শ’ মানুষের দেহে এ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তাতে সব মিলিয়ে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি থাই চিকিৎসকদের : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চিকিৎসার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কয়েকটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের সংমিশ্রণ করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা।
হংকংয়ে হাসপাতাল কর্মীদের ধর্মঘট : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছেন হংকংয়ের বিভিন্ন হাসপাতালের শত শত কর্মী। ইতিমধ্যে আন্তঃসীমান্ত ট্রেন ও ফেরি সার্ভিস বন্ধ করেছে হংকং। স্বাস্থ্য কর্মীদের দাবি, সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হোক।
চীন ভ্রমণকারীদের নেবে না ক্রুজ জাহাজ : সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছেন এমন যাত্রী, পর্যটক ও ক্রুদের নিজেদের জাহাজে নেবে না ক্রুজলাইন ইন্টারন্যাশনাল। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সোমবার এমন ঘোষণা দিয়েছে ক্রুজ কর্তৃপক্ষ।
সাহায্যের আবেদন চীনের : চীনে করোনাভাইরাস গুরুতর আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি সামলাতে দেশটির সরকার জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল সরঞ্জাম এবং সার্জিক্যাল মাস্ক প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, এ মুহূর্তে চীনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল মাস্ক, সুরক্ষা সুটস এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা চশমা দরকার। গুয়াংডংসহ দেশটির যেসব প্রদেশের বাসিন্দা ৩০ কোটির বেশি সেসব শহরে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কিন্তু দেশটির কারখানাগুলোর দিনে মাত্র ২ কোটি মাস্ক তৈরির সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের শিল্প-প্রতিষ্ঠানবিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র তিয়ান ইউলং। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ইউরোপ, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাস্ক আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কাজাখস্তান, হাঙ্গেরিসহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশ মেডিকেল সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে।
