Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার: এলসির দেনা পরিশোধের নীতিমালা শিথিল

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার: এলসির দেনা পরিশোধের নীতিমালা শিথিল

করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকদের দেশের ভেতরে বৈদেশিক মুদ্রায় খোলা এলসির দেনা পরিশোধের নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই শিথিলতা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোমবার একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকগুলোর ডলার সংকট মোকাবেলা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই নীতিমালা শিথিল করেছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন মুদ্রায় বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলে। ওইসব হিসাব বিভিন্ন এলসির দেনা শোধ করে।

প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী দেশের ভেতরে বা ইনল্যান্ড এলসির বকেয়া দেনা পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর থাকা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব থেকে। বর্তমানে অনেক ব্যাংকের ওই হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমার পরিমাণ কমে গেছে। যে কারণে অনেক ব্যাংক ওই হিসাব থেকে অভ্যন্তরীণ এলসির দেনা শোধ করতে পারছে না। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলারে বলেছে, বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর থাকা বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) থেকে এসব এলসির বকেয়া বিল পরিশোধ করা যাবে। তবে এলসির বকেয়া পরিশোধের পরিমাণ যথাসম্ভব কম হতে হবে।

সূত্র জানায়, করোনার প্রভাবে বিদেশ থেকে রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স আসার পরিমাণ কমে গেছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোয় বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহও কমে গেছে। এ কারণে অনেক ব্যাংক সময়মতো এলসির দেনা শোধ করতে পারছে না। এ সংকট মোকাবেলা করতে এবং ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একই সঙ্গে সাধারণ ছুটির সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চলার সময়েও ব্যাংকগুলো এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এলসির দেনা পরিশোধ করতে পারবে।

বিদেশে আটকেপড়াদের বৈদেশিক মুদ্রা দেয়া যাবে : করোনার কারণে বিদেশে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় অব্যাহত রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে যেসব পর্যটক, চিকিৎসা নিতে গিয়ে যেসব রোগী বা পড়াশোনার জন্য গিয়ে যেসব ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারবে। এ সুবিধা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বিদেশে গিয়ে অনেক বাংলাদেশি চলমান লকডাউনের কারণে আটকে পড়েছেন। ফলে তারা যেসব বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে গিয়েছিলেন সেগুলো শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। আটকেপড়া বাংলাদেশিরা সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি জানালে তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়।

প্রচলিত নিয়মানুযায়ী বছরে একজন পর্যটক সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বা এর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারেন। চিকিৎসা ও পড়াশোনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সনদ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওই কোটার চেয়েও বেশি মুদ্রা তাদের দেয়া যাবে।

ব্যাংক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম