বাড়ছে করোনা ঝুঁকি
চট্টগ্রামে খুলেছে ২৬০ কারখানা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনা ঝুঁকির মধ্যেই রোববার সীমিত পরিসরে খুলেছে চট্টগ্রামের ২৬০টি রফতানিমুখী কারখানা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই কারখানা চালু করা হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর শিল্পাঞ্চলগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে। চালু হওয়া কারখানাগুলোর বেশিরভাগই বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র আওতাধীন।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের এসপি উত্তম কুমার পাল যুগান্তরকে বলেন, নগরীর তিনটি ইপিজেডের মধ্যে চট্টগ্রাম ইপিজেড (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী ইপিজেডে (কেইপিজেড) ১২৭টি কারখানা খুলেছে। এর বাইরে কালুরঘাট, সাগরিকা, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় খুলেছে ১৩৩টি কারখানা। তিনি জানান, প্রায় সব কারখানাই রফতানিমুখী। এসব কারখানায় শ্রমিকদের হাত ধোয়া, মাস্ক সরবরাহ ও শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম বলেন, এখানকার ১৬০টি কারখানার মধ্যে রফতানিমুখী প্রায় ৭০টি খুলেছে। এসব কারখানায় ৪০-৪৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেছেন। নির্দেশনা মেনে শ্রমিক সংখ্যা ২৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়েছে। সব কারখানা প্রথম দিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক পায়নি। কোথাও ১৫, কোথাও ২০ আবার কোথাও ২৫ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। বেশিরভাগ কারখানার আগের অর্ডার ছিল। আবার কোনোটিতে জার্মানি, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন অর্ডার এসেছে।
চট্টগ্রাম বিজিএমইএ সূত্র জানায়, রোববার ৭৫-৮০টি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ হয়েছে। বিজিএমইএ’র চিকিৎসকরা কারখানায় দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রায় সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের দিয়ে আপাতত কাজ করানো হচ্ছে। এ কারণে যানবাহন না থাকলেও কর্মস্থলে হাজির হতে শ্রমিকদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি।
