Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

প্রদীপকে আসামি করে মহেশখালীতে মামলার আবেদন

Icon

মহেশখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রদীপকে আসামি করে মহেশখালীতে মামলার আবেদন

টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনটি করা হয়।

সেসময় মহেশখালী থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন প্রদীপ। বুধবার মহেশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা আবেদনে প্রদীপ ও পাঁচ পুলিশসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রদীপকে মামলার ২৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। শুনানির পর আদালত আবেদনটি আদেশের জন্য রেখেছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে আবদুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার পর বিষয়টিকে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় ফেরদৌস বাহিনীর মদদে তৎকালীন ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করেন। আদালত বাদীর আবেদন শোনার পর কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে এফআইআর গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের কাছে বাদীর পক্ষ থেকে আরেকটি দরখাস্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু তৎকালীন পুলিশ সুপার বিষয়টি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ না দিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফেরদৌস বাহিনীর ফেরদৌস বিষয়টিকে আপিল বিভাগে নিয়ে যায়। আপিল বিভাগ বিষয়টিকে যথাযথ আদালতের মাধ্যমে এজাহার দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তা খারিজ করে দেন।

তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে ন্যায়বিচারের আশায় বুধবার মহেশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে ফৌজদারি নালিশি দরখাস্ত করেছেন। উচ্চ আদালতে করা রিট আবেদনের বাদী পক্ষের আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন যুগান্তরকে জানান, আপিল বিভাগ আবেদনটি পুনরায় শুনানির জন্য হাইকোট বিভাগে পাঠিয়েছিলেন। পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

আইনজীবী শহীদুল ইসলাম আরও জানান, মামলার আবেদনে ফেরদৌস বাহিনী প্রধান ফেরদৌসকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার বাহিনীর ২৩ জনকে আসামি করা হয়। প্রদীপকে মামলার ২৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তাৎকালীন মহেশখালী থানার এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিন। একটি সূত্র জানায়, এ ব্যাপারে আদালত আজ সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।

প্রদিপ আসামি মহেশখালিতে মামাল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম