চার পুলিশসহ ৭ আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ড
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাত আসামিকে (৪ পুলিশসহ) ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল- সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের দায়ের করা এজারহারভুক্ত তিন সাক্ষী- টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আয়াছ। পরে এই তিনজনকে সিনহার বোনের করা হত্যা মামলায় আসামি দেখানো হয়। সাতজনকেই সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিন করে সবার রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি ৪ পুলিশ সদস্যকে দুইদিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ৪ পুলিশ সদস্যকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। যে কারণে সোমবার (১০ আগস্ট) বিকালে তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ মারিশবনিয়া থেকে আটক করা হয় পুলিশের দায়েরকৃত মামলার তিন সাক্ষীকে। তাদেরও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। যে কারণে ওইদিন তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত ৭ জনের রিমান্ডের শুনানি দিন ধার্য করেন বুধবার। এদিন র্যাবের দায়ের করা পৃথক দুই রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ। শুনানি শেষে আদালত ৪ পুলিশসহ ৭ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, সিনহা হত্যার ঘটনা তারা কেউ নিজের চোখে দেখেননি। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের ডেকে নেয়া হয়। পরে সকালে টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তারা। পরে জানতে পারেন তাদের সাক্ষী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঈদের আগের রাতে (৩১ জুলাই) কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
