Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে

Icon

আহমেদ মুসা, চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে

উত্তাপ ছড়ানোর পর চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে থেকে ৬২ টাকায়। যদিও খুচরা বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। অবশ্য পেঁয়াজ বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আজ বা কাল খাতুনগঞ্জের আড়তে আসতে পারে। ব্যবসায়ীদের গুদামে পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে। একইভাবে ভারতের স্থলবন্দরে আটকে পড়া পেঁয়াজও বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। দু’দিনের মধ্যে চট্টগ্রামেও পৌঁছাবে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম না বেড়ে কমতে শুরু করেছে। তারা বলেন, এ মূহূর্তে পেঁয়াজের বেশি চাহিদা নেই। বাজার যখন বাড়তির দিকে তখনই অনেক ক্রেতা বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রেখেছেন। তারা অন্তত সপ্তাহ-দশ দিন বাজারমুখী হবেন না। বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে যাবে।

খুচরা বাজারে শনিবারও পেঁয়াজের দাম চড়া ছিল। নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে আমদানি করা ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। মানভেদে ৫ টাকা কম-বেশি রয়েছে।

চকবাজারের শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক শিহাব উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ‘আড়ত থেকে বেশি দামে আমরা পেঁয়াজ কেনেছি। ফলে এখন বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

অন্যদিনের মতো শনিবারও কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে টিসিবি। নগরীর ১৫ স্পটে তারা পেঁয়াজসহ অন্য পণ্য বিক্রি করছেন। পেঁয়াজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা পাঁচটি স্পট বাড়িয়ে দেয়। কয়েকটি স্পটে গিয়ে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের লোকজনের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত লোকজনও টিসিবির লাইনে ভিড় করছেন পেঁয়াজ কেনার জন্য।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস যুগান্তরকে বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। আমদানির পেঁয়াজ আসতে শুরু করলে আরও কমবে। সোমবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম