সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র আইনের মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার উভয় পক্ষের (রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ) যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ দিন ধার্য করেন। সাহেদের পক্ষে নাজমুল হোসেন, মনিরুজ্জামানসহ কয়েকজন আইনজীবী রোববার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মামলা থেকে সাহেদের খালাস চান তারা। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ওইদিন আদালতের কাছে তারা সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাহেদ। গত ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় এবং তা শেষ হয় ১৫ সেপ্টেম্বর। চার্জশিটভুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আর গত ২৭ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ৩০ জুলাই এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করা হয়। গত ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করোনা টেস্ট প্রতারণার অভিযোগে মামলা করে র্যাব। মামলায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতের অনুমতিক্রমে ডিবি পুলিশ সাহেদকে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে। সাহেদের বিরুদ্ধে সারা দেশে প্রতারণা, অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।
