Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

বাঘিনী জয়ার শাবকটি সংকটাপন্ন

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাঘিনী জয়ার শাবকটি সংকটাপন্ন

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জীবিত থাকা একমাত্র বাঘের শাবকটি এখনও সংকটাপন্ন। শাবকটির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শাবকটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঘিনী ঠিকমতো দুধ না দেয়াতে শাবকটি দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। তার চিকিৎসা চলছে। বাইরের দুধ পান করানো হচ্ছে।

১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘিনী জয়ার গর্ভে জন্ম নেয় এ তিন শাবক। এরমধ্যে ১৫ নভেম্বর একটি শাবক এবং ১৮ নভেম্বর আরও একটি শাবক মারা যায়। এরপর থেকে জীবিত শাবকটি সুস্থ রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, বাঘিনী ‘জয়া’ তিনটি শাবক প্রসব করার পর একটিবারও দুধ পান করায়নি। ফলে শাবকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত দুধ না পাওয়াতে দুটি শাবক মারা গেছে। সন্তানকে দুধ না দেয়া বাঘিনীর জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ধারণা, বাঘিনী বন্দি থাকা অবস্থায় সন্তান প্রসব করায় স্বাভাবিকভাবে শাবকদের দুধ দেয়নি।

এছাড়া শাবকটির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম। শাবকটি শারীরিকভাবে খুব দুর্বল রয়েছে। ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকায় কেনা একটি ১১ মাস বয়সী বাঘ ও ৯ মাস বয়সী বাঘিনী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘটা করে তাদের বিয়ে দেয়া হয়, নাম দেয়া হয় রাজ ও পরী।

সেই বেঙ্গল টাইগার রাজ-পরী দম্পতির ঘরে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তিনটি শাবকের জন্ম হয়। এর মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’ এবং আরেকটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। একটি সাদা বাঘ শাবক জন্মের পরদিনই মারা যায়। সাদা বাঘিনী ‘শুভ্রা’ বেঁচে আছে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ যুগান্তরকে জানান, জীবিত থাকা শাবকটি এখনও সংকটাপন্ন। শারীরিক অবস্থা খুবই দুর্বল। আরও দু-তিন দিন পর জানা যাবে পরবর্তী অবস্থা। নিয়মিত খাবার গ্রহণ করলে কিছুদিন পরে বাঘ ছানাটিকে নিরাপদ বলা যাবে। আশা করছি, এটিকে আমরা সুস্থ রাখতে পারব। বাচ্চাটির নিরাপত্তা ও সংক্রমণের আশঙ্কায় সবার কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে।

বাঘিনী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম