ভোটে তৃণমূল রাজনীতিতে বিজেপি জয়ী: হুমায়ূন কবির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ মে ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ধর্মীয় রাজনীতির বিপরীতে মানুষ বাঙালি সংস্কৃতিকে বেছে নিয়েছে। এতে মততা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। কিন্তু বিজেপিও হারেনি; বরং রাজনীতিতে তারা জিতেছে। এই অঞ্চলে তারা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। বামদের হারিয়ে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হয়েছে। এই রাউন্ডে তৃণমূল ক্ষমতায় গেলেও ধর্মীয় আদর্শের রাজনীতিকে মমতা কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে দুটি বিষয় ছিল। ধর্মীয় রাজনীতি এবং বাঙালিয়ানা। এক্ষেত্রে ধর্মীয় সাম্প্রদায়ীকতার বিপক্ষে মানুষ বাঙালিয়ানা বেছে নিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে বামদের শক্তিশালী অবস্থানের পতন হয়েছে। আর বিজেপি সেই স্থান দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়াও আসাম ও ত্রিপুরায়ও বিজেপি ক্ষমতায়। ফলে এই অঞ্চলে বিজেপির রাজনৈতিক শক্তি ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যে ধরনের সম্পর্ক রয়েছে, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকই থাকবে। তিস্তা ইস্যুতে মমতার আগের অবস্থানের পরিবর্তন আসবে বলেও মনে হয় না। তবে তিস্তা যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে। এরপরও আগের অবস্থানের পরিবর্তনের খুব বেশি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ধর্মীয় সাম্প্রতিক রাজনীতির যে আশঙ্কা ছিল, সেটি এখনো আছে। অর্থাৎ, আমাদের প্রত্যাশার ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। কারণ, বাংলাদেশের পূর্বে আসাম ও ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায়। আবার পশ্চিমেও তারা প্রধান বিরোধী দল হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আশপাশে সাম্প্রতিক রাজনীতির উত্থানের আশঙ্কা রয়েই গেল।
