Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বসন্ত উৎসবে মিলেছে প্রাণ ও প্রকৃতি

‘বসন্ত পালন করে সেই করোনার যাতনা দূর করতে চাই’

Icon

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বসন্ত উৎসবে মিলেছে প্রাণ ও প্রকৃতি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিল্পকলার উন্মুক্ত মঞ্চে সোমবার বসন্ত উৎসবে আবিরে রাঙাচ্ছেন তরুণীরা। রাজধানীজুড়ে দিনভর ছিল নানা আয়োজন -খান মোহাম্মদ নজরুল

সারা শহরজুড়ে শীতের আড়ষ্টতা ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। যার শুরুটা ছিল খুব সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এস্রাজের সমধুর সুরে। নাগরিক চঞ্চলতায়।

বসন্তের আগমনে বাসন্তী আর ভালোবাসার লাল রং ছেয়ে গেছে সবখানে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে মধ্যবয়সিরাও তাতে শামিল। গাঁদা-গোলাপের সুবাসকে সঙ্গী করে উত্তাল বসন্ত বাতাসের সঙ্গে উড়েছে সবাই।

সোমবার সকালে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো বসন্ত উৎসব। যেখানে শীতে জমা থেকে জীবনের অসাড়তাকে ভেঙে প্রাণে-প্রাণের মিলল প্রাণ।

আয়োজনে প্রথমেই বেঙ্গল মিউজিকের শিল্পীরা সমবেত এসরাজ বাদ্যযন্ত্রে পরিবেশন করেন বাসন্তী রাগ। এরপর বসন্তের আবাহন পাঠ করেন বাচিক শিল্পী আহকাম উল্লাহ। সম্মেলক নৃত্য পরিবেশন করেন স্বপ্নবিকাশ কলা কেন্দ্র।

ফাল্গুন আর ভালোবাসার মিশ্রণে আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাগুন আর ভালোবাসার দিনের আবেশে ততক্ষণে দর্শক সারি পরিপূর্ণ হয়েছে ভালোবাসার মানুষের লাল আর বাসন্তী রঙের সাজে। তাতে অংশ নেয় নানা বয়সি মানুষ। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে অনুষ্ঠিত হয় বসন্তকথন পর্ব। এই পর্বে উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর করোনা কালের বছর। তবু বসন্ত তার কাল নিয়মে চলে এসেছে।

আমরাও এই বসন্ত পালন করে সেই করোনার যাতনা দূর করতে চাই। সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বলেন, আমরা আপনাদের নিয়ে বসন্তের অবগাহনে মেতে উঠতে চাই।

বসন্তের যে রঙের ছটা, তা সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক, বর্ণিল যে আনন্দ, সেটিই আমাদের কাম্য। সহসভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভাগ্যবান।

পৃথিবীর কোথাও কিন্তু ষড়ঋতু নেই। আর এই ছয় ঋতুর মধ্যে বসন্ত ঋতুরাজ। তরুণ প্রজন্মের জন্য বলতে চাই- প্রকৃতি আমাদের আসল জায়গা। আমাদের যে অর্জন তার সবকিছুই প্রকৃতির কাছ থেকে। আসুন আমরা নিজেদের প্রকৃতির মধ্যে বিলিয়ে দিই।

বসন্ত কথন শেষে শুরু হয় আবির মাখার পর্ব। তারপর মঞ্চে একে একে চলতে থাকে বসন্তের গান আর নৃত্য। ছিল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনাও।
 

প্রকৃতি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম