এমবাপ্পের ফ্রান্স, না লেওয়ানডোস্কির পোল্যান্ড?
ইশতিয়াক সজীব
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই চোটের ধাক্কায় করিম বেনজেমা ছিটকে যাওয়ায় তার ২৩ বছরের তরুণ কাঁধে চেপেছে গোটা জাতির প্রত্যাশার ভার।
গ্রুপপর্বে ফ্রান্সকে হতাশ করেননি সেই তরুণ তুর্কি কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম দুই ম্যাচে তিন গোল করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের তিনি এনে দেন নকআউটের টিকিট। শেষ ম্যাচে একাদশে নয়টি পরিবর্তন এনে তিউনিসিয়ার কাছে হারলেও গ্রুপসেরা হতে সমস্যা হয়নি ফ্রান্সের।
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার শুরু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আসল পরীক্ষা। শেষ ষোলোর নকআউট-যুদ্ধে এমবাপ্পের ফ্রান্সের সামনে আজ রবার্ট লেওয়ানডোস্কির পোল্যান্ড। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে রাত ৯টায় দেখা হবে সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফরোয়ার্ডের। দুজনের হাতেই নিজ নিজ দেশের স্বপ্নের মশাল। পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপের দুই ফুটবল জাদুকরের জিভে জল আনা দ্বৈরথ।
শক্তির বিচারে ফ্রান্স আজ পরিষ্কার ফেভারিট। কিন্তু তিউনিসিয়ার কাছে হেরে চোখ খুলে গেছে ফরাসিদের। ফেভারিটের ফাঁদে আর পা দিতে নারাজ তারা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে গতির ঝড়ে আর্জেন্টিনার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে উনিশের এমবাপ্পের উত্থান। গত বছর ইউরোর শেষ ষোলোতে তাকে দেখতে হয়েছে মুদ্রার উলটো পিঠ। তার পেনালটি মিসে সুইজারল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকারে হেরে আইফেল টাওয়ারের দেশের বিদায়ের পর তুমুল সমালোচনার মুখে দেশের হয়ে খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন পিএসজির ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে! সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা আরও পরিণত করেছে এই তারকাকে।
দলে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন এমবাপ্পে। দুই আসর মিলিয়ে বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে সাত গোল করা এমবাপ্পের কাছে কোচ দিদিয়ের দেশমের চাওয়া, ‘সে আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। পারফরম্যান্সই তাকে পাদপ্রদীপের আলোয় রাখে। কিলিয়ান এখন অনেক পরিণত। পরের ধাপে যেতে তার কাছ থেকে স্বাভাবিক খেলাটাই শুধু আশা করছি।’
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে লেওয়ানডোস্কির দ্বৈরথ একেবারে জমেনি। আর্জেন্টিনার আক্রমণের ঝড় সামলাতে রক্ষণে মনোযোগ দিতে হয়েছিল পোল্যান্ড অধিনায়ককে। ২-০ গোলে হেরেও গ্রুপের অপর ম্যাচের (মেক্সিকো-সৌদি আরব) ফল অনুকূলে থাকায় শেষ ষোলোর টিকিট পায় পোল্যান্ড।
নকআউট ম্যাচ হওয়ায় আজ শুধু আক্রমণের মন্ত্র জপে মাঠে নামবেন লেওয়ানডোস্কি। বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডের কাজ হবে দলকে গোল এনে দেওয়া। আর এমবাপ্পেকে হতাশ করার দায়িত্ব ভয়চেক সেজনির। মেসির পেনালটি রুখে দিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে গ্রুপপর্বে সবচেয়ে বেশি ১৬টি সেভ করা পোলিশ গোলকিপারের, ‘ফ্রান্স পরিষ্কার ফেভারিট। তবে আমি আশাবাদী। পরের রাউন্ডে যেতে নিজেদের উজাড় করে দেব আমরা।’
