আজ অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে ডেকেছে তদন্ত কমিটি
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির ডাকে আজ ক্যাম্পাসে আসবেন অভিযুক্ত দুই ছাত্রী। এরা হলেন-শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী তাবাস্সুম ইসলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা হল ছেড়েছিলেন। আজ সকাল ১০টায় তারা তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দেবেন। প্রথমে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটির কাছে এবং পরে হল কমিটির মুখোমুখি হবেন তারা।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনো কাজ করেনি তদন্ত কমিটি। এর আগে শনিবার তদন্ত কমিটির ডাকে ক্যাম্পাসে আসেন নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রী। এসময় তিনি কমিটির কাছে রাতভর তার ওপর যে নির্যাতন হয়েছিল তার বর্ণনা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ওই দুই ছাত্রী ক্যাম্পাসে আসবেন বলে তদন্ত কমিটিকে নিশ্চিত করেছেন। আমরা গেট থেকে তাদের নিয়ে আসব। তদন্ত শেষ করে যতটুক এগিয়ে দেওয়া দরকার দিয়ে আসব। নিরাপত্তার ব্যাপারটা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
এদিকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় কোনো অভিযোগ থাকলে আজ বেলা ১১টার মধ্যে তা তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
তথ্যপ্রমাণ থাকলে লিখিত আকারে বা সশরীরে জমা দিতে হবে। তদন্তের স্বার্থে ‘উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। আজ অভিযুক্তের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। তাছাড়াও কারও কাছে তথ্যপ্রমাণ থাকলে তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিতে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
ছাত্রী হলে আতঙ্ক কাটেনি : বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গণরুমের ছাত্রীদের আতঙ্ক কাটেনি। বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাত্রীরাও হলে ফিরেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলের ছাত্রীদের হলে ফেরাতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। কিছু সংখ্যক ছাত্রী ভয় উপেক্ষা করে মুখ খুললেও বাকিরা আতঙ্কে মুখ খুলছেন না।
নিশ্চুপ শিক্ষক সংগঠন : ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় এখনো নিশ্চুপ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সংগঠনগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন মতাদর্শের অন্তত সাতটি শিক্ষক সংগঠন ক্যাম্পাসে সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের গ্রিন ফোরাম। ঘটনা উচ্চ আদালতে গড়ালে সেখান থেকে পদক্ষেপ এলেও সংগঠনগুলো দলীয় প্যাডে নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। এরমধ্যে জিয়া পরিষদ দায়সারা একটি ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের সক্রিয় পাঁচটি ছাত্রসংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়া জাতীয় মহিলা পরিষদ, মানবাধিকার কমিশন, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানায়।
