চবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ আহত ২২
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সোমবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের দুপক্ষে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারের জেরে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় দুপক্ষকে।
সূত্রমতে, শাখা ছাত্রলীগের আল-আমিনের অনুসারী ও দেলওয়ারের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আল-আমিনের অনুসারীরা আলাওল-এএফ রহমান হল ও দেলওয়ারের অনুসারীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করেন। একুশের প্রথম প্রহরে আল-আমিনের অনুসারী নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে দেলওয়ারের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে রাত ১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রাত ২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
চবি মেডিকেল সেন্টারের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, ২০ জনের বেশি চিকিৎসা নিতে এসেছে। এদের কারও কারও সেলাই লেগেছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এক পক্ষের নেতা মোহাম্মদ দেলওয়ার বলেন, কয়েকদিন ধরে আলাওল হলে থাকা আমাদের কিছু কর্মীকে তারা বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজকে (সোমবার) রাতে আমরা আলাওল হলের দিকে যেতে চাইলে তারা আমাদের ধাওয়া করে। আল-আমিনের অনুসারী একাধিক নেতাকর্মী জানান, একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আলাওল হলের বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। দোষী যারাই হোক, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
