নতুন দেশে কর্মসংস্থান
অন্বেষণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব আরোপ
বাসস
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নতুন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণ এবং সেখানে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈধ মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান। রোববার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র এবং নতুন দেশ (জনশক্তি পাঠানোর জন্য) আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি নতুন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে এবং সেজন্য আমরা কর্মীদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জনের বড় সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকরা কীভাবে ভালো থাকবেন এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করবেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা (প্রবাসী) হুন্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছায় এবং তারা তা ব্যয় করেন। কিন্তু এতে কোনো সঞ্চয় হয় না। কখনো কখনো অর্থের অপব্যয় করা হয়। অনেক প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফেরার পর দেখেন দেশে তার কোনো টাকা নেই। অনেককে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা ব্যাংকিং বা আইনি মাধ্যমে টাকা পাঠায়, সরকার তাদের সেই রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রণোদনা দেয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। যাতে প্রবাসীরা আবাসস্থলে থেকে সহজে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে যতটা প্রয়োজন ততটা খরচ করা যায় এবং বাকিটা সঞ্চয় হয়। দেশে ফিরে সঞ্চয় ব্যবহার করতে পারবেন প্রবাসী। তিনি বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে তা অন্যের হাতে চলে যেতে পারে। কিন্তু ব্যাংকে এমন কোনো শঙ্কা নেই। প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ফেরার পর সঞ্চয় অর্থসহ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। এ লক্ষ্যে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন।
বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া ফসওয়ালের বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়া ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচারের (ফসওয়াল) বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার ও মফিদুল হক পুরস্কার তুলে দেন।
বঙ্গবন্ধুকে তার ট্রিলজি-‘অসমাপ্ত আÍজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ রচনার স্বীকৃতি হিসাবে ফসওয়াল ২৬ মার্চ ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ দেয়।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে উৎসবকালে সফররত রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং ফসওয়ালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর। প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার হস্তান্তরকালে অজিত কৌরের লেখা চিঠি, বই ও উপহার হিসাবে শতবর্ষী প্রাচীন নিদর্শন ‘ফুলকরি চাদর’ তুলে দেওয়া হয়।
সম্মাননা স্মারকপত্রে বলা হয়, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, তার জনগণের কাছে ‘বঙ্গবন্ধু’, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জাতীয় মুক্তির এক সুউচ্চ ব্যক্তিত্ব। মহাত্মা গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং-এর মতো অন্ধকারের শক্তিরা তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।’ এতে আরও বলা হয়, ‘হারিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা বইটি প্রকাশিত হলে তার জীবনের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয়।’
