Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট: আমির খসরু

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট: আমির খসরু

আমির খসরু

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এদেশের মানুষও স্মার্ট হয়ে আছে, মুখিয়ে আছে স্মার্টলি এর জবাব দেওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বনানীর বাসায় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

বাজেটে দেশের মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার বাজেটে বড় বড় অঙ্ক দিচ্ছে আর মানুষকে বড় বড় অবকাঠামোর কথা বলছে। বড় বড় অবকাঠামোর মধ্যে বড় বড় চুরি-ডাকাতি ছাড়া তো আমরা কিছু দেখছি না। বাজেট হচ্ছে জনগণের চিন্তার প্রতিফলন। রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন। আজ যেখানে একটি অবৈধ দখলদার সরকার বসে আছে, তাতে তাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে। রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে না, মানুষের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে না।’

আমির খসরু বলেন, ‘দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে তারা যে ঋণ নিচ্ছে, এটা শোধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে-ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে। তিনি বলেন, ভাড়া, চাঁদা আর কমিশনভিত্তিক অর্থনীতি করছে সরকার। যার দায়ভার জনগণকে নিতে হচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানকে লুটপাটে পরিণত করেছে। আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে স্মার্টলি লুটপাটের জন্য বাজেট দিয়েছে সরকার। বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে সরকার। এর বোঝা জনগণকে বহন করতে হবে। ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে ৭ বছরে, যার দায় বইতে হবে আগামী প্রজন্মকে।’ তিনি বলেন, ‘বাজেট সরকার দিচ্ছে নাকি আইএমএফ দিচ্ছে, তা দেখতে হবে। আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী বাজেট দিলে সরকার লুটপাট করতে পারবে না। আর যদি আইএমএফ-এর পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট না করে, সেক্ষেত্রে আইএমএফ-এর সাপোর্ট পাবে না।’ সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ যথেষ্ট নয় বলেও মনে করেন তিনি। সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ ডলার সংকটের কারণ বিদেশে টাকা পাচার। ব্যাংকে টাকা নেই, শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে স্থিতিশীলতা আমরা ৩০-৪০ বছরে সৃষ্টি করেছি, সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে তারা (সরকার)।’

আওয়ামী লীগ সামষ্টিক অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছে অভিযোগ করে আমির খসরু বলেন, ‘দলীয় চিন্তার ভিত্তিতে লুটপাটের অর্থনৈতিক মডেল সৃষ্টি করা হয়েছে। ৩০ বছরের কষ্টের মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছিল, তারা সেটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। যেজন্য তারা আজ আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডের দ্বারে যাচ্ছে। সবার দ্বারে যাচ্ছে, কোনো ব্যাংক বাকি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ছাপাতে হচ্ছে এখানে। টাকা ছাপিয়েও কুলাতে পারছে না। এখান থেকে বের হতে হলে এই অবৈধ দখলদার সরকার বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’তিনি বলেন, ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে আছে, নতুন করে দরিদ্র হচ্ছে। ঢাকায় নতুন দরিদ্র হয়েছে ৫২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের অর্থনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা লাভবান হবে, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাটের এ বাজেটে অর্থনীতি বিপাকে পড়েছে, দেশের জনগণ বিপদে পড়ছে। বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে।

আমির খসরু বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে গেলে সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। টাকার মান বাড়াতে হবে। ডলারের বিপরীতে লুটপাট বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম