দুর্নীতি অর্থ পাচার রোধে বাজেটে দিক নির্দেশনা নেই: টিআইবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নেই। বিষয়টি উদ্বেগজনক। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি বিবৃতিতে বলেছে, চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচার। কিন্তু এ ধরনের মরণব্যাধিকে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় একেবারেই স্বীকার করা হয়নি। একইভাবে সুশাসন ও ন্যায্যতার ভাবনাকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে বলা হয়, করোনার সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক সংকটের ফলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে মূল অন্তরায় দুর্নীতি ও গগনচুম্বী অর্থ পাচার। তা নিয়ন্ত্রণে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এই উচ্চাভিলাষী বাজেট কীভাবে অর্থবহ বাস্তবায়িত হবে তা পরিষ্কার নয়। একইভাবে ক্ষমতার বাইরে দেশের আপামর জনগণের জন্য এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে, এমন আশা একেবারেই অমূলক।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় ডলার সংকট মোকাবিলা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য আমদানিতে কঠোরতা, ঋণপত্রে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং একাধিক মুদ্রা বিনিময় হার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির অন্তর্নিহিত মরণব্যাধি দুর্নীতি ও অব্যাহত মুদ্রা পাচারের বিষয়টিকে নির্বিকার এড়িয়ে গেলেন। অথচ সরকারের অজানা নয়, বাংলাদেশে মধ্যমমাত্রায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ২-৩ শতাংশ বেশি হতো। অন্যদিকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হিসাব অনুযায়ী বছরে গড়ে দেশ থেকে পাচার হচ্ছে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিশাল দুষ্টচক্রকে নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাহীন বাজেট যে আরও দুর্নীতি ও অর্থ পাচার সহায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই।
তিনি আরও বলেন, পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বিগত বাজেটে দেওয়া অনৈতিক সুবিধার মেয়াদ না বাড়ানো ইতিবাচক।
