শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। মামলায় অপর তিন বিবাদী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ মামলা করা হয়েছে। মামলার ঘটনা দেওয়ানি প্রকৃতির। অথচ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ গঠনের আদেশের অনুলিপি সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মামলায় ড. ইউনূসকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালত এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ দেননি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
১৩ আবেদনের শুনানির বেঞ্চ নির্ধারণ : সাত করবর্ষের বিপরীতে আয়কর কর্তৃপক্ষের দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের করা পৃথক ১৩টি আবেদন শুনানি জন্য অন্য বেঞ্চে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতির সচিব রোজাউল হক যুগান্তরকে বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার সাতটি করবর্ষের বিপরীতে আয়কর কর্তৃপক্ষের দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের করা পৃথক ১৩টি আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য আবেদন ও এ সংক্রান্ত নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে বলা হয়।
বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আয়কর বাবদ ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবির পরিমাণ এক হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশ্লিষ্ট একাধিক আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৩টি আবেদনের মধ্যে পাঁচটি রিট এবং আটটি আবেদন (আয়কর রেফারেন্স) আদালতে কার্যতালিকায় ছিল। ১৩টির মধ্যে একটি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিট এবং অপর ১২টি আবেদন গ্রামীণ কল্যাণের। ২০১১ থেকে ২০১৮ এ সাত করবর্ষে দাবি করা আয়করের বিপরীতে ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের বিভিন্ন সময় রিট ও আবেদনগুলো করে প্রতিষ্ঠান দুটি। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে পাওনা দাবিসংক্রান্ত নোটিশের কার্যক্রম অন্তবর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনগুলো চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনগুলো কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে আবেদন এবং এ সংক্রান্ত নথি প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
