আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে:- ব্রায়ান শিলার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী বা জড়িত থাকা ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরদারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার।
তিনি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘৩সি’ হিসাবে পরিচিত এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি। যাকেই দেখা যাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছেন, তার বিরুদ্ধেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। তিনি এক্ষেত্রে ইংরেজি শব্দ ‘অ্যানিওয়ান’-এর ওপর জোর দেন।
শিলার আরও খোলাসা করে বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছে ভোট জালিয়াতি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারচর্চায় যারা সহিংসতা ব্যবহার করে বাধা দেওয়া; রাজনৈতিক দল, ভোটার এবং নাগরিক সমাজকে বাধা দেওয়ার পদক্ষেপ, মিডিয়াকে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশে বাধা দেওয়া।
ব্রায়ান শিলার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আসবেন, তাদের নাম ও ফোন নম্বর আমরা প্রকাশ করব না। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে উলেখ করেছে
তারা কার কার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে। এর আওতায় আছে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সি, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, বিচার বিভাগ, বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা।
এর আগে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছিলেন, মার্কিন আইনের অধীনে ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয়। কিন্তু মার্কিন সরকার এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছে বলে জানান তিনি। ব্রায়ান শিলার বলেন, প্রমাণগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর আমরা আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।
