তেজগাঁওয়ে ক্রেনের আঘাতে ট্রেন লাইনচ্যুত
শিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্রেনের আঘাতে তিতাস কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা অনেক ট্রেন কাছাকাছি বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। ট্রেনের এমন শিডিউল বিপর্যয়ে কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ক্ষতিগ্রস্ত বগি সরিয়ে নিলে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার পর এগারসিন্ধুর, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও পাহাড়িকাসহ ১১টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে আটকা পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধার ও লাইন মেরামতের পর রাত সাড়ে ৯টায় প্রথম লাইন চালু হয়। রাত সাড়ে ১০টায় চালু হয় দ্বিতীয় লাইন।
এ সময় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যায়। চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর চিলাহাটি এক্সপ্রেস বিকাল ৫টায় ছাড়ার কথা থাকলে ছাড়ে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে। পঞ্চগড় অভিমুখী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস রাত ৮টায় ছাড়ার কথা ছিল। কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা রাত সাড়ে ৯টায়। কিন্তু রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত এ দুটি ট্রেন ঢাকায়ই পৌঁছেনি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরওয়ার যুগান্তরকে বলেন, ক্রেনের আঘাতে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন ও ইঞ্জিনের পাশের ‘ক’ বগি মেইন লাইনে পড়ে। একই সঙ্গে ক্রেনের একটি অংশ ডাউন লাইনে পড়লে রেলপথটি বাঁকা হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় মেইন এবং ডাউন লাইন উভয় বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, তিতাস কমিউটার ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে যথাসময়ে ছেড়ে আসে। কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের আগে তেজগাঁওয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুতের ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি জানিয়ে রেলওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, দুর্ঘটনার পরই রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে বৃষ্টি থাকায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্র্ভোগ পোহাতে হয়।
