Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রেলে নাশকতা পিছু ছাড়ছে না

লাইন কেটে ফেলায় ছিটকে পড়ে ইঞ্জিনসহ ৭টি কোচ

নিহত ১, গুরুতর আহত ১২ জন * গাজীপুরে গ্যাসকাটার দিয়ে ২০ ফুট লাইন কেটে ফেলে নাশকতাকারীরা

Icon

শিপন হাবীব, ঢাকা ও শাহ সামসুল হক রিপন, গাজীপুর

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লাইন কেটে ফেলায় ছিটকে পড়ে ইঞ্জিনসহ ৭টি কোচ

রেলে নাশকতা পিছু ছাড়ছে না। কখনো ট্রেনে আগুন, কখনো আবার রেললাইন কেটে ফেলা হচ্ছে। কখনো রেললাইন ও ব্রিজে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ভোর ৪টায় গাজীপুর ভাওয়াল এলাকায় প্রায় ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় কাটা অংশে লাইনচ্যুত হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ ৭টি যাত্রীবাহী কোচ ছিটকে পড়ে লাইন থেকে। ইঞ্জিনসহ দুটি বগি প্রায় ১০০ ফুট দূরে গিয়ে ধানখেতে পড়ে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় প্রায় আধা কিলোমিটার রেলপথ এবড়ো-খেবড়ো হয়ে যায়। এমন বর্বরতায় একজন নিহতসহ গুরুতর আহত হন ১২ যাত্রী।

এর আগে গত দেড় মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা, হরতাল-অবরোধে ট্রেনে আগুন দেওয়াসহ স্টেশন, লাইন ও রেল ব্রিজে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে চরম আতঙ্কে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন ভ্রমণ করছেন। সাধারণ যাত্রীদের ভাষ্য, নাশকতা-অন্তর্ঘাত ছাড়াও রেল আর রেলকর্মীদের গাফিলতিজনিত নানা কারণেও দুর্ঘটনায় পড়ছে ট্রেন। রাজনৈতিক সহিংসতায় হরতাল-অবরোধের সময় রেলপথ নিরাপদ রাখতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে রেলওয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেল কর্তৃপক্ষ।

ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান যুগান্তরকে জানান, ঘটনাটির সঠিক কারণ অনুসন্ধানে বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সৌমিক শাওন কবিরকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিকালে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন যুগান্তরকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা করছে। দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। সারা দেশের ন্যায় রেলপথে নাশকতা চালাচ্ছে। এমন নৃশংস বর্বরতায় বিরোধীরা মেতে উঠেছে। আমরা রেলপথে নাশকতা রোধে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার পরও বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধীরা চোরাগোপ্তা রেলপথ, ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ ভাঙচুর করছে। রেললাইন কেটে ফেলছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ট্রেনযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বিভিন্ন রুটে চলা আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর আগে একটি ইঞ্জিন চালিয়ে সামনের রেলপথ যাচাই-বাচাই করেই নির্ধারিত ট্রেনগুলো চালানো হবে।’

রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এতে রেলপথ কাটাসহ লাইনে বড় ধরনের কোনো সমস্যা থাকলে ইঞ্জিনে থাকা দায়িত্বরত লোকজন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দেখতে পারবে। ইঞ্জিনে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্কাবস্থায় থাকবেন। আমি সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ করব-নাশকতকারীদের আটক করতে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-রেলপথ ও ট্রেনযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করবে।’

এদিকে বুধবার ভোরে লাইনচ্যুত হওয়া মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি কোচ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাইন ও লাইন এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করে ক্ষতিগ্রস্ত আধা কিলোমিটার রেলপথ মেরামত করা হয়। লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও কোচে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল প্রায় ১৫ ঘণ্টা। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। লাইনচ্যুত মোহনগঞ্জসহ আরও ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।

দুর্ঘটনায় আসলাম হোসেন (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়াও এ ঘটনায় লোকোমাস্টার এমদাদুল হক (৫৭) ও সহকারী লোকামোস্টার সজিব মিয়াসহ (৩০) অন্তত ১০-১২ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। ইমদাদুল হক ও সবুজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আসলাম হোসেন ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার রওহা গ্রামের বাসিন্দা।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী জানান, বুধবার ভোররাত ৪টা থেকে সোয়া ৪টার দিকে রাজেন্দ্রপুর স্টেশন ছেড়ে আসে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। কিছুদুর যাওয়ার পর শ্রীপুরের বনখড়িয়া নামক স্থানে ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিচে ধানখেতে পড়ে যায়। দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ৮ মিটার লাইন কেটে ফেলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি আরেফিন সিদ্দিক জানান, প্রচুর কুয়াশা ছিল তাই আমরা আমাদের ইকুইপমেন্ট যা আছে তা কাঁধে নিয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং উদ্ধার কাজ শুরু করি। রেললাইন কেটে ফেলায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। লাইন কাটার সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলেন, রেললাইনের ২০ ফুট কাটা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গ্যাস কাটার, একটি সিলিন্ডার ও একটি এলপিজি সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। এ থেকে তারা ধারণা করছেন, দুর্বৃত্তরা এগুলো দিয়ে রেললাইনের ২০ ফুট অংশ কেটে ফেলে। কাটা লোহার লাইন পাশেই রাখা ছিল।

এদিকে ঘটনাস্থলে কথা হয় ওই ট্রেনের যাত্রী হাবিবা খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই শিশুসহ মাঝামাঝি একটি বগিতে তারা চারজন ছিলেন। রাত ৪টার দিকে বিকট শব্দে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে তাদের বগিটি পাশের নিচু জমিতে পড়ে যায়। চারদিক অন্ধকার। জানালা দিয়ে বের হতে গিয়ে তারা সবাই কমবেশি আহত হন। ওই সময় সাধারণ যাত্রীরা প্রাণভয়ে চিৎকার শুরু করেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেছেন, এটা সাধারণ কোনো দুর্ঘটনা নয়। নাশকতার উদ্দেশে রেললাইন কেটে রাখা হয়। আমরা ঘটনাস্থলে এসে গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছি। রেললাইন কাটার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা ও গভীর রাত থাকায় রেলের গতি খুব কম ছিল, ফলে হতাহত কম হয়েছে। একজন মারা গেছেন এবং বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সফিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা নাশকতা করতে রেললাইনের অংশ কেটে রাখে। ইঞ্জিনসহ ৭টি কোচ লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার করা শেষে লাইন ক্লিয়ার করা হয়। ওই পথে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বিকল্প পথ হিসাবে ঢাকা থেকে টঙ্গী-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহের দিকে এ পথের ট্রেনগুলো পরিচালনা করা হয়।

র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসিন আরাফাত হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে নাশকতার কর্মকাণ্ড বা আলামতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে কেউ যদি এ নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও রেলওয়ে পুলিশের প্রধান দিদার আহম্মদ যুগান্তরকে বলেন, রেললাইন কেটে, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ যাত্রীদের প্রাণনাশের চেষ্টা-ভয়ানক ঘটনা, বর্বরতা। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছি। কিন্তু, প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার রেলপথ। নাশকতাকারীরা সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে এমন নৃশংস-বর্বর কর্মকাণ্ডগুলো করছে। আমরা ট্রেনে এবং রেলপথে আরও লোকবল নিয়োগ করব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যাত্রীদের সুরক্ষা এবং রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে গ্রেফতার করা হবে-আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে রেলপথে একের পর এক নাশকতার ঘটনায় সাধারণ যাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকেও দায়ী করছেন এমন বর্বর ঘটনা রোধ না করতে পারায়। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রেললাইনের সঙ্গে সেন্সর বা জিপিএস সম্পৃক্ত থাকে। যাকে ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস প্রযুক্তি বলা হয়। লাইনে এ প্রযুক্তি থাকলে লাইন বিচ্ছিন্ন কিংবা লাইনে বড় ধরনের সমস্যা থাকলে কন্ট্রোল সার্ভারে স্পষ্ট সংকেত দেয়। সংকেত পেয়েই দ্রুত সময়ের মধ্যে তা মেরামত করা যায়। যা বাংলাদেশ রেলে নেই।

নিহত আসলামের বাড়িতে শোকের মাতম : গফরগাঁও প্রতিনিধি তফাজ্জল হোসেন জানান, গফরগাঁও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সবজি, ডিম কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতেন আসলাম। প্রায় প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করতেন তিনি। বুধবার ভোরে যে শেষ যাত্রা তা জানা ছিল না সবজি বিক্রেতা মো. আসলাম মিয়ার (৩০)। আসলামের মৃত্যুর খবরে গফরগাঁওয়ের সালটিয়া ইউনিয়নে রৌহা টানপাড়ায় স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, ২ ছেলে শুভ (১১), আবু রায়হান (২) ও ১ মেয়ে আরিফা (৮)। এই সন্তানদের এখন কি হবে। আমার স্বামী তো নির্দোষ ছিল। সে তো কোনো রাজনীতি করত না। অবরোধকারীরা রেললাইন তুলে নিয়ে আমার স্বামীর জীবন কেড়ে নিল। মা হোছনা খাতুন বলেন, আমার নির্দোষ সন্তান লাশ হয়ে আসছে। আমি বিচার চাই। এ দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার রৌহা গ্রামের সুমন (২৮), রফিকুল (৪০), আসাদুল (৩৬), আজিজ (৩৫), জলিল (৩৪), সাদেক (৪৫) ও বেলাল (৪৪)। তারা সবাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী।

ট্রেনে নাশকতাকারীরা মানবতার শত্রু-বিএনপি : গাজীপুরের জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল সড়কের ভাওয়াল রেলস্ট্রেশনে ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে একজন যাত্রীর মৃত্যু ও অনেকে আহত হওয়ার ঘটনাকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বগি লাইনচ্যুতের ঘটনা নিঃসন্দেহে নাশকতামূলক কাজ। যে বা যারা এ ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মানবতার শত্রু। দু-একটি গণমাধ্যম ট্রেনের এই বগিচ্যুতির ঘটনায় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনরত দলগুলোর ওপর দোষ চাপানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে যা গভীর চক্রান্তমূলক। এতেই প্রমাণিত হয় এবং জনগণ বিশ্বাস করে যে, সুপরিকল্পিতভাবেই এ ধরনের নাশকতা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই দু-একটি গণমাধ্যম বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে ন্যক্কারজনক অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে রুহুল কবির রিজভী বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে ট্রেনের বগিচ্যুতির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

রেল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম