পঁচিশে যুগান্তর : প্রধানমন্ত্রীর বাণী
শান্তিপূর্ণ দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে যুগান্তর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে আমি সংবাদপত্রটির পরিচালনা পর্ষদ, সম্পাদক, সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদসেবীদের কল্যাণের ক্ষেত্রে সহনশীল ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই। আমরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের সরকার দেশের গণমাধ্যমকে অবারিত করতে জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪সহ বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে দক্ষ, যোগ্য কলাকুশলী এবং নির্মাতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ গঠন করেছি। সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী ও প্রেস শ্রমিকদের কল্যাণে ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদেরও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে অডিও, ভিজ্যুয়ালসহ ইলেকট্রনিক যোগাযোগে এসেছে নতুন মাত্রা। দেশে গণমাধ্যম এখন ভোগ করছে পূর্ণ স্বাধীনতা।
আমি আশা করি, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিক তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে নিরপেক্ষ সংবাদ মানুষের সামনে তুলে ধরবেন। প্রপাগান্ডা যাতে সংবাদ হয়ে না ওঠে, জনগণকে ভুল বার্তা না দেয়-সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘দৈনিক যুগান্তর’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
