যুগান্তকারী পরিবর্তন আসুক যুগান্তরের হাত ধরে
ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নন্দিত জাতীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’ দুই যুগে পদার্পণ করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি এক গৌরবময় অভিযাত্রা, এক আনন্দময় ঘটনা। এই শুভক্ষণে পত্রিকাটির সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলাকুশলীদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিবাদন। পাশাপাশি যুগান্তরের পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদেরও জানাচ্ছি শুভেচ্ছা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অঙ্গীকারে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে যুগান্তর ইতোমধ্যে পাঠকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছে, অর্জন করেছে তুমুল জনপ্রিয়তা। ২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করা জাতীয় দৈনিকটি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রায় দুই যুগ ধরে সত্যনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর অল্পদিনেই জনপ্রিয়তা অর্জন এবং প্রায় দুই যুগ তা ধরে রাখা এক অনন্য অর্জন।
পাঠকপ্রিয় যুগান্তর শুধু নগর-মহানগর নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের খবর প্রকাশ করে আসছে বেশ গুরুত্বসহকারে। শুধু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ নয়, সম্পাদকীয় ও ফিচার পাতাগুলো যুগান্তরকে পাঠকপ্রিয় করেছে। পত্রিকাটির উপসম্পাদকীয় ও সম্পাদকীয় নিবন্ধ বৈচিত্র্যপূর্ণ।
সংবাদপত্রকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনিবার্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম, আর সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক। তাই সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পাঠকদের কাছে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সংবাদ তুলে ধরাই গণমাধ্যমকর্মীদের মূল লক্ষ্য বলে আমি মনে করি। যুগান্তরের সংবাদকর্মীরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়ে আসছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই যুগান্তর শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। সারা দেশে বিপুলসংখ্যক পাঠকের জন্য যুগান্তর শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে আরও বেশি ইতিবাচক সংবাদ ও তথ্য পরিবেশন করতে পারে। বিশেষ করে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাত যাতে সুশৃঙ্খল থাকে সে জন্য গঠনমূলক তথ্য ও নিবন্ধ প্রকাশ করে যুগান্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমার প্রত্যাশা, যুগান্তর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ, শোষণমুক্ত সমাজ গঠন এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামীতে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা উন্নত বাংলাদেশের অভিযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যুগান্তর যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে, এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।
দেশের অন্যতম শীর্ষ সংবাদপত্রটি দুই যুগ পূর্তির সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে যে আস্থা পাঠকমহলে তৈরি করেছে, সেটি অক্ষুণ্ন থাকুক। যুগান্তকারী পরিবর্তন আসুক যুগান্তরের হাত ধরে। দেশের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের গর্বের গণমাধ্যম হয়ে উঠুক যুগান্তর।
অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন : সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)
