চেক ডিজঅনারের শাস্তি ও জরিমানা কমছে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চেক ডিজঅনারের মাধ্যমে প্রবঞ্চনা ঠেকাতে আইনের প্রয়োগ সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সাজা কমানোর পাশাপাশি জরিমানার পরিমাণও কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে নেগোসিয়েবল ইন্সট্র–মেন্ট অ্যাক্ট সংশোধন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনটি অনেক পুরনো। একই সঙ্গে এর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর অপব্যবহারের নজির দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবে নিয়মিত টাকা জমা ও তোলার কারণে অনেক সময় পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। এদিকে কোনো চেক উত্থাপন করা হলে তা ডিজঅনার হলে অনেকেই মামলা করে দিচ্ছেন। এতে একদিকে হয়রানির প্রবণতা বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যাংকিং কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার একটি পক্ষ ঋণ পরিশোধের জন্য আগাম চেক দিলেও তা ডিজঅনার হচ্ছে। ফলে ব্যাংক প্রতারিত হচ্ছে। এই প্রবণতা রোধে আইনটি প্রয়োগের বিধি সহজ করা হচ্ছে। বর্তমানে নানা জটিলতার কারণে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে না। প্রচলিত আইনে চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত মামলায় এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সংশ্লিষ্ট চেকে বর্ণিত টাকার তিনগুণ জরিমানা বা দুই ধরনের দণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনে সাজার পরিমাণ কমিয়ে ৬ মাস করা এবং জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে চেকের মূল টাকার সমপরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে। এছাড়া আপিল গৃহীত হবে না।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, তবে গ্রাহকের শুধু স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক জমা নিয়ে পরে তা ব্যাংকে উপস্থাপন করার পর ডিজঅনার হলে তা এই আইনের আওতায় আসবে না। কেননা গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য বাড়তি অঙ্ক লিখে চেক উপস্থাপনের অনেক নজির দেখা গেছে। এ কারণে এ বিধান করা হচ্ছে।
প্রস্তাবে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে একটি আদালত বেঁধে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তাহলে এ ধরনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
