Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সমস্যার সমাধানে হ্যাকাথন ক্যাম্পেইন

Icon

সাইফ আহমাদ

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সমস্যার সমাধানে হ্যাকাথন ক্যাম্পেইন

দেশের ১০টি জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাধানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস’। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ১০টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পেইন।

‘Think. Hack. Solve.’ স্লোগানটিকে সামনে রেখে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প আইডিয়া’ তার ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ ব্যানার নিয়ে আয়োজন করছে এ হ্যাকাথন।

২৯ জানুয়ারি এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় হ্যাকাথনের শেষ ক্যাম্পেইন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশিপ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ, আইআইটি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম এবং আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মজিবুল হক। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন রাশেদুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশিপ সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ বলেন, আমাদের দেশের সন্তানরা নানারকম আইডিয়া নিয়ে চিন্তা করে। দেশে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে ও একইসঙ্গে আমাদের দেশে মেধাও আছে। সেগুলো সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

জীবনে কাউকে ছোট করা যাবে না। দেশে অনেক ভালো ভালো আইডিয়া আছে যেগুলো প্রডাক্ট আকারে পরিণত করতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে। তিনি বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয় উল্লেখ করে দেশের তরুণদের প্রশংসা করেন।

আইআইটি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শরীফুল ইসলাম অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে সরকারের আইসিটি সেক্টরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। দেশের উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করছে। এসব উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার বলে তিনি মনে করেন।

আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশের সমস্যা আমাদের ছেলেমেয়েরা সমাধান করবে। আমরা চাই আমাদের ছাত্ররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের স্টার্টআপ গঠনে এবং ফান্ডিং-এর ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তায় পাশে থাকবে IDEA প্রকল্প। এছাড়া উপস্থিত তরুণদের হ্যাকাথনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন IDEA প্রকল্পের পরিচালক।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশিপ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক তার বক্তব্যে বলেন, সরকারের সঙ্গে একাডেমিয়ার সংযোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে যা প্রশংসাজনক। আমাদের ১ম শিল্পবিপ্লব সফল না হলে ২য় শিল্পবিপ্লব আসত না।

১ম, ২য় ও ৩য় শিল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে আমরা যেমন সফলতা পেয়েছি, ঠিক অপরদিকে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিও হয়েছে। ৪র্থ শিল্পবিপ্লব পৃথিবীকে সমৃদ্ধির দিকে নেবে এবং ক্ষতির দিক কমিয়ে আনবে। সরকার ৪র্থ শিল্পবিপ্লবকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই ভালো সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, আমরা হার্ডওয়ার্ক করি; কিন্তু আমাদের স্মার্টওয়ার্ক করতে।

অনুষ্ঠানে হ্যাকাথন সম্পর্কিত একটি কি-নোট উপস্থাপন করেন আইডিয়া প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আরএইচএম আলাওল কবির। পরে উপস্থিত তরুণরা হ্যাকাথনের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত ক্যাম্পেইনে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড অন্ট্রপ্রিনিউরশিপ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক উপস্থিত সবাইকে নিয়ে ‘নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া’বিষয়ক একটি শপথ পাঠ করেন।

আগামী ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে সেরা ৫০টি টিম নিয়ে আয়োজিত হবে হ্যাকাথন এবং পরবর্তী সময়ে সেরা ১০টি টিমকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। হ্যাকাথনে অংশ নিতে আবেদন করা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। www.startupbangladesh.gov.bd - ওয়েবসাইটে হ্যাকাথন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

 

হ্যাকাথন ক্যাম্পেইন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম