বন্ধ হবে দেশের সব অবৈধ মোবাইল
দেশে সচল থাকা সব ধরনের অবৈধ মোবাইল ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে বন্ধ করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ সময়সীমা ঘোষণা দিয়েছে।
এ লক্ষ্যে কারিগরি সহায়তা নিতে সিনেসিস আইটি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি।
বিটিআরসি জানায়, ২ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনীত প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে চুক্তি করতে হবে। চুক্তির পর থেকে চার মাসের মধ্যে পুরো সেবা চালু করতে হবে। সেই হিসাবে আগামী এপ্রিলের মধ্যেই অকার্যকর হবে অবৈধ মোবাইল সেট।
২০১২ সালে অবৈধ মোবাইল ফোন সেট বন্ধের উদ্যোগ নিলেও প্রায় আট বছর পর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার-এনইআইআর ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে রিভ সিস্টেম, ডেটাএজ, ডিজিকন টেকনোলজিস ও সিনেসিস আইটি- এ চার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে মোট ৩০ কোটি টাকায় কাজ পায় সিনেসিস আইটি লিমিটেড। আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে জামানত জমা দিয়ে চুক্তি করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
প্রযুক্তিটি চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোনো অপারেটরের সিম-ই চলবে না। গ্রাহকরা যেন নিরাপত্তার সঙ্গে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে পারেন, সেজন্য এ ন্যাশনাল আইএমআই-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি মুখপাত্র।
২০২০ সালের আগস্ট মাস নাগাদ প্রায় ১২ কোটি আইএমইআই নম্বর ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে থাকা অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের আগে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রেও রাখা হবে সীমাবদ্ধতা। অর্থাৎ একই ব্যক্তি হয়তো দু-একটা ফোন বৈধ করার সুযোগ পাবেন। একজন অনেক ফোন বিদেশ থেকে নিয়ে এলে, তার ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানান বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান।
মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (ইআইআর) ব্যবস্থা থাকবে। এর ফলে নতুন কোনো মুঠোফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানবে এনইআইআর পরিচালনাকারী। তখন মুঠোফোনটি বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করা হবে। তবে এখন অপারেটরদের সবার কাছে ইআইআর নেই। বিশেষ ব্যবস্থায় তথ্যগুলো তথ্যভাণ্ডারে নেয়া হবে।
মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের তথ্যমতে, বছরে তিন কোটি হ্যান্ডসেট আসে দেশে। এর মধ্যে অবৈধ পথে আসে ৩০-৩৫ শতাংশ, যার বাজার মূল্য প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।
আপনার ফোনটি বৈধ কিনা জানুন
আপনার হাতে থাকা শখের স্মার্টফোনটি বৈধ কিনা বা বিটিআরসি’তে নিবন্ধিত কিনা- তা জানতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে কণউ স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে বৈধ না অবৈধ, তা জানা যাবে। মোবাইল ফোনের মোড়কে স্টিকারে আইএমইআই নম্বরটি থাকে। এর বাইরে *#০৬# ডায়াল করে আইএমইআই নম্বর জানা যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বন্ধ হবে দেশের সব অবৈধ মোবাইল
দেশে সচল থাকা সব ধরনের অবৈধ মোবাইল ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে বন্ধ করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ সময়সীমা ঘোষণা দিয়েছে।
এ লক্ষ্যে কারিগরি সহায়তা নিতে সিনেসিস আইটি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি।
বিটিআরসি জানায়, ২ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনীত প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে চুক্তি করতে হবে। চুক্তির পর থেকে চার মাসের মধ্যে পুরো সেবা চালু করতে হবে। সেই হিসাবে আগামী এপ্রিলের মধ্যেই অকার্যকর হবে অবৈধ মোবাইল সেট।
২০১২ সালে অবৈধ মোবাইল ফোন সেট বন্ধের উদ্যোগ নিলেও প্রায় আট বছর পর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার-এনইআইআর ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে রিভ সিস্টেম, ডেটাএজ, ডিজিকন টেকনোলজিস ও সিনেসিস আইটি- এ চার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে মোট ৩০ কোটি টাকায় কাজ পায় সিনেসিস আইটি লিমিটেড। আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে জামানত জমা দিয়ে চুক্তি করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
প্রযুক্তিটি চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোনো অপারেটরের সিম-ই চলবে না। গ্রাহকরা যেন নিরাপত্তার সঙ্গে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে পারেন, সেজন্য এ ন্যাশনাল আইএমআই-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি মুখপাত্র।
২০২০ সালের আগস্ট মাস নাগাদ প্রায় ১২ কোটি আইএমইআই নম্বর ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে থাকা অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের আগে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রেও রাখা হবে সীমাবদ্ধতা। অর্থাৎ একই ব্যক্তি হয়তো দু-একটা ফোন বৈধ করার সুযোগ পাবেন। একজন অনেক ফোন বিদেশ থেকে নিয়ে এলে, তার ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানান বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান।
মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (ইআইআর) ব্যবস্থা থাকবে। এর ফলে নতুন কোনো মুঠোফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানবে এনইআইআর পরিচালনাকারী। তখন মুঠোফোনটি বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করা হবে। তবে এখন অপারেটরদের সবার কাছে ইআইআর নেই। বিশেষ ব্যবস্থায় তথ্যগুলো তথ্যভাণ্ডারে নেয়া হবে।
মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের তথ্যমতে, বছরে তিন কোটি হ্যান্ডসেট আসে দেশে। এর মধ্যে অবৈধ পথে আসে ৩০-৩৫ শতাংশ, যার বাজার মূল্য প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।
আপনার ফোনটি বৈধ কিনা জানুন
আপনার হাতে থাকা শখের স্মার্টফোনটি বৈধ কিনা বা বিটিআরসি’তে নিবন্ধিত কিনা- তা জানতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে কণউ স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে বৈধ না অবৈধ, তা জানা যাবে। মোবাইল ফোনের মোড়কে স্টিকারে আইএমইআই নম্বরটি থাকে। এর বাইরে *#০৬# ডায়াল করে আইএমইআই নম্বর জানা যায়।