অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন
সরকারিভাবে নাগরিকদের ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া শুরু করে। শুরু থেকেই পরিচয়পত্রে বিভিন্ন রকম ভুলের অভিযোগ পাওয়া যায়। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে ভুল হলে নানারকম হয়রানিতে পড়তে হয়।
এখন থেকে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা পরিচয়পত্রে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করা যাবে। আয়োজকের আয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কীভাবে নতুন করে পাওয়া যাবে, পরিচয়পত্রে থাকা বিভিন্ন ভুল সংশোধন এমনকি ছবি পরিবর্তনের উপায় নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন-
অনলাইনের ভুল তথ্য সংশোধন করতে এনআইডি পোর্টালে (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) ঢুকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
অ্যাকাউন্টেই ভুল তথ্য সংশোধনের নির্দিষ্ট ফি অনলাইনে পরিশোধের লিঙ্ক পাওয়া যাবে। এরপর অ্যাকাউন্টে ঢুকলে নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা আপনার ডাটাবেজের সব তথ্য দেখা যাবে এবার। নিচের যে কোনো অপশনে চাহিদা অনুযায়ী ক্লিক করে তথ্য হালনাগাদ করতে পারবেন।
ওকে ওয়ালেট বা রকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পরিচয়পত্রে যে তথ্য আছে, তার যে কোনো একটি সংশোধন করতে চাইলে প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তী যতবার আবেদন করবেন ৪০০ টাকা ফি দিতে হবে।
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য কিছু কাগজের কপি আপলোড করতে হবে। যেমন-
* নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র, পাসপোর্টের কপি।
* ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুৎ বা পানির বিলের কাগজ।
* বিয়ের পর স্বামীর নাম যোগ করতে চাইলে নিকাহনামা, স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
* বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে তালাকনামা সংযুক্ত করতে হবে।
যদি কোনো ধরনের সংশোধনে কী কী কাগজ প্রয়োজন, তা ওয়েবসাইটেই দেয়া আছে। তথ্য সংশোধন অনুমোদন হয়ে গেলে একটি মেসেজ পাবেন। ওয়েবসাইট থেকে সংশোধিত এনআইডি প্রিন্ট করে লেমিনেট করা যাবে।
ইন্টারনেট প্রতিকূলতা থাকলে যে কেউ উপজেলায় নির্বাচন অফিস থেকে ‘ডাটা এন্ট্রি অপারেটর’-এর সাহায্য নিয়ে বিনা মূল্যে সহজেই কাজটি করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টার থেকেও অনলাইনে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা পাবেন। এছাড়া ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে সব তথ্য ও কাগজ সংযুক্ত করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) নিজেই ঘরে বসে করা সম্ভব। বিস্তারিত https://services.nidw.gov.bd/।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন
সরকারিভাবে নাগরিকদের ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া শুরু করে। শুরু থেকেই পরিচয়পত্রে বিভিন্ন রকম ভুলের অভিযোগ পাওয়া যায়। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে ভুল হলে নানারকম হয়রানিতে পড়তে হয়।
এখন থেকে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা পরিচয়পত্রে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করা যাবে। আয়োজকের আয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কীভাবে নতুন করে পাওয়া যাবে, পরিচয়পত্রে থাকা বিভিন্ন ভুল সংশোধন এমনকি ছবি পরিবর্তনের উপায় নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন-
অনলাইনের ভুল তথ্য সংশোধন করতে এনআইডি পোর্টালে (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) ঢুকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
অ্যাকাউন্টেই ভুল তথ্য সংশোধনের নির্দিষ্ট ফি অনলাইনে পরিশোধের লিঙ্ক পাওয়া যাবে। এরপর অ্যাকাউন্টে ঢুকলে নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা আপনার ডাটাবেজের সব তথ্য দেখা যাবে এবার। নিচের যে কোনো অপশনে চাহিদা অনুযায়ী ক্লিক করে তথ্য হালনাগাদ করতে পারবেন।
ওকে ওয়ালেট বা রকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পরিচয়পত্রে যে তথ্য আছে, তার যে কোনো একটি সংশোধন করতে চাইলে প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তী যতবার আবেদন করবেন ৪০০ টাকা ফি দিতে হবে।
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য কিছু কাগজের কপি আপলোড করতে হবে। যেমন-
* নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র, পাসপোর্টের কপি।
* ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুৎ বা পানির বিলের কাগজ।
* বিয়ের পর স্বামীর নাম যোগ করতে চাইলে নিকাহনামা, স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
* বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে তালাকনামা সংযুক্ত করতে হবে।
যদি কোনো ধরনের সংশোধনে কী কী কাগজ প্রয়োজন, তা ওয়েবসাইটেই দেয়া আছে। তথ্য সংশোধন অনুমোদন হয়ে গেলে একটি মেসেজ পাবেন। ওয়েবসাইট থেকে সংশোধিত এনআইডি প্রিন্ট করে লেমিনেট করা যাবে।
ইন্টারনেট প্রতিকূলতা থাকলে যে কেউ উপজেলায় নির্বাচন অফিস থেকে ‘ডাটা এন্ট্রি অপারেটর’-এর সাহায্য নিয়ে বিনা মূল্যে সহজেই কাজটি করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টার থেকেও অনলাইনে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা পাবেন। এছাড়া ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে সব তথ্য ও কাগজ সংযুক্ত করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) নিজেই ঘরে বসে করা সম্ভব। বিস্তারিত https://services.nidw.gov.bd/।