প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব
চলে গেলেন ইন্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুর
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টেল করপোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যতম রূপকার গর্ডন মুর। ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) খাতের উত্থানে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন মুর। কয়েক দশক ধরে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইন্টেলের। পিসি খাতকে করেছেন জনপ্রিয়। চিপ শিল্পের এ পথপ্রদর্শক সম্প্রতি ৯৪ বছর বয়সে হাওয়াইয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। রয়টার্স। বিশ্বজুড়ে আজ ঘরে ঘরে ব্যক্তিগত কম্পিউটার। প্রযুক্তির এ জোয়ারের অন্যতম ভাগীদার মনে করা হতো গর্ডন মুরকে। কম বাজেট থেকে প্রিমিয়াম, সব ধরনের কম্পিউটারেই ইন্টেলের প্রসেসর দেখা যায়। এছাড়া প্রথম আইফোন আসার ৪ দশক আগেই স্মার্টফোনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন গর্ডন মুর। তার এ ভবিষ্যদ্বাণী ‘মুরের আইন’ নামে জনপ্রিয় হয়ে যায়। ঠিক এ কারণেই তাকে আধুনিক কনজিউমার প্রযুক্তির অন্যতম স্থপতি মনে করা হয়। ১৯৬৮ সালে ইন্টেল স্থাপন করেন গর্ডন মুর। সেই সময়ে আমজনতার মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর বা কম্পিউটার নিয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। আর সেই যুগেই এমন অভিনব প্রযুক্তির ব্যবসায় প্রবেশ করেন তিনি। আর আজ বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি কম্পিউটারে ইন্টেলের প্রসেসর ব্যবহৃত হয়।
ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট গেলসিঞ্জার বলেন, ‘গর্ডন মুর তার অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে প্রযুক্তি শিল্পকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এছাড়া কয়েক দশক ধরে প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।’ জীবনের শেষ সময়ে প্রযুক্তি জগৎ ছেড়ে জনহিতকর কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন গর্ডন মুর। তার সহধর্মিণী বেটিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন গর্ডন অ্যান্ড বেটি মুর ফাউন্ডেশন। তার প্রতিষ্ঠিত এ ফাউন্ডেশনটি জলবায়ু ও পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে কাজ করে। ২০০২ সালে প্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ পেয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার হিস্টোরি মিউজিয়ামের ফেলো নির্বাচিত হন।
