Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

তৈরি হচ্ছে এআই নীতিমালা

আগামী সপ্তাহে বসছে জি৭ বৈঠক

‘ইউরোপ ছাড়ার হুমকি’ চ্যাটজিপিটি নির্মাতার * তবে ওপেনএআই ইইউর আইনের সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করবে-অল্টম্যান

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংশ্লিষ্ট আইনের সঙ্গে সম্মত হতে না পারলে ইউরোপ ছেড়ে যাবেন এআই প্রযুক্তির চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। সম্প্রতি চ্যাটবটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান। বিবিসি।

জানা গেছে, ইইউর পরিকল্পিত এ নীতিমালা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘বিশেষভাবে’ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রথম আইন হতে পারে। তবে অল্টম্যান জানান, ইউরোপ ছাড়ার আগে ওপেনএআই ইইউর আইনের সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করবে।

আর টেক্সট ও ছবি তৈরির জন্য বিভিন্ন এআই কোম্পানি নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রশিক্ষণে ‘কী ধরনের কপিরাইট করা উপাদান ব্যবহার করেছে’ সেটি প্রকাশের শর্তও থাকতে পারে এতে। স্যাম অল্টম্যান বলেন, ইইউর এআই সংশ্লিষ্ট আইনটির বর্তমান খসড়াটিতে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে আমরা শুনেছি এর কিছু পরিবর্তন হবে।

মূলত অল্টম্যানের শঙ্কার জায়গা হলো ওপেনএআই’র পক্ষে এআই অ্যাক্ট-এর কয়েকটি নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা মেনে চলা প্রযুক্তিগতভাবে সম্ভব হবে না। অল্টম্যান আশা প্রকাশ করে বলেন, এআই বিভিন্ন নতুন চাকরি তৈরির পাশাপাশি বৈষম্য কমাবে।

এআই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শিল্পী, সংগীতজ্ঞ ও অভিনেতার কাজ ব্যবহারের পাশাপাশি তাদের কার্যক্রম অনুকরণের অভিযোগ উঠেছে সৃজনশীল জগতের অনেকের কাছ থেকেই। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতি বুদ্ধিমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি। চলতি মাসের শুরুতে এআই সংশ্লিষ্ট আইনের খসড়ায় একমত হন ইইউর সংসদ সদস্যরা। আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যার জন্য এখন সংসদ, কাউন্সিল এবং কমিশনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিতর্ক হবে। অল্টম্যান বলেন, এআই সিস্টেমের সংজ্ঞা পরিবর্তন করার মতো ইইউ অনেক কিছু করতে পারে।

আগামী সপ্তাহে বসছে ‘গ্রুপ অফ সেভেন (জি৭)’ বৈঠক

চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ‘গ্রুপ অফ সেভেন (জি৭)’ কর্মকর্তারা। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য এ বৈঠকের কথা শুক্রবার জানিয়েছে আয়োজক দেশ জাপান। এর আগে গত সপ্তাহে, দ্রুত বিকশিত হতে থাকা এআই ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে বিতর্কের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানসহ জি৭’র নেতৃস্থানীয় দেশগুলো ‘হিরোশিমা এআই প্রসেস’ নামে এক আন্তঃরাষ্ট্রীয় ফোরাম গঠনে একমত হয়। জাপানের যোগাযোগমন্ত্রী থাকেইয়াকি মাতসুমোতো বলেন, আগামী ৩০ মে জি৭’র সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের প্রথম আনুষ্ঠানিক এআই বৈঠকে মেধা সম্পত্তির সুরক্ষা, গুজব ও এ প্রযুক্তি কীভাবে পরিচালনা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

অন্যদিকে এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহারের বিষয়ে একটি যৌথ তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে কানাডিয়ান প্রাইভেসি রেগুলেটর। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুলগুলোর নীতিমালার দিকে খুব কাছ থেকে নজর রাখছে দেশটি। রয়টার্স।

কানাডার প্রাইভেসি কমিশনার অফিস জানিয়েছে, ফেডারেল প্রাইভেসি রেগুলেটর কিউবেক, ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং আলবার্টায় তাদের কাউন্টারপার্টের সঙ্গে তদন্ত করে দেখবে, ওপেন এআই এসব তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার এবং চ্যাটজিপিটির ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে সম্মতি নিয়েছে কিনা।

আরও দেখা হবে প্রতিষ্ঠানটি ‘উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতা, প্রবেশ, নির্ভুলতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে তাদের বাধ্যবাধকতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছে কিনা।’ কমিশনারের অফিস জানিয়েছে, যেহেতু এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আরও কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে তদন্তের রিপোর্ট অবশ্যই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম