সোশ্যাল মিডিয়াই অনলাইন শপিং স্ক্যামের বড় মাধ্যম
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বর্তমানে অনলাইন শপিং স্ক্যামের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রতি ৭ মিনিটে একজন ভুক্তভোগীতে পরিণত হচ্ছেন এই স্ক্যামের। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপ পরিচালিত এক জরিপ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। টেকটাইমস।
লয়েডসের জরিপ থেকে দেখা যায়, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে অনলাইন কেনাকাটা সংক্রান্ত যে স্ক্যাম পরিচালনা করা হয় সেখানে প্রতি ৭ মিনিটে একজন ভুক্তভোগী হন। এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ ইউরোর বেশি ব্যয় হয়। এছাড়াও জালিয়াতি বা অনলাইন স্ক্যামের দুই-তৃতীয়াংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকায় বর্তমানে ব্যাংকিং গ্রুপগুলো মেটাসহ অন্য প্রযুক্তি জায়ান্টদের স্ক্যাম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি যেসব ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছে। বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটা বেশ জনপ্রিয় আর এটাকেই কাজে লাগাচ্ছে আক্রমণকারীরা। যেসব পণ্য বাজারে নেই সেগুলো কম দামে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার কথা বলে এসব জালিয়াতি পরিচালনা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, সামাজিক মাধ্যমের সহায়তায় ৭৮ শতাংশ স্ক্যাম পরিচালনা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন এক প্রতিবেদনে জানায়, অপকর্ম পরিচালনার জন্য একসময় অপরাধীদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম ছিল। ২০২১ সালে ৯৫ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচালিত স্ক্যামের কারণে ৭৭ কোটি ডলারের বেশি অর্থ হারানোর কথা জানিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্স ব্যাংকিং খাতের পর্ষদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগও জানায়। তাদের দাবি, অনলাইন স্ক্যাম থেকে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ পেয়ে থাকে।
জরিপে জোর দিয়ে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোক্তারা আসল প্রোফাইল ও বিজ্ঞাপনে দেখানো বিষয় শনাক্তে হিমশিম খায় আর এসব কারণে স্ক্যামাররা সহজেই আক্রমণ করতে পারে। পোশাক, প্রশিক্ষক, গেমিং কনসোল ও সেলফোনের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি স্ক্যাম কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি গ্রাহকের অভিযোগ পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং গ্রুপটি জানায়, ৬৮ শতাংশের বেশি পারচেজ বা অনলাইন ক্রয় স্ক্যামগুলো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে তৈরি হয়েছে।
