৭৬ প্রকল্প পেল বেসিস আইসিটি অ্যাওয়ার্ড
তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনে অগ্রজ ভূমিকা রাখায় ৭৬ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস বা বেসিস।
‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ নামের পুরস্কারগুলো দেয়া হয়েছে ৩৫টি ক্যাটাগরি করে। ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০১৮ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ।
সভাপতির বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আয়োজনের মাধ্যমে সারা দেশের উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পগুলোকে বাছাই করি এবং উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরস্কার প্রদান করি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিস্তৃত সম্ভাবনাগুলোই তুলে ধরছে। মনোনীত প্রকল্পগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়, যা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতাকেও তুলে ধরছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বেসিসের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠিত হল। আমি গর্বিত এটি জানতে পেরে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দল এবার চীনে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিতে যাচ্ছে।
আমাদের দেশকে এ প্রতিযোগিতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মেধাস্বত্ব আন্তর্জাতিকভাবে রক্ষা করতে তরুণ উদ্ভাবকদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, মেধাস্বত্ব রক্ষায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তির পেটেন্ট নিবন্ধন করতে হবে।
প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি উদ্ভাবিত প্রযুক্তির পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা উদ্ভাবকদের মেধাস্বত্ব রক্ষার জন্য অপরিহার্য, উদ্ভাবন কেবল উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ নয় বলেও মন্তব্য করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে বেসিসের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘সরকার এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বেসিসকে কেবল একটি বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে মনে করে না।’
বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় বেসিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশ থেকে ৩৫টি ক্যাটাগরিতে প্রকল্প বাছাই করে সম্মান প্রদান আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টদের জন্য বিরাট সম্মানের বিষয়। পাশাপাশি বিজয়ীরা আইসিটি অস্কারখ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
যা নিঃসন্দেহে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শুধু প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনই করছি না, রফতানিও করছি। গত ১০ বছরে প্রযুক্তি রফতানি বাণিজ্য ৬০ থেকে ৮০০ মিলিয়নে উপনীত হয়েছে।’ এটিও তরুণদের জন্য উৎসাহের কারণ হবে।
৭৬ প্রকল্প পেল বেসিস আইসিটি অ্যাওয়ার্ড
আইটি ডেস্ক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনে অগ্রজ ভূমিকা রাখায় ৭৬ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস বা বেসিস।
‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ নামের পুরস্কারগুলো দেয়া হয়েছে ৩৫টি ক্যাটাগরি করে। ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০১৮ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ।
সভাপতির বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আয়োজনের মাধ্যমে সারা দেশের উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পগুলোকে বাছাই করি এবং উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরস্কার প্রদান করি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিস্তৃত সম্ভাবনাগুলোই তুলে ধরছে। মনোনীত প্রকল্পগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়, যা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতাকেও তুলে ধরছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বেসিসের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠিত হল। আমি গর্বিত এটি জানতে পেরে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দল এবার চীনে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিতে যাচ্ছে।
আমাদের দেশকে এ প্রতিযোগিতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মেধাস্বত্ব আন্তর্জাতিকভাবে রক্ষা করতে তরুণ উদ্ভাবকদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, মেধাস্বত্ব রক্ষায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তির পেটেন্ট নিবন্ধন করতে হবে।
প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি উদ্ভাবিত প্রযুক্তির পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা উদ্ভাবকদের মেধাস্বত্ব রক্ষার জন্য অপরিহার্য, উদ্ভাবন কেবল উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ নয় বলেও মন্তব্য করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে বেসিসের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘সরকার এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বেসিসকে কেবল একটি বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে মনে করে না।’
বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় বেসিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশ থেকে ৩৫টি ক্যাটাগরিতে প্রকল্প বাছাই করে সম্মান প্রদান আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টদের জন্য বিরাট সম্মানের বিষয়। পাশাপাশি বিজয়ীরা আইসিটি অস্কারখ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
যা নিঃসন্দেহে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শুধু প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনই করছি না, রফতানিও করছি। গত ১০ বছরে প্রযুক্তি রফতানি বাণিজ্য ৬০ থেকে ৮০০ মিলিয়নে উপনীত হয়েছে।’ এটিও তরুণদের জন্য উৎসাহের কারণ হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023