পুলিশে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ
আতিকুর রহমান
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি’ এ হল বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি। দেশের সব শ্রেণীর নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকেন পুলিশ বাহিনী। ‘জননিরাপত্তা বিধান ও সেবার মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সারাদেশ থেকে নিয়োগের জন্য মোট ১০ হাজার প্রার্থী বাছাই করা হবে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জন নারীও সুযোগ পাবেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ১৬ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। দেশ সেবার মহান ব্রত নিয়ে যারা নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে চান, তাদের জন্য পুলিশ বাহিনী অন্যতম। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরএস) পদে যোগ দিয়ে দেশ সেবায় অংশ নিতে পারেন। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্দিষ্ট তারিখে নিজ জেলা পুলিশ লাইন ময়দানে সকাল ৯টায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স ও যোগ্যতা : পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য ১৮ হতে ২০ বছর বয়সি অবিবাহিত বাংলাদেশি নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনের বয়স হবে ১৮ হতে ৩২ বছর। প্রার্থীকে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা : সাধারণ ও অন্যান্য কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, বুকের মাপ ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত ৩১ ইঞ্চি। উপজাতীয় কোটায় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারিত ৩৩ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী (বডি মাস ইনডেস্ক) থাকতে হবে।
পরীক্ষার সময় ও স্থান : আটটি বিভাগীয় রেঞ্জের অধিনে প্রতিটি জেলা পুলিশ লাইন্সের মাঠে নির্ধারিত তারিখে প্রাথমিক শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা সকাল নয়টায় থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া : শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জেলার পুলিশ সুপার কর্তৃক সরবরাহ করা আবেদন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত কপি, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, পরীক্ষা ফি ১০০ টাকা, ১-২২১১-০০০০-২০৩১ কোড নম্বরে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে চালানের মূলকপিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজসহ জমা দিতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া : শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ পরীক্ষায় সাধারণত এসএসসি সমমানের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এ পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পুনরায় ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে। উত্তীর্ণ হতে উভয় পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগদান করার পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পুন:বাছাই কমিটির মাধ্যমে শারীরিক যোগ্যতাসহ অন্যান্য তথ্যাদি যাচাইয়ের পরে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হবে।
প্রশিক্ষণ : বাছাই কমিটি কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীদের নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (পুরুষ/মহিলা) হিসেবে ৬ মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রশিক্ষণকালে বিনামূল্যে পোশাকসামগ্রী, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা সুবিধাসহ মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতা পাবেন।
নিয়োগ ও বেতন : সফলভাবে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ হলে কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। আর এ পদে নিয়োগ প্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার থেকে ২১ হাজার ৮০০ টাকা হারে বেতন ভাতা পাবেন। শিক্ষানবিসকাল শেষে বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী, চিকিৎসা, রেশন সুবিধা ও ঝুঁকি ভাতাসহ নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা পাবেন। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী উচ্চতর পদে পদোন্নতি প্রাপ্তিসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিদেশ ভ্রমণ ও আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনেরও সুযোগ।
