Logo
Logo
×

শেষ পাতা

দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা উপহার দেয়াই আমার লক্ষ্য: কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র

Icon

এইচএম মেহেদী হাসানাত, কোটালীপাড়া

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা উপহার দেয়াই আমার লক্ষ্য: কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র

কোটালীপাড়া পৌরসভার যাত্রা শুরু ১৯৯৭ সালে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটির আয়তন ১০ দশমিক ৯৬ বর্গকিলোমিটার।

বর্তমান জনসংখ্যা ১৯ হাজার। ভোটার ১৩ হাজার ১৬০ জন। শুরুতে এটি ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা ছিল। ২০০৭ সালে পৌরসভাটি ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ২০১৬ সালে ‘ক’ শ্রেণির মর্যাদালাভ করে। বর্তমানে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন মো. কামাল হোসেন শেখ। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

এই অল্প সময়ে তিনি পৌরসভার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। আধুনিক কিচেন মার্কেট নির্মাণ, পৌর বাসটার্মিনাল সম্প্রসারণ, রাস্তা-ঘাটলা-ড্রেন-ব্রিজ-গণশৌচাগার নির্মাণসহ অনকে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তিনি। তার কর্মতৎপরতায় পৌরবাসী খুবই খুশি। বর্তমান মেয়রের হাত ধরেই আধুনিক সেবাসমৃদ্ধ ডিজিটাল পৌরসভা হবে বলে অনেকের বিশ্বাস।

৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাভলু শেখ বলেন, ‘মেয়র পৌরবাসীর চাহিদা মোতাবেক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। পৌরসভায় দুর্নীতি নেই বললেই চলে। সেবা গ্রহণে পৌরবাসীকে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় না। ঘুষ ছাড়াই সব ধরনের সেবা গ্রহণ করছে পৌরবাসী।’

পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল হাজরা বলেন, ‘অল্প সময়ে বর্তমান মেয়র ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তার কাজে পৌরবাসী অত্যন্ত খুশি। তিনি যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তাতে শিগগিরই আমরা একটি আধুনিক ডিজিটাল পৌরসভা পাব।’

দায়িত্ব পালনকালে পৌরবাসীর জন্য কী কী কাজ করছেন আর কী কী কাজ করতে পারেননি, তা জানাতে যুগান্তরের মুখোমুখি হয়েছিলেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন শেখ। তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ে পৌরবাসীর জন্য কী কাজ করেছি, তা দৃশ্যমান। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। তারপরও জানতে যখন চান, তাই বলছি- রাস্তা নির্মাণ, রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি সড়কবাতি স্থাপন করেছি। পৌরবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি। গোটা পৌরসভাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছি। পৌরসভার মধ্যে যত মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির রয়েছে, সেগুলোর সংস্কারসহ নানা ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। দায়িত্ব নিয়েই বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছি।

যুবসমাজ যাতে মাদকের পথে ধাবিত না হয়, সেজন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি শিশু পার্ক, একটি আধুনিক মাছবাজার ও একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করতে যাচ্ছি। পৌরসভার অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছি। যতটুকু বাকি আছে, তা শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ মরণশীল। আমাদের প্রত্যেকেই একদিন চলে যেতে হবে। সে কথা চিন্তা করে আমি কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করেছি। বর্ধিত পৌরসভায় আরও কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করা হবে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আমি নিজেকে মেয়র বা পৌরপিতা হিসেবে মনে করি না। আমি পৌরবাসীর একজন সেবক মাত্র। সেবা পৌরবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই আমার দায়িত্ব। আমি টাকা কামানোর জন্য মেয়র হইনি। আমি জনগণের সেবা করার জন্যই মেয়র হয়েছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জনগণের সেবা করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা বা বিশ্বাস রেখে আমার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছিলেন, আমি নেত্রীর সেই আস্থায় অবিচল থাকতে চাই।’

আগামী দিনে পরিকল্পনা সম্পর্কে কামাল হোসেন শেখ বলেন, ‘কোটালীপাড়া পৌরসভাকে দৃষ্টিনন্দন করাই আমার লক্ষ্য। এজন্য ঘাঘর-পয়সারহাট খালটি খনন করার চিন্তাভাবনা করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসময় এই খাল দিয়ে চলাচল করতেন। তার স্মৃতিবিজড়িত খালটি খনন কারার জন্য নানা প্রকল্প গ্রহণের চিন্তাভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়াও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে হাসপাতাল হয়ে যে খালটি গুয়াগোলা খালে গিয়ে মিশেছে, সেই খালটিও খনন করা হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পৌরসভার একটি সুন্দর জায়গায় বৃহৎ পরিসরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে। এই পৌরসভায় অর্থের কোনো সমস্যা নেই। চলতি অর্থবছরে আমরা প্রায় ২০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছি।’

কোটালীপাড়া

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম